ফেরার সময়
গতকালের পোস্টে জানিয়েছিলাম এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার পথে অনেক শপিং করেছি, কি কি কিনেছিলাম, তা চলুন আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করি, সাথেই আরো অনেক গল্প আজকে আপনাদের কাছে বলব।
সবকিছুর আগে এটাই বলতে চাই, আমার ভীষণ ইচ্ছা রয়েছে বৌদিকে নিয়ে নিউমার্কেটে যাব, কারণ নিউমার্কেটে যে পরিমাণে জামা কাপড় বিক্রি হয় এবং অনেক ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সেগুলো বৌদি কখনো দেখেনি। তাই আমার ইচ্ছা আছে পুজোর আগে আগে বৌদিকে নিয়ে নিউ মার্কেট যাবই।
আমি আমার জন্য সেদিন একটি লিকুইড লিপস্টিক, দুটো নেলপলিশ কিনেছি । এত কম খরচে ভালো ব্র্যান্ডেড জিনিস পাচ্ছি, এটা শুধু জুডিওতে সম্ভব। আর এই জন্যই হয়তো ভারতবর্ষে টাটার নতুন এই চিন্তা ভাবনা অর্থাৎ জুডিও এত বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। লিপস্টিক এর দাম ছিল মাত্র ১৫০ টাকা। আর নেলপলিশ গুলো ছিল ৮০ টাকা করে।
আমি সবাইকে সাজেস্ট করি ব্র্যান্ডেড ছাড়া লিপস্টিক না কিনতে। টুকটাক ছোটখাটো মার্কেটে যে লিপস্টিক গুলো খুবই অল্প দামে পাওয়া যায় ,সেগুলো স্কিনের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। অন্তত একটি লিপস্টিকের পেছনে ৩০০ টাকা খরচ করলেই, ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক পাওয়া যায়। যেহেতু কোম্পানি টাটা। তাই চোখ কান বুঝে দেড়শ টাকা দিয়ে লিপস্টিক কেনা যেতেই পারে।
এর সাথেই আমি আমার এক কাছের মানুষের জন্য একটি টিশার্ট এবং প্যান্ট কিনেছিলাম। ছেলেদের টি শার্টগুলো এতটাই সফ্ট ছিল যে, গরমে পড়ে ভীষণ আরাম পাওয়া যাবে। আমি আমার পছন্দ মতো রংয়ের টি শার্ট কিনলাম। বৌদিও আমার মতই অনেক কিছু কেনাকাটা করেছে। সাথেই আমি একটি ফ্ল্যাট জুতো কিনেছি।
যেহেতু অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল।তাই আমরা আর কোথাও না দাঁড়িয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম কেনা করার পরেই।কিছুদূর আসতেই প্রচন্ড পরিমাণে খিদে পেয়ে গিয়েছিল। কারণ আমরা দুপুরে খেয়ে বেরিয়েছি ,তারপর আর কিছু খাইনি। সেই মতোই আমার চেনা পরিচিত একটি রেস্টুরেন্টে দাঁড় করালাম গাড়ি। আমাদের গাড়ির পেট্রোলও নেওয়ার ছিল। এই রেস্টুরেন্টটা কল্যাণীতে অবস্থিত। পেট্রোল পাম্পের পাশেই রেস্টুরেন্ট।
তো পেট্রোলও নেওয়া হলো গাড়ির এবং সাথে আমরা হালকা করে খাওয়া দাওয়া করলাম।। বাবা বলেছিল বাড়ি ফেরার পথে যদি মনে হয় আমরা ডি বাপি রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি খেতে পারি। কিন্তু ওই সন্ধে ছটা নাগাদ আমাদের কারোরই বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছা ছিল না ।
রেস্টুরেন্টটা খুবই পরিষ্কার। আর ছোটখাটো হলেও বেশ সুন্দর সাজানো গোছানো। পাশে আবার বাচ্চাদের খেলার জন্য পার্ক টাইপের রয়েছে। খুব বুদ্ধি করে এই রেস্টুরেন্টটা বানানো সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। এখানে মানুষজন গাড়ির পেট্রোল ভরতে পারবে সাথে কিছু চাইলে খেতেও পারবে। আমার তো রেস্টুরেন্টটা বেশ ভালই লাগে। কলকাতা যাওয়ার পথে আসার পথে এরকম বেশ কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট আমাদের খুব পরিচিত হয়ে গেছে। মাসে অন্তত একবার যখনই কলকাতায় যাওয়া হয় তখন এই সমস্ত রেস্টুরেন্টগুলোতেই দাঁড়ানো হয়।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে চাওমিন অর্ডার করলাম দু প্লেট ।আর সাথে কোল্ড্রিংকস ,চকলেট ,আইসক্রিম এসব নেওয়া হলো। ভাইয়ের জন্য চকলেট নিয়ে নিয়েছিলাম আর মায়ের জন্য কিছু খাবার জিনিস।খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ফেরার পথে রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই গাড়ি বেশি স্পিডে চলছিল না। গাড়িতে আমার পছন্দের সিঙ্গার টেইলর সুইফট এর গান শুনছিলাম। বৃষ্টির মধ্যে এনার্জেটিক গান হয়তো সকলেই প্রেফার করে না। আমি নিজেও হালকা গান শুনি বৃষ্টির সময়। কিন্তু গাড়িতে জোরে সাউন্ড দিয়ে টেইলর এর গান শুনতে খুব ভালো লাগে।।
ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির জন্যই আমি গাড়িটা আস্তে চালাতে বলছিলাম। এইভাবে মজা করতে করতে, গান শুনতে শুনতে পৌঁছে গেছি বাড়িতে, বাড়ি পৌঁছেছিলাম ,তখন প্রায় সাড়ে আটটা বাজে। আমরা যদি জুডিওতে শপিং করতে না দাঁড়াতাম, তাহলে হয়তো সাতটার মধ্যে বাড়িতে ঢুকে পড়তাম।
আমি ঘড়ি দেখে ঠিক বিকেল পাঁচটা পাঁচ নাগাদ শপিং করতে ঢুকেছিলাম আর বার হওয়ার সময় ছটা দশ বাজে। যাইহোক হঠাৎ করে প্ল্যান করে বাবাকে এয়ারপোর্টে দিতে গিয়ে অনেক অনেক মজা হয়েছিল।
আপনাদের সাথে আমার সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগলো। আজ এখানেই শেষ করলাম। কাল নতুন কিছু নিয়ে আবার আসবো। সকলে সুস্থ থাকুন ।ভালো থাকুন।
এয়ারপোর্ট থেকে নেমেই অনেকদিনের স্বপ্ন পূরনে আপনি নিউমার্কেটে যান এবং সেখানে নানান প্রকার জিনিস ক্রয় করেন।লিকুইড লিপস্টিক, জুতা,টিশার্ট ইত্যাদি জিনিস ক্রয় করার পর আপনারা চাওমিন আর সাথে কোলড্রিংক খেয়েছেন।আপনার শপিংগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর ছিলো।ভালো থাকবেন।
নিউ মার্কেট এ যাইনি, আমরা জুডিও গিয়েছিলাম।
মার্কেট শেষ করে আবার রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন খাওয়ার জন্য। একদমই ঠিক বলেছেন ছোটখাটো হলেও আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। রেস্টুরেন্ট খুব পরিপাটি। এই ধরনের রেস্টুরেন্টে খাবার খেতেও বেশ ভালো লাগে। যে খাবার আপনারা অর্ডার করেছেন সেটা দেখতে তো অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ ফেরার পথের গল্প আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।