মাশরুমের পাকোড়া।(Mushroom Pakora)@hasnahena

in Incredible Indialast year (edited)
Picsart_23-10-18_19-46-00-888.jpg

[Edit by Picsart]

হঠাৎ করে গতকাল সিএসডি গ্রোসারী শপে তাজা মাশরুম পেয়ে গেলাম। মাশরুম আমার খুবই পছন্দের। তাই দেরি না করে জলদি দু প্যাকেট তুলে নিলাম। তখন আমি স্কুলেই ছিলাম। যে কয়জন আমার হাতে মাশরুমের প্যাকেট দেখল তার মধ্যে অনেকেই জানতে চাইলো কিভাবে আমি মাশরুম রান্না করি। আমি বললাম যে, এটিকে যেভাবে খুশি সেভাবে রান্না করা যায়।অনেকে আবার নাক সিটকালো। বললো মাশরুম তাদের একেবারে পছন্দ নয়। আসলে কিন্তু যার পছন্দ তার ভীষণ পছন্দ।যেমন আমার।বাসায় আনার পর গতকাল রান্না করেছিলাম মাছ দিয়ে। আজ বিকেলে মনে হল পাকোড়া বানানো হয় না অনেকদিন। তাই ঝটপট বানানোর কাজে নেমে পড়লাম। আজ আপনাদের সাথে মাশরুমের পাকোড়া বানানোর রেসিপি শেয়ার করছি।

IMG_20231018_181915.jpg
IMG_20231018_181620.jpg
উপকরণপরিমাণ
তাজা ওয়েস্টার মাশরুম১৫-২০ পিস
বেসনদুই কাপ
আদা বাটাআধা চা চামচ
হলুদ-মরিচ গুঁড়াএক চা চামচ
বেকিং পাউডারহাফ চা চামচ
বেকিং সোডাসামান্য
সয়াবিন তেলভাজার জন্য
লবণস্বাদমতো
প্রণালী:

তাজা মাশরুম ধুয়ে হালকা চাপ দিয়ে বাড়তি পানি ফেলে দিন। বেসনে পরিমাণ মতো আদা বাটা, হলুদ-মরিচ গুঁড়া, বেকিং সোডা,বেকিং পাউডার ও লবণ দিয়ে অল্প অল্প পানি দিয়ে ভালো করে গুলিয়ে ব্যাটার বানিয়ে নিন। লবণটা চেখে নিন। তেল গরম হলে একটা একটা করে ব্যাটারে ডুবিয়ে মাশরুম তেলে ছেড়ে দিন। দুপাশ ভালো করে ভেজে নিন সময় নিয়ে। অল্প আঁচে ভাজুন। তাহলে ভেতরে মাশরুম সেদ্ধ হয়ে যাবে। টমেটো বা কাঁচা মরিচের সস এর সাথে পরিবেশন করুন।

IMG_20231018_183837.jpg
IMG_20231018_183544.jpg
কিছু টিপস

১। মাশরুম একবার রান্না করে খেয়ে ফেলা উচিত। কারণ এতে নানা ধরনের প্রোটিনের জটিল মিশ্রণ থাকে। বারবার গরম করলে প্রোটিনের গঠন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২।বেসন গোলানোর পরে তাতে বড় ১চামচ গরম তেল দিয়ে ভালো করে ব্যাটার নাড়িয়ে নিন। এতে ভাজা অনেক ক্রিসপি হবে।

৩।ব্যাটারে শুকনা মরিচ ক্রাশ, ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে দিন। এতে করে ভাজা অত্যন্ত সুস্বাদু হবে।

৪।মাশরুম কাঁচা-শুকনা দুভাবেই রান্না করা যায়।এছাড়া মুরগি,মাছ, নুডুলস,স্যুপ, মিক্স সবজি ইত্যাদির সাথে রান্না করে খাওয়া যায়।

IMG_20231018_184715.jpg
মাশরুম এর পুষ্টিগুণ

মাশরুম প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলের এক অপূর্ব ভান্ডার। এর প্রোটিন অত্যন্ত উন্নত মানের। এবং মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়টি অ্যামাইনো এসিডের সবগুলোই মাশরুমে বিদ্যমান। নিয়মিত মাশরুম খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, জন্ডিস, হৃদরোগ,টিউমার, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।এছাড়া হাড় ও দাঁত শক্ত করে। চুল পাকা ও চুল পড়া রোধ করে।

