Steem engagement challenge-S12/W6|"The grand festival in my country"
[Edit by Canva]
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিমিট বন্ধুরা।কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ! আমিও অনেক ভালো আছি।আজকের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু হচ্ছে -আপনার দেশের মহা উৎসব কি? এটি সময়োপযোগী একটি প্রতিযোগিতার বিষয় হিসেবে আমি মনে করি। এজন্য আমি এডমিন @sduttaskitchen দিদি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই,স্টিম এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জ-S12/W6|"আমার দেশে মহা উৎসব।" এত সুন্দর একটা বিষয়ের উপরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।
মূল বিষয়ে যাওয়ার পূর্বে আমি আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। তারা হলেন-
@farhanahossin
@familycooking1
@rubina203
What is the grand festival in your country, and how do you celebrate that festival?(Mention some rituals if you follow). |
---|
আমার দেশে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো দুই ঈদ। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এছাড়া আরো দুটি উৎসব আমাদের দেশে অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে পালন করা হয়। তাহলো দুর্গাপূজা ও পহেলা বৈশাখ। ধর্মীয় দিক থেকে বাংলাদেশের সকল মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব হল দুই ঈদ।বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক মুসলিম।
তাই এ দেশে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এ দুটি উৎসবকে পূর্ণধর্মীয় ও ভাবগাম্ভীর্যের সহিত পালন করা হয়।
ঈদুল ফিতরের পূর্বে এক মাস মুসলমানরা সিয়াম সাধনা করেন অর্থাৎ রোজা রাখেন। ফজরের পূর্বে সেহরি খেয়ে সারাদিন কোন খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ না করে মাগরিবের আজানের সাথে সাথে ইফতার করে আমরা রোজা পালন করে থাকি। এই সাধনার পুরস্কার স্বরূপ মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য একটি আনন্দের দিন রেখেছেন। আর তা হলো ঈদুল ফিতর। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাই ঈদুল ফিতরকে নিয়ে লিখেছেন এক কালজয়ী গান-
ঈদুল ফিতরের আরেকটি কাজ হল ঈদের নামাজের পূর্বে ফিতরা আদায় করা। এই ফিতরা সাধারণত গরিব-অসহায়দের জন্য ধার্য। প্রতিটি সামর্থ্যবান পরিবারের জন্য তার সদস্য সংখ্যা অনুপাতে একটি নির্দিষ্ট হারে টাকা ধার্য হয়। উক্ত টাকার সমপরিমাণ খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা উত্তম। খাদ্যদ্রব্য গুলো হলো আটা, কিসমিস, খেজুর,চাল, দুধ, চিনি,
সেমাই ইত্যাদি।
ঈদুল ফিতরে সবচেয়ে বেশি যা ঘিরে আনন্দ হয় তাহলো নতুন পোশাক আর সেমাই। ঈদের দিন নতুন পোশাক চাই ই চাই । একবার আমার এক আত্মীয় তার দেড় বছরের ছেলেকে একটি ছড়া শেখানোর চেষ্টা করছিলেন নতুন জামা নিয়ে।ছড়াটি হলো -
বাবা আজ ঈদ-
নতুন জামা আনো,
লাল জামা চাই।
আরেকটি মজার কথা বলি। আমার মেয়ে ছোট থাকতে একবার ছড়া কাটছিল নিজে নিজে। তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেমন জামা চাই?তখন সে আমাকে সুর করে বলছিল-
বড় বড় ফুল ফুল!
লম্বা লম্বা ঝুল ঝুল!
জামা এনে দাও মা।
তবে সেমাই খাওয়া আসলে কোনো ধর্মীয় রীতি নয় বরং আঞ্চলিক রীতি। ধর্মীয় রীতিতে কিছুটা মিষ্টান্ন খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোথা থেকে যেন এই বাঙালি রীতিতে ঈদের দিনে সেমাই খাওয়ার একটি প্রচলন হয়েছে।এছাড়া মৃত আত্মীয়-স্বজন,মা-বাবার কবর জিয়ারত ও জীবিত আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মুসাফা করা, কোলাকুলি করা, একে অপরের সাথে কুশল বিনিময়,আপ্যায়নের মাধ্যমে পবিত্র ঈদের এই দিনটি আমরা কাটাই।
ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ এক অন্য আমেজ নিয়ে আমাদের জন্য আসে। আল্লাহর মেহমান হয়ে হজ্জ পালন করার উদ্দেশ্যে অনেকে সৌদি আরবের মক্কায় গমন করেন। ঈদের দিন সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেয় এবং তার তিনটি অংশ করে।একটি অংশ গরিব দের জন্য, একটি অংশ আত্মীয়-স্বজনের জন্য, আরেকটি অংশ নিজেরা খাওয়ার জন্য।তবে অনেকেই জানে না ইসলামে এই অনুমোদন আছে যদি কারো পরিবারে খাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি থাকে তবে সে নিজে পুরোটাই রাখতে পারবে।
ঈদুল আযহার দিনও সকালবেলা উত্তম হচ্ছে সকাল সকাল ঈদের জামাতে নামাজ পড়ে কোরবানিকৃত পশুর মাংস দিয়ে দিনের প্রথম খাবার গ্রহণ করা। এ দিনটিতে মাংস বিলানোর মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাথে একে অপরের সৌহার্দ্য যে বৃদ্ধি হয়, সেটাই ঈদের সবচেয়ে বড় আনন্দ।
