কার্তিক ফেলার প্ল্যান
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে একটা মজার ঘটনা শেয়ার করব।
জীবনে যা কিছু প্রথম তা স্মৃতিময় এবং খুবই স্পেশাল হয়ে থাকে। এই মজার ঘটনাটাও সারা জীবন আমার কাছে স্পেশাল হয়ে থাকবে। জীবনে প্রথমবার এরকম একটা কাজ করতে পেরে নিজেই নিজেকে বাহবা দিচ্ছিলাম। যদিও আমার মতন মেয়ে হঠাৎ করে এই কান্ড করে বসবে সেটা কেউ বুঝতে পারেনি। আর এটাই ছিল সবথেকে বেশি মজার।
আপনারা সকলেই জানেন বাঙালির পুজোর শেষ হয় না।। কিছুকাল আগেই চলে গেল কার্তিক পুজো। তার আগে কৃষ্ণনগরে বেশ ধুমধাম করে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে গেছে। জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে আমার কাছে কত কত ছবি। কিন্তু সময় করে আপনাদের সাথে কোনটাই শেয়ার করা হয়ে উঠছে না। পরবর্তীতে সময় সুযোগ বুঝে সেগুলো শেয়ার করব। তো জগদ্ধাত্রী পূজার পরেই কার্তিক পুজো সেটা তো আমি জানি। আর পুজোর আগের দিন থেকেই মাথার মধ্যে প্ল্যানিং চলছিল।
কিন্তু এই প্ল্যানিংয়ের ব্যাপার শুধুমাত্র আমি আমার মায়ের সাথে শেয়ার করেছিলাম। মা আমার প্ল্যানিং শুনেই রাজি হয়ে গেল। আসলে যবে থেকে আমাদের পাশের বাড়িতে মৌসুমী বৌদি এসেছে। তবে থেকে আমার যত গল্প আড্ডা দুষ্টুমি সব বৌদির সাথে। আর খুব শিগগিরই বৌদির কোলে একটা ফুটফুটে পুচকু আসুক তা আমিও খুব করে চাই। সবথেকে বড় কথা বাচ্চা আমার খুব পছন্দের। আমার পিসতুতো দাদাদের ছেলেরা ছোট থেকেই পিসিভক্ত। আমার কাছে ওরা এত আদর খায়। আর আমি ওদের খুব ভালোবাসি।
ছোট থেকেই বাড়িতে কার্তিক ফেলা ব্যাপারটা আমি জানতাম। আমার আশে পাশের বাড়িগুলোতে এমনকি আমি হওয়ার আগে আমার বাড়িতেও কার্তিক ফেলা হয়েছিল। সে সমস্ত গল্প আমি অনেক শুনেছি। এমনকি আমার পাশের বাড়িতে আগের বছর যখন কার্তিক ফেলে, হইহুল্লোড় করে পুজো দেয়া হয় এবং সাথে খাওয়া দাওয়া করা হয়েছিল। যদিও আমি সেই সময় কলকাতায় ছিলাম।
এবারে সবাই যে যার কাজে এত ব্যস্ত কারোর আর মাথাতেও নেই। আর সময় সবার এক রকম যায় না ।বাড়িতে যে যার চিন্তাতে পাগল। কিন্তু যার মাথায় শয়তানি বুদ্ধি ঢুকেছে, তার থেকে তো রেহাই পাওয়া মুশকিল। আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম এবার বৌদির বাড়িতে কার্তিক ফেলবো।
আমরা এতটা কাছে থাকি
কাউকে বলা কওয়া নেই, হঠাৎ করেই যেদিনকে কার্তিক ফেলব ,সেদিন সন্ধ্যেবেলায় আমার এক বন্ধুকে দিয়ে কার্তিক ঠাকুর কিনে নিলাম। আমি নিজেও জানতাম ওদের বাড়িতে ওদের দুঃসম্পর্কের কেউ একজন মারা গেছে। কিন্তু কার্তিক ফেললে তো পুজো করতেই হবে, নিত্য পুজোর মত ঠাকুরকে পুজো করতে দোষ কি, এজন্যই কার্তিক কেনা হল। আমি প্রথম থেকেই ভেবে রেখেছিলাম ছোট্ট দেখে একটা কার্তিক দেব, কারণ অত বড় কার্তিক একার পক্ষে আমার বন্ধুর আনা সম্ভব নয়।
আর ছোটখাটো কার্তিক দেখতে অনেক মিষ্টি হয়। এ কারণেই ওর মাধ্যমে কার্তিক কিনে আনলাম। যাইহোক পরবর্তী ঘটনাগুলো আমি না হয় পরের দিন শেয়ার করব। কিভাবে কার্তিক ফেলা হলো এবং বাকি গল্প পরের দিন নিয়ে আবার হাজির হব।