Incredible India monthly contest of February #2|Food can change Mood.

in Incredible India5 months ago
Picsart_24-02-27_19-32-35-193.jpg

[Edit by PicsArt]

Hello,
Everyone,

কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করছি সকলে ভালো আছেন।আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।

আমাদের কমিউনিটি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় কনটেস্ট পোস্ট ঘোষণা করা হয়েছে। আজ আমি সেই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে চলেছি। চমৎকার একটি বিষয় আজকে পেয়েছি লেখার জন্য। খাবার বরাবর ই সকলের আগ্রহের বিষয়। তাই এটি নিয়ে লিখতে নিশ্চয়ই সবারই খুব ভালো লাগবে।

আপনারা যারা এখনো এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেননি, তাদেরকে অনুরোধ করবো অবশ্যই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করবেন। আমি আমার তিনজন বন্ধু-

@yoyopk
@mdsahin111
@mukitsalafi
কে আমন্ত্রণ জানাই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য।

বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন খাদ্য আর রসনার জন্য চাই সুস্বাদু খাদ্য।খাদ্য প্রথমত আমাদের কে বাঁচিয়ে রাখে। শরীরে কোষে কোষে পুষ্টি সরবরাহ করে। কিন্তু স্বাদ ও বৈচিত্রহীন খাবার প্রতিদিন খেলে আমাদের মন ভরে না। মন ভরানোর জন্য চাই জিভে জল আনা নানা স্বাদের মজার খাবার। মজার খাবারের গুলোর মধ্যেই অনেক খাবারই আমাদের প্রিয় খাবার হয়ে যায় ।আর প্রিয় খাবার যখন আমরা দেখি তখন আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। তাই সব মিলিয়ে খাবারের ভূমিকা আমাদের জীবনে অপরিসীম। আজকে এমনই কিছু কথা হবে।চলুন মূল লেখায় চলে যায়।

chickpea-616386_1280.jpg

Pixabay

"1. Do you believe "Food can change our mood?" Justify your answer."

আমি একথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে খাবার আমাদের মন ও মেজাজ মর্জি ভালো করে দেয়। বিভিন্ন কারণে মানুষের মন-মেজাজ বিগড়ে যায়। প্রতিদিনের জীবনের ব্যস্ততা, নানা রকম চাপ সব মিলিয়ে এই জীবনে মানুষ প্রশান্ত হওয়ার সুযোগ কমে পায়। ঠিক এরকম একটি সময়ে যদি তার প্রিয় খাবারটি তার সামনে দেয়া যায় তবে দেখা যায় মুহূর্তের মধ্যে তার মন ভালো হয়ে যায়। এটা কিছুটা টনিকের মত কাজ করে।

অপছন্দের ব্যক্তিকে দেখলে যেমন মানুষের ভালো মনটা বিরক্তিতে ভরে যায় ঠিক তেমনি পছন্দের মানুষকে দেখলে তার সাথে সময় কাটাতেই খুব ভালো লাগে। প্রিয় খাবারের সাথে সময় কাটানো কোন অংশে কম আনন্দদায়ক নয়। এক কথায় বলতে পারি পছন্দের খাবার আমাদের বন্ধু বটে। কারণ এটি মনকে উৎফুল্ল রাখতে সহায়তা করে। ঠিক তেমনি ক্ষণিকের জন্য হলেও সমস্ত চাপ ও ব্যস্ততা থেকে কিছুটা বিরতি দেয়।

briyani-845111_1280 (1).jpg

Pixabay

" 2. Is there any incident when someone calmed you down by serving your favorite food, or did the opposite scenario happen to you? Describe."

বেশ কয়েক বছর আগের কথা।আমি যখন প্রথম বার কনসিভ করি তখন আমার বয়স অনেক কম ছিল।প্রেগনেন্সির অভিজ্ঞতা এটুকুই ছিল যে টিভিতে দেখেছিলাম এ অবস্থায় নাকি আচার বা টক জাতীয় খাবার খেতে ভালো লাগে। অথচ আমি ছিলাম তার পুরো বিপরীত। আচার জাতীয় খাবার আমার একেবারে ভালো লাগতো না।খুব বেশি রান্নাও পারতাম না আর নিজের রান্না তো জঘন্য লাগতো।

সেই সময় এসব কারণে প্রায়ই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যেত।তখন আমি পুরনো ঢাকায় থাকতাম। যখন এরকম অবস্থা হতো আমার হাসবেন্ড দ্রুত হোটেল থেকে নেহারি,পরোটা বা বিরিয়ানি নিয়ে আসতো। এবং আমি সেগুলো খুব মজা করে খেতাম। আর আমার মন ভালো হয়ে যেতো। আর আমার বোনের বাসা থেকে আমার জন্য ভর্তা, মুরগি ভুনা সহ আমার সব পছন্দের খাবার বক্সে করে চলে আসতো।

পুরো প্রেগন্যান্সি টাইমে আমি নিজের খাবার রান্না করা খাবার খেতে পারিনি। এবং পুরোটা সময় আমি এভাবেই কাটিয়েছি। তাই সত্যি কথা বলতে এটা বুঝেছি যে পছন্দের খাবার আসলে ই মানুষের মন মেজাজ ভালো রাখতে খুবই জরুরী। এর ফল ও পেয়েছি হাতে হাতে। আমার মেয়েটি ভীষণ ফুডি।😁😜

IMG_20240225_094946.jpg
" 3. Name three of your favorite foods and the reasons behind your preference."

আমার পছন্দের তিনটি খাবারের মধ্যে সর্বপ্রথমে আমি রাখতে চাই আমার মায়ের হাতের রান্না করা ছোলা ভুনা। মা যেভাবে ছোলা রান্না করতো আমি বারবার সেভাবে করার চেষ্টা করেছি। অতঃপর ব্যর্থ হয়ে এই ছোলা ভুনা আমি অন্তত দশ রকম ভাবে রান্না করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত মায়ের রান্না করা ছোলা ভুনার সেই স্বাদ পাইনি। মা যেন সাথে করে মায়ের রান্না করা সবগুলো খাবারের স্বাদ নিয়ে গেছেন।

এরপরে আমি পছন্দের তালিকায় রাখবো পুরনো ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি। আপনারা এখন যারা ফখরুদ্দিন,সুলতান ডাইন বা কাচ্চি ভাইয়ের দোকানের বিরিয়ানি খান তারা কখনো জানতে পারবেন না যে প্রকৃত ঢাকাইয়া কাচ্চি বিরিয়ানির স্বাদ আসলে কি! এটা যদি আপনি একবার খান তাহলে এই সমস্ত বিরিয়ানি কে ফেলে দেবেন। এখনো পুরনো ঢাকায় দুই একটি জায়গায় এই আসল স্বাদের বিরিয়ানি পাওয়া যায়। আমি যখনই এই বিরিয়ানি পাই আমি আনন্দে ছোট বাচ্চাদের মতো উদ্বেলিত হয়ে যাই।

আমার পছন্দের তৃতীয় খাবার হলো পিঠা। পিঠা যেকোনো ধরনের হোক বা যেকোনো স্বাদের পিঠা হলেই হলো! আমি তাতেই খুশি। মন ভরে,পেট ভরে পিঠা খেয়ে নিই। তখন স্বাস্থ্যের কথা ভাবি না কোন