গানে গানে কবিপ্রনাম
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন গতকাল ছিল ২২ শে শ্রাবণ। বাইশে শ্রাবণ দিনটি আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দিনটিকে আমরা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর প্রয়াণ দিবস হিসেবে পালন করি। এই দিনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রয়াত হয়েছিলেন। বৈশাখ মাসে ওনার জন্ম। আর মৃত্যু শ্রাবণে। শ্রাবণের নাম শুনলেই বৃষ্টি মনে পড়ে। আর সাথে মনে পড়ে "শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে"। তাঁর লেখা এই গানটি আমার অত্যন্ত পছন্দের। কোনদিন সময় হলে এই গানটিও গেয়ে শোনাবো।
রবি ঠাকুর কি নিয়ে লেখেননি! আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ,প্রতিদিনের কথায় ,প্রতিদিনের বাক্যালাপে ,এমনকি আমাদের মনের ব্যথাতে ,আনন্দে সমস্ত কিছু নিয়েই যেন রবি ঠাকুর কত কিছু লিখে গেছেন। প্রত্যেকটি মুহূর্তের জন্য রয়েছে এক একটি করে গান। মানুষ নিজেকে যে একা মনে করে। কিন্তু এ তো একেবারেই ভুল। আমাদের কাছে আর কিছু না থাকুক, আমাদের কাছে রবি ঠাকুর আছেন। ওনার কত কত লেখা! কত গান আছে।
প্রত্যেকটি গান প্রত্যেকটি লেখা বুঝতেই তো কতটা সময় চলে যায়। গানের কথা গুলো আমাদের মুহূর্তের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের অন্তর আরো সমৃদ্ধ করে।। তাও আমরা বলি, খুব একা লাগছে। আমার সবাইকে অনুরোধ, কখনো কখনো একা লাগলে রবীন্দ্রনাথের গান শুনবেন। ভালো লাগবে। বই পড়বেন। কবিগুরুর লেখা বই এর শেষ নেই।
গানের লিঙ্ক
লিরিক্স
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই,
কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু,
কোথা বিচ্ছেদ নাই।
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই।
মৃত্যু সে ধরে মৃত্যুর রূপ
দুঃখ হয় হে দুঃখের কূপ,
তোমা হতে যবে হইয়ে বিমুখ
আপনার পানে চাই।
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই।
হে পূর্ণ তব চরণের কাছে
যাহা কিছু সব আছে, আছে, আছে,
নাই নাই ভয়, সে শুধু আমারই,
নিশিদিন কাঁদি তাই।
অন্তরগ্লানি সংসারভার
পলক ফেলিতে কোথা একাকার,
জীবনের মাঝে স্বরূপ তোমার
রাখিবারে যদি পাই।
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই,
কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু,
কোথা বিচ্ছেদ নাই।
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই।
গতকাল আমার কোনরকম প্ল্যান ছিল না কোনো রকম গানের ভিডিও করার। আমি ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম। তাও সমস্ত কাজ সেরে যখন বিকেলে বাড়ি ফিরি। সূর্যটাকে তখন বিদায় দেওয়ার পালা। আমার মনে ছিল এবং আমি মনে মনে গুরুদেবকে প্রণাম জানিয়েছিলাম। কিন্তু ওনার উদ্দেশ্যে কোন গান আমার গাওয়া হয়ে ওঠেনি সকাল থেকে।
কিন্তু ওই বিকেলের সময়টায় মনটা কেমন ভারী হয়ে গেল। আর মন ভারী হলে আমি চেষ্টা করি ঘোরাফেরা করার। বাইরে সুন্দর হাওয়া দিচ্ছিল বিকেল নামলে এখন বেশ সুন্দর হাওয়া দেয় ,এই সময়টাই এরকম। চলে গেলাম ছাদে। মেঘের সাথে সূর্যের খেলা দেখতে দেখতে গাইতে লাগলাম কত কত গান।
দুটো তিনটে গান গাইতে গাইতে ভাবলাম রেকর্ড করে ফেলি। তাহলে আপনাদের শোনাতে পারবো। আর আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি অস্বাভাবিক প্রিয় গান আমি গুনগুন করতে থাকলাম। আমার আরেকটি ফোন দিয়ে আমি রেকর্ড করে নিলাম। আমার নিজের পরিস্থিতি ঠিকঠাক ছিল না যে আমি নিজেকে সামনে আনব। বাড়িতে থাকলে আমরা সবাই তো এলোমেলো থাকি। সবসময় সেজেগুজে রেকর্ড করার মতো পরিস্থিতি থাকে না। তাই আমি প্রকৃতির ভিডিও দিয়েই গান রেকর্ড করেছি। তারপর কাইনমাস্টার থেকে একটু ইকো দিয়েছি ,যাতে আরো শ্রুতি মধুর হয়।
সব থেকে বড় কথা ,গানটি ভালো করে শুনলে আপনারা বুঝতে পারবেন সঞ্চারীর একটু আগে থেকে পাখির আওয়াজ। আমার সামনেই একটি বুলবুল পাখি বসে ছিল। আর আমার গান শুনে সেও আমার সাথে সুর দিচ্ছিল। আমার বাড়িতে প্রতিদিন অনেক বুলবুল পাখি যাতায়াত করে। এর আগেও আমি যতবার গান গাইতাম। ওরা এসে ডাকতে থাকতো। ওদের সামনে গান গাইলে ।ওরা খুব পছন্দ করে। তাই আমার কন্ঠের সাথে ওর কন্ঠ আপনারা শুনতে পারবেন।
গানটির আমি শুধুমাত্র স্থায়ী এবং সঞ্চারীটুকু গেয়েছি। অন্তরাটুকু আমি গাইনি। আসলে সঞ্চারীটুকু আমার খুবই মন ছুঁয়ে যায়। তাই আমি এই দুটো পার্ট বেছে নিয়েছি।
আশা করছি আপনাদের এই গান ভালো লাগবে। সবশেষে গুরুদেবকে প্রণাম জানিয়ে ওনারই বলা একটাই কথা বলতে চাই -
"জীবনের মাঝে স্বরূপ তোমার রাখিবারে যদি পাই"
THE QUEST TEAM has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
দিদি একদম ঠিক কথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন বিষয় নিয়ে লিখি নাই প্রেমের কবিতা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই লিখছেন।
প্রেমিকার সামনে যদি কোন ছেলে দুই লাইন কবিতা বলে তার নিজের মতো করে তাহলে সেই প্রেমিকা বলে যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কপি করছো নাকি। যাইহোক একটু মজা করলাম। সব সময় আপনার লেখাগুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে এভাবে আমাদের মাঝে থাকবেন এই দোয়াই করি।
হ্যাং আউট অনুষ্ঠান চলাকালীন আপনার গান শুনেছিলাম আপনি সত্যি অসাধারণ গান গেয়ে থাকেন আপনার গান শুনে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই এবং আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ছোট্ট একটি ভিডিওর মাধ্যমে অনেক সুন্দর একটি গান যা শুনে আমি মুগ্ধ এবং খুবই সুন্দর হয়েছে।