ভয়াবহতার ঊর্ধ্বে
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। প্রথমেই আমি খুবই দুঃখিত যে আমাদের প্রতিবেশী দেশ এতটা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমার নিজের ৭০% পরিবার এর অংশ বাংলাদেশে রয়েছে এবং আমিও বিগত কিছুদিন কারো সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হচ্ছি না।
তবে আমি ভীষণ গর্বিত যে কাজ এখনো অব্দি আমাদের রাজ্য থেকে একজন কেউ করে উঠতে পারেনি, সেই কাজ আজ বাংলাদেশ এর ছাত্র সমাজ করে দেখিয়ে দিল। এই ইউনিটি এই জেদ দরকার সমস্ত কিছু সঠিক করার জন্য।
কারণ সত্যিই যেখানে পড়াশোনার বিষয়, যেখানে হওয়া উচিত মেধায় সর্বস্ব ডিসিশন। সে জায়গায় এই সমস্ত কোটা মানুষকে আরো মানুষের ক্ষতি ছাড়া ভালো করছে না ।আমাদের দেশেও বিশেষ করে আমাদের রাজ্যের যা পরিস্থিতি, চাকরি নেই কত বছর। তা হয়তো যারা এ সংক্রান্ত ব্যাপারে জানেন, তারা জানবেন ।
আমাদের রাজ্যে গত অনেক বছর হলো চাকরি নেই। শিক্ষকতা চাকরির জন্য কত আন্দোলন, কিন্তু এই আন্দোলন বড় আকার কখনো ধারণ করেনি, সেই যে একজোট হয়ে একটা আন্দোলন দাঁড় করানোর দরকার, তা এখন অব্দি কেউ করে উঠতে পারেনি। কোটা প্রথা বহু যুগ ধরে চলে আসছে ।
আগেকার যুগ এবং এখনকার যুগের আকাশ-পাতাল তফাৎ। মাইনরিটি মানুষের জন্য সমাজ মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ শুরু করেছে। প্রথম থেকেই উঁচু জাতি ,নিচু জাতি নানান ভেদাভেদ ।আর আগে এই সমস্ত নিয়ে বহু মানুষকে নানান সমস্যায় পড়তে হয়েছে। শুধু সমস্যা বলা ভুল এ এক অন্যায় অবিচার।
সবকিছুই হওয়া উচিত ইকুয়াল, যা হয়ে আসেনি ।আর যার কারণেই হয়তো আজকে এই কোটা প্রথা এদেশ ওদেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই। কিন্তু আগত ছাত্র সমাজ এসব কারণে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ,তাদের ভবিষ্যৎ সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে, তা একেবারেই অন্যায়। দুই দেশের সরকারকে বোঝা উচিত এই ব্যাপারটি। আশা করি সমস্ত কিছুই ঠিক হয়ে যাবে একটা সময়।
তবে বাংলাদেশের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে যে আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের এই একজোট হয়ে রুখে দাঁড়ানোর যে সাহস, তাকে আমি বাহবা জানাই।
সব থেকে বড় কথা চারিদিকে যা পরিস্থিতি সত্যিই আমাকে খুব মন খারাপ করিয়ে দিচ্ছে। যেভাবে এই কদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তাতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে আমাদের দেশের উত্তর এবং দক্ষিণ দিক প্রচন্ড পরিমাণে ভয়াবহ ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ ধস ,কেরালার বন্যা এক ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
সত্যি কথা বলতে প্রকৃতির কাছে সবাই তুচ্ছ। এই যে এত এত ঝামেলা, মানুষের মনে এত হিংসে, মানুষের ভেতরে এত লোভ। সব থেকে বড় কথা মানুষ এখন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। মানুষের মধ্যে ভয় বলে জিনিসটা নেই। আর এই কারণেই মানুষ এতটা নির্দয় এবং নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে। এরা ভগবান মানে না, প্রকৃতিকে মানে না। এদের শরীরে ভয় এর চিহ্নমাত্র নেই। এই যে এত ঘটনা পরপর , তারপরেও এদের সেই বোধ জন্মায় না।
প্রকৃতির এই ভয়াবহতা একবারের জন্যও এদের কাঁপিয়ে তোলে না। দিনদিন মানুষ এ কেমন রূপ ধারণ করছে তা ভগবান তিনিই জানেন।
এর সাথে আমাদের দেশে পর পর কত ট্রেন এক্সিডেন্ট। সরকারের তুলনা হয় না।কি আর বলব। এত মানুষের চাকরির অভাব। ট্রেনের পরপর অ্যাক্সিডেন্ট। এই ব্যাপারগুলো খেয়াল না করে, এরা অন্যান্য জিনিস নিয়ে মাতামাতি করছে। দেশটা চুলোয় যাচ্ছে। আর এখানে কেউ কোন রকম ভাবে সবকিছু সঠিক করে উঠতে পারছে না। সবকিছু সঠিক করতে যে ইউনিটি দরকার, যে একতা বোধ দরকার। এই দেশে তা নেই।
এত এত মানুষের অভিশাপ, কান্না কোনদিনই কোনদিন কি গায়ে লাগবে না। আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি সমস্ত কিছু সুস্থ হয়ে যাক। সমস্ত অবস্থা আবার ঠিক হয়ে যাক ।নিজের দেশ, প্রতিবেশী দেশ ,এমনকি সারা পৃথিবীর জন্যই আমি প্রার্থনা করি। যেন সবদিকে শান্তি বজায় থাকুক। সত্যি বলতে আমার এগুলোতে খুবই খারাপ লাগে। কিছু কিছু জিনিস ক্ষমতার বাইরে। শুধুমাত্র প্রার্থনা করা ছাড়া আর যেন কিছুই করা যায় না।
হাতের কাছে যদি নানারকম পাওয়ার থাকতো, অনেক ভালো মানুষ অনেক উন্নতি করত। কিন্তু পাওয়ার গুলো মানুষ এখন বাজে দিকে ব্যবহার করছে। মানুষ খুব ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। বিধাতা সবকিছুই দেখছে। আর সবকিছুই একদিন তিনি নিজে হাতে ঠিক করে দেবেন।
আজ এখানেই শেষ করছি। আপনারা সকলে সুস্থ থাকুন ।ভালো থাকুন ।আমার দেশ সুস্থ হয়ে উঠুক। প্রকৃতির এই ভয়াবহতা কমে যাক। প্রতিবেশী রাষ্ট্র সুস্থ থাক। আপনাদের সকলের জন্য আমি অনেক অনেক প্রার্থনা করছি। আপনারা সকলে সেরে উঠুন। সকলে মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে পড়বেন না ।একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
ঠিকই বলেছ দিন দিন দেশে ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। দেশে চাকরির পরিমাণ একেবারে কমে গেছে। কিন্তু দিন দিন যে পরিমাণে অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে ।এতে কত মানুষের ক্ষতি হচ্ছে ।কত মানুষ তার পরিবারের প্রিয়জনকে হারাচ্ছে। তোমার পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো। পোস্টে প্রত্যেকটি কথায় একদম সত্য।