শেষ সোমবার
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। ভগবানের কৃপা না থাকলে কোন কিছুই সম্ভব না। তা অনেকভাবে যে কেউ প্রমাণ পেতে পারে। আমিও খুব ভালোভাবে প্রমাণ পেয়েছি আজ।
আমি কখনোই শিব ঠাকুরের পুজোর জন্য ব্রত করতাম না। শ্রাবণ মাসের চারটি সোমবার যদিও যেতাম না। আগের বছর থেকে চেষ্টা করি সোমবার গুলোকে ঠিকঠাকভাবে পালন করার। তাও আগের বছর হয়তো একদিন না হলে দুদিন আমি আমাদের কাছেই বারোয়ারির ওখানে পুজো দিতে গিয়েছিলাম।
আমাদের এই বারোয়ারীর শিব ঠাকুর নিয়ে অনেক অনেক গল্প আছে। যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ীর গৃহদেবতা ছিলেন এই শিবলিঙ্গটি। পরবর্তীকালে শিবলিঙ্গটি যখন মন্দিরের স্থাপনা হয় তা নিয়ে এক বিরাট গল্প রয়েছে। সে নিয়ে আমি অন্য দিন আলোচনা করব। তবে যবে থেকে মন্দিরে এই শিবলিঙ্গটি রয়েছে। তবে থেকেই খুব ধুমধাম করে পূজা অর্চনা করা হয়।
এই মন্দির অনেক পুরোনো । আমার বাবা যখন ছোট ছিল তার অনেক আগেকার। যাই হোক আমি গতকাল থেকে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে যাই। এবং আমি ভগবানকে ডাকছিলাম যাতে আমার শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় আমি এই সোমবারের ব্রত যাতে করতে পারি। কারণ তিনটে সোমবার করার পর ,শেষ সোমবার যদি না করতে পারি , মন সত্যিই খুব খারাপ হয়ে যাবে।
আমি রাত অব্দি ভয় পেয়েছিলাম যে আমি যদি সকাল থেকে ব্রত না করতে পারি। কিন্তু কি আশ্চর্যভাবে আমি ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলাম শরীর সুস্থ রয়েছে। আমার আজকে কত তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেল। কেউ না ডাকার সত্ত্বেও আমি আজকে সাড়ে পাঁচটা বা পনে ছটা নাগাদ উঠে পড়লাম। স্নান করে মায়ের সাথে পুজোর জোগাড় করতে লাগলাম।
আমাদের বাড়িতে যে শিবলিঙ্গটি রয়েছে ,তার পুজো সেরে মন্দিরের জন্য গোছাতে শুরু করলাম। নিজের হাতে ঠাকুরের জন্য বেলপাতা, নীলকন্ঠ এবং আকন্দ ফুল দিয়ে একটা বড় মালা তৈরি করলাম। মালাটা দেখতে যে কি অপূর্ব লাগছে তা আপনারা বুঝতেই পারবেন না। কারণ আমি ছবি তুলতেই ভুলে গিয়েছি।
তারপরে মন্দিরে গেলাম। তখন বাজে সাড়ে সাতটা। আমরা যাওয়ার সাথে সাথে মন্দিরে ব্রাহ্মণ আসলো। তারপরে পুজো দিলাম মন ভরে। আজ সকালটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রিয়। আজকে আমি মন ভরে বাবার কাছে পুজো দিতে পেরেছি।
যার শেষ ভালো তার সব ভালো। আজকে শেষ সোমবার যে এত সুন্দর করে আমি পুজো দিতে পারলাম ,তার জন্য আমি খুবই আনন্দিত। ভগবান আছেন না হলে আমার শরীর সুস্থ থাকত না। উনি চাইলে সব হয়। উনি চাইলে না হওয়া জিনিসও হয়ে যায়।
ঠাকুর প্রণাম করে বাড়ি ফিরে এসে কিছু খাইনি। আজ ঠিক করেছি ব্রত পালন করব। তাই আজ সারাদিন শুধু সাগু আর ফল খেয়ে থাকবো। এই প্রথমবার আমি ব্রত পালন করলাম শিবের পূজা উপলক্ষে। সত্যিই মন থেকেও অনেক শান্তি লাগছে।
আজকে এখানেই শেষ করছি। সবার সাথে আমার এই সুন্দর মুহূর্তটা শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগলো। ভগবান সকলের মঙ্গল করুক। হর হর মহাদেব।
তুমি সকাল সকাল গিয়ে এসেছো খুব ভালো করেছো ।কারণ আমি যখন গিয়েছিলাম তখন প্রচন্ড ভিড় ছিল মন্দিরে। আমি তো ঠিকঠাক করে পুজোয় দিতে পারিনি। তোমার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।