ঘোরাঘুরিতেই শান্তি
নমস্কার সকলকে, সকলে কেমন আছেন ? আমি এখন অনেকটাই সুস্থ আছি । বৃষ্টিটা একটু বেশি হলে হয়তো আরো সুস্থ হয়ে যাব ,কারণ আমার গরম একদম সহ্য হয় না ।আর বৃষ্টি হলে মন শরীর দুটোই ঠান্ডা হয়ে যায়। গতকালকে আমি একটু ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। প্রায় ৭-৮ দিন ধরে বাড়ির মধ্যে শরীর খারাপের জন্য। কোথাও যাওয়া হয়নি। বাড়ির বাইরে এ কদিন পা রাখিনি।
কবে থেকে ভাবছি যে ,কবে যে বাড়ির বাইরে পা রাখব। আমার মনটা খুব খারাপ করছিল কারন আমি এভাবে এতদিন বাড়ির মধ্যে পড়ে থাকি না। আমার ঘুরতে এত পছন্দ, আমি এক দুদিন পরপরই বাইরে একটু ঘুরতে বেরোই। না হলে হাটাহাটি করি ।এই ব্যাপারটা তো আপনারা এতদিনে জেনেই গেছেন। কোনো কারণ ছাড়া হলেও এটা আমার ভালো লাগে, বাড়ি থেকে না বেরোলে আমার কেমন যেন দম আটকে আসে। আমার তো মনে হয় আমাদের সবারই উচিত একদিন পরপর হলেও একটু ঘোরাঘুরি করা। ঘোরাঘুরি করলে মন ভালো থাকে।
বিশেষ করে আমি আমার মাকে খুব জোর করি, কারণ মা বাড়ির কাজে এত ব্যস্ত থাকে বাড়ি থেকে বার হতে চায় না ।বাড়িতে এভাবে থাকতে থাকতে ঘর কুনো এমন ভাবেই হয়েছে ,কিছুতেই বার হতে চায় না ।আমি জোর করলেও রাজি হয় না বার হওয়ার জন্য। তবে জ্বর থেকে উঠে মাকে যখন জেদ করলাম কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাবার জন্য। মা এবারে রাজি হয়ে গেল ।কারণ মাও জানে আমাকে একটু ঘুরতে বার হতেই হবে।
আমি আমার জেঠি এবং আমার মা মিলে প্ল্যান করে গতকাল বিকেল ছটা নাগাদ বাড়ি থেকে বার হলাম ।আমাদের যাওয়ার বা ঘোরার একটাই মতলব ছিল,সোনার দোকান। সোনা কিনতে কে নাহ ভালোবাসে। আমিও খুব ভালোবাসি এবং সাথে আমার মা জেঠিও ।কিন্তু দিনদিন সোনার দাম যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে। হয়তো কিছুদিন পর আর সাধারণ মানুষ সোনার দিকে তাকাতে পারবেনা ।আর কেউ কাউকে সোনার জিনিস উপহার দিতে পারবে না। গতকালকেই সোনার বাজেট এক গ্রামে ছিল ইন্ডিয়ান টাকায় ৬৮০০টাকা। তাহলে আপনারাই ভাবুন আর কিছুদিন পর এই দর কতটা উপরে উঠতে চলেছে।
আমরা প্রথমেই টোটো করে চলে গেছিলাম সেনকো গোল্ড। কৃষ্ণনগরে অনেক বড় বড় সোনার দোকান রয়েছে। তার মধ্যে সেনকো গোল্ড ,পি সি চন্দ্র, প্রতিভা জুয়েলারি, তানিশক ,রিলায়েন্স আর এছাড়াও সোনার আরো অনেক অনেক দোকান কৃষ্ণনগরে রয়েছে। কৃষ্ণনগরে সোনাপট্টি বলে একটা জায়গা আছে যেখানে শুধু সোনার দোকানে রয়েছে।
আমরা সেনকো গোল্ড চলে গিয়েছিলাম ,যেটা কৃষ্ণনগর থানার ঠিক অপজিটে অবস্থিত। সেনকো গোল্ড এ আমি এর আগে যাইনি , তবে সেনকো গোল্ড এর পাশেই আর একটা জুয়েলার্সে আমি গিয়েছি। কালকে ওনাদের কালেকশন দেখে আমার তো চক্ষু চরক গাছ। সেনকো গোল্ড এর কালেকশন এতটাই ভালো আমি ভাবতে পারিনি। সাধারণত সোনার জিনিসপত্র আমার মা-বাবা কেনাকাটা করে। আমি খুব একটা সোনার জিনিস একা একা কিনতে পারি না।