Would you love to go on a vacation during this festive period, or would you love to stay in your country and celebrate the festival with your family? Give the reason behind your choice. |
---|
ঈদের দিনে আমি নিজের বাড়িতে থাকতে বেশি পছন্দ করি। ঈদুল আযহায় আমি অবশ্যই নিজের বাড়িতেই অবস্থান করি।এর কয়েকটি কারণ আছে।ঈদুল ফিতরের দিনে অনেক মানুষজনকে আমি দাওয়াত করি। ফলে বাড়িতে থেকে তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে হয় এবং ঈদের পরদিন আমি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাই।আমাদের সকলের মধ্যে ঈদের দিনে সালামি দেওয়া-নেওয়ার একটি প্রথা চালু আছে। আমার বাসায় যত শিশুরা সেদিন আসবে তাদের প্রত্যেককে সালামি দেওয়া হয়। আবার অনেকে আসেন তারাও আমার বাচ্চাদেরকে সালামি দেয়। সালামি দেওয়া নেওয়াটা ঈদের দিনে শিশুদের আরেকটি বড় আনন্দের বিষয়।
ঈদুল আযহার দিনে আমি নিজে মাংস বন্টন করি। আমি যেখানে অবস্থান করি তার চারপাশে এমন অনেক লোক আছে যারা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে। অন্য কোথাও বেড়াতে গেলে এ কাজটি আমি ঠিকমত করতে পারব না। এজন্য আমি ঈদের বাড়িতেই থাকি।
Share with us if you have any memorable moments related to the festival. |
---|
২০২১ সালে ২২ তম রমজানে হঠাৎ খবর পেলাম যে আমার মা অসুস্থ হয়ে গেছেন। তখন করোনা কালীন সময় চলছিল। রাস্তাঘাটে কোন পরিবহন ছিল না। রাতের বেলা যখনই খবরটি পেলাম প্রচন্ড অস্থিরতার মধ্যে কাটাতে লাগলাম। কিভাবে যাব সেটাও বুঝতে পারছিলাম না।পরদিন গাড়ি ভাড়া করে আমরা ভাই-বোন সবাই মাকে দেখার জন্য বাড়িতে পৌছালাম।যেয়ে দেখলাম মা আই সি ইউ তে ভর্তি। আমরা যাওয়ার পরে চোখ খুললেন এবং বেশ স্বাভাবিক হয়ে এলেন। এদিকে রোজা চলছে। সারাদিন মায়ের কাছে হসপিটালে থাকি রাতে বাসায় ফিরি।
এভাবে তিন চারদিন পার হয়ে গেল ছাব্বিশে রমজানের দিন জানলাম যে,কাল রিলিজ দিয়ে দেবে। খুব খুশি হয়ে গেলাম যে একটা দিন মায়ের সাথে কাটিয়ে তারপর ঢাকায় ফিরে আসবো। কিন্তু ২৬ শে রমজান দিবাগত রাতে মা আই সি ইউ তে একাকি অবস্থায় মারা গেলেন।ভোরবেলায় খবর পেয়ে আমরা সবাই গেলাম। বাদ আছর মাকে বিদায় দিলাম। যেখানে মাকে নিয়ে ঈদ করার কথা ছিল সেখানে শূন্য হাতে দাঁড়িয়ে রইলাম।ঈদের একদিন আগে সারারাত যাত্রা করে ঢাকায় ফিরে এলাম। সে বার ঈদ কি জিনিস আমি বলতে পারব না। ঈদের কোন আনন্দ কোন কিছুই আমার জন্য ছিল না। এটি একটি চরম কষ্টের ঈদ, একই সাথে আমার জন্য চিরস্মরণীয়ও।
আসলে সত্যিই একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের সবচাইতে বড় আনন্দের মুহূর্ত হচ্ছে, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য, আমন্ত্রণ জানানোর জন্য, ইনশাল্লাহ অবশ্যই চেষ্টা করব।
আপনার মেয়ে তো বেশ ভালোই ছড়া কাটতে পারে। আসলে ৩০ দিন রোজা রাখার পর যখন টিভি বা মোবাইলের মধ্যে শুনতে পাই অমর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। এই কথাটা শোনার পর অনেক বেশি আনন্দ হয়।
আপনার তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর পড়ার পর খুব খারাপ লাগলো। কেননা আপনার মা আপনাদেরকে ছেড়ে ২৬ শে রমজান এই পৃথিবী থেকে চলে গেছে। তবে এটা উনার জন্য অনেক সৌভাগ্য কেননা 26 শে রমজান দিবাগত রাত্রি আমরা শবে কদর পালন করে থাকি। সবাইকে একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। ধৈর্য রাখুন ইনশাল্লাহ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনি সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব হল দু্ই ঈদ। তবে আপনি যেমন ঈদের দিন কোথাও ঘুরতে যান না ঠিক তেমনটা আমার ক্ষেত্রেও আমিও ঈদের দিন কোথাও যায় না বাড়িতে থাকি। আর ঈদের পরের দিন সাধারণত বেড়াতে যাওয়া হয়।
তবে এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো যে আপনার আম্মা মারা গেছেন এবং আর সেটা ২০২১ সালের ২৬ শে রমজান। তবে আপনার আম্মা অনেক সৌভাগ্যবতী যে উনি রমজান মাসে মারা গেছেন। আসলে মা পৃথিবীতে না থাকলে তখনই আমরা মা হারানোর কষ্ট কথাটা সেটা বুঝতে পারি। তবে এটা অবশ্য ঠিক যে আমাদের প্রত্যেককে একদিন এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে। যাই হোক আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপনার জন্য ও অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
জী, আপু। আপনিও ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।