মোট কথা মাশরুম একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি সবজি যা মানব দেহের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

DeviceName
Androidvivo v19
Cameratriple camera 48mp+8mp
LocationBangladesh
Shot by@hasnahena
Sort:  
 last year 

মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটা খাবার।এই ভাবে মাশরুম এর পাকোড়া আমিও তৈরি করি।আপনি পাকোড়া তৈরি করার সাথে সাথে এর সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানিয়েছেন যা আসলে সবারই জানা উচিত।
এত সুন্দর একটা রেসেপি ও তথ্যবহুল লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য।

 last year 

প্রথমে ই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। মাশরুম অতি পরিচিত একটি সবজি।
এতে নানাবিধ গুন রেয়েছে। নিঃসন্দেহে মাশরুম আদর্শ খাবার। মাল্টিভিটামিন সমৃদ্ধ সবজিটি দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। তাই বেশি বেশি এই সবজি খাওয়া অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন সবসময়।

 last year 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

 last year 

আপনাকে ধন্যবাদ আমার কমেন্ট রিপ্লাই দেওয়া জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Loading...
 last year 

আপনার পোস্টটি সত্যিই অনেক লোভনীয় এবং সুন্দর হয়েছে । মাশরুম আমারও খুবই প্রিয় । আমার বাবা -মা যেহেতু ডায়াবেটিসের রোগী। তাদের খাদ্যের তালিকায় মাশরুম রাখেন ।চপ ও মাংসে বেশি মাশরুম পছন্দ করি ।

মাশরুম বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে । আমি ঝিনুক মাশরুম ও বোতাম মাশরুম প্রিয় ।
মাশরুম একটি জাতীয় পরজীবী উদ্ভিদ।এটি দিয়ে দেশি কিংবা চাইনিজ দুটোই রান্না করা যায় ।বিকেলের নাস্তায় এ রকম সুস্বাদু চপ হলে তো কথা নেই ।
আপনার নতুন নতুন রেসিপি জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

আপনার জন্য শুভকামনা ।

 last year 

মাশরুমের পাকোড়া আমারও অত্যন্ত পছন্দ। তবে কখনো বাসায় বানানো হয়নি,,সব সময় কিনে খাওয়া হয়েছে।।
তবে আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো করে জেনে নিলাম কিভাবে মাশরুমের পাকোড়া বানাতে হয়,, আমি অবশ্যই আপনার রেসিপি ফলো করে একদিন বাসায় এই পাকোড়া টা বানাবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এবং সাথে কিছু টিপস ও মাশরুমের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানানোর জন্য।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 last year 

Welcome.

 last year 

মাশরুমের পাকোড়া গুলো দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে, মাশরুমের পুষ্টি গুনাগুন খুব সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এবং উপকরণসহ উপস্থাপনা করেছেন যেটা থেকে শিখতে পেরেছি কিভাবে মাশরুমের পাকোড়া তৈরি করতে হয় ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

Welcome 🤗

 last year 

আপনি খুব সুন্দর ভাবে মাশরুমের পাকোড়া।রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মাশরুম আসলেই অনেক পুষ্টিকর একটি সবজি । এবং আপনি খুবই চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন কিভাবে এই সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপিটি তৈরি করা যায়। সর্বশেষ ধাপে আপনার রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। না জানি এটি খেতে কতটা সুস্বাদু হবে। এছাড়াও আপনি মাশরুম সম্পর্কে অনেক তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন এই পোস্ট মাধ্যমে। যাই হোক এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আসলে আমার লাইফে কখনোই আমি মাশরুম খাইনি। তবে এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকবার পড়েছিলাম বইয়ের মধ্যে। আজকে আপনি মাশরুম দিয়ে তৈরি করা পাকোড়া তৈরি করার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যেটা দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে।

সেই সাথে আপনি আমাদের জন্য মাশরুম খাওয়ার কিছু টিপস শেয়ার করেছেন। এবং মাশরুম এর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আজকে আপনার পোস্ট পড়ে একটা রেসিপি এবং উপকারিতা এবং কিছু টিপস সম্পর্কে জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন। সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আপনার সহায় হবে।

 last year 

সত্যই ,মাশরুম অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। যদি কখনো সুযোগ হয় অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। ভালো লাগবে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

এত সুন্দর, মুখরোচক ও পুষ্টিকর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 68503.89
ETH 2535.33
USDT 1.00
SBD 2.52