বিগত দু বছর আগে মাকে যখন সোনার জিনিস কিনে দিয়েছিলাম, তখনই একা একা কিনেছিলাম। এ ছাড়া সাথে কেউ না কেউ থাকে আমার। কালকে কিনব বলে যায়নি। কিন্তু কালকে দেখার জন্যই গিয়েছিলাম ।কারণ এখন বিয়ের সিজন চলছে ,তাই সোনার দর আরো বেশি হয়ে রয়েছে। খুব ভালো লাগলো সেনকো গোল্ড এর কালেকশন এবং ওখানকার স্টাফদের ব্যবহার ভালো লাগলো। জেঠি সেনকো গোল্ড থেকে বেশি সোনা কেনে ,তাই জেঠির সাথে স্টাফগুলোর বেশ ভালই পরিচয় হয়ে গেছে। ওরা আমাদের সব রকম সুন্দরভাবে দেখালো।
ওখান থেকে বার হয়ে সোজা চলে আসলাম মার্কেটের দিকে ।সেখানেও আর একটা সোনার দোকানে আমরা বেশ কিছুক্ষণ জিনিস দেখলাম। সব দেখার পরে আমাদের একটা প্ল্যান ঠিক হলো এবং সেই মতো পরবর্তীতে কাজ হবে। যাইহোক ঘোরাঘুরি হলো মোটামুটি। তারপরে পাশে একটি রেস্টুরেন্ট রান্না বাটিতে আমরা ঢুকলাম হালকা কিছু খাওয়ার জন্য এবং বাড়ির খাবার নেওয়ার জন্য।
রেস্টুরেন্টে ঢুকে দেখি ভীষণ ভিড়। আমাদের দুই কাপ কফি আর ক্রিসপি বেবিকর্ন আনতে গিয়ে ওদের যে কত সময় লাগলো। আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। কারণ অন্তত কফি দুটো আগে দিলে পারে এরা। যাই হোক তারপরে বাড়ির জন্য বাটার নান, পনির বাটার মাসলা, বিরিয়ানি এসব নিলাম। ওদের পার্সেল করতেও ভীষণ সময় লাগছিল। এসব করতে করতে আমাদের বেশ অনেকটাই দেরি হয়ে গেল।
আমরা বাড়ি ফিরেছি প্রায় সাড়ে আটটার পর। বেশ অনেকদিন ধরেই শুনছি সোনার দামটা বেশ ভালোই বেড়েছে। কালকে সমস্ত কিছু যাচাই করে দেখে সত্যিই ভয় পেয়ে গেলাম। তবে কালকে মা জেঠীর সাথে ঘুরতে বেরিয়ে বেশ ভালই মজা হলো। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও ভালো লেগেছে। আজ এখানেই শেষ করলাম।
আসলে আমি জানিনা যে ঘোরাঘুরিতে শান্তি কি না তারপরও আপনার এই পোস্টটি পড়ে বুঝলাম আপনি ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। আপনার মতন আমিও ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি কিন্তু এটা কোনদিন শুনি নাই যে ঘোরাঘুরি করলে শান্তি পাওয়া যায়।
তা যাই হোক আজকের এই পোস্টটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনাকে।
ঘুরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে এবং সবাই পছন্দ করে ঘুরাঘুরি করতে। আমার সব থেকে বেশি পছন্দ হলো ঘোরাঘুরি করা তাই আমিও অনেক জায়গায় ঘুরেছি অনেক দর্শনীয় স্থান দেখেছি।
ঘুরতে যেয়ে শপিং করা বা খাওয়া-দাওয়া করা আর সব থেকে আনন্দদায়ক, ঘুরতে যাব রেস্টুরেন্টে যাব না এটা কখনোই হবে না ঘুরতে গেলে খাওয়া দাওয়া লাগবেই।
ঘুরতে যাওয়া নিয়ে আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন সেজন্য আপনি অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছি পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ঘুরতে যাও আমি বেশ পছন্দ করি। আর ঘুরতে গেলে মন তো এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। ঘুরেছেন আনন্দ করেছেন এবং মজার খাবার খেয়েছেন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব সুন্দর লেগেছে পোস্টটি পড়ে।
মনকে সতেজ রাখতে ঘোরাঘুরি করা অতীব জরুরী। আমারও ঘোরাঘুরি করতে খুব কিন্তু সাংসারিক কর্মব্যস্ততার জন্য হয়ে ওঠেনা। যাই হোক, এমনই সতেজ ও প্রফুল্ল থাকুন সব সময় এই কামনা করি।
মনকে প্রফুল্লতা রাখতে ঘুরা ঘুরির বিকল্প কিছু নেই। আর প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে তো খুবই ভালো লাগে। ঈশ্বর সৃষ্টি সুন্দর প্রকৃতির সাথে আমাদের মন যেন আপনাআপনিই মিলে যায়।
সোনার বাজারের যে অবস্থা এখন কাউকে সোনা উপহার দেয়া যে কারো পক্ষে কষ্ট সাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আমাদের বাংলাদেশের বাজারে তো প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ১০,১১৫ টাকা প্রায়। এখন মধ্যবিত্ত পরিবারে বিয়েতে স্বর্ণ উপহার দিতে গিয়ে যে কি কষ্ট হয় সেটা পরিবারের লোকজনই বুঝে।
কফি খেতে আমি অনেক ভালবাসি। দেহের ক্লান্তি কাটিয়ে মন মেজাজ ফুফুরে রাখতে ব্ল্যাক কপি খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে আমরা একটু সাধের জন্য কপির সঙ্গে দুধ চিনি ক্রিম মিশিয়ে কপির কার্যকারিতা অনেকটা নষ্ট করে ফেলি।
তবে আমাদের জীবনে একটু ফাঁক পেলে ঘোরাঘুরি করা উচিত।
আপনি আমাদেরকে এত সুন্দর করে পোস্টটি উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঘোরাঘুরি করতে অনেকেই পছন্দ করে তারপরও অনেকেই রয়েছে তারা একটু বেশি পছন্দ করে তাদের মধ্যে আপনি একজন।। আর হ্যাঁ স্বর্ণ প্রতিটি মেয়ে বেশি পছন্দ করে। আমি আজ পর্যন্ত কোন মেয়েকে দেখিনি যে স্বর্ণ পছন্দ করেনা স্বর্ণের প্রতি তাদের আলাদা একটা চাহিদা থাকে।।
খুব সুন্দর একটি দিন পার করলেন অনেকদিন পর।
এটা একেবারেই ঠিক বলেছেন ঘোরাঘুরি করার মধ্যে মানসিক শান্তি রয়েছে। আর এই শান্তির হয়তোবা সবাই চাইলে উপভোগ করতে পারেনা। কিন্তু আজকে আপনি আপনার মাকে নিয়ে বের হয়েছেন। আসলে সংসারের মধ্যে এত পরিমাণে কাজ থাকে কাজ করতে করতে সময়টা কখন চলে যায়। সেটা আমরা টের পাইনা। তবে আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। আসলে রেস্টুরেন্টে যখন ভিড় থাকে তখন তাদের উপরে এত পরিমাণে রাগ হয়। যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। যাইহোক বাড়ির জন্য বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে বাসায় ফিরে এসেছেন। ধন্যবাদ পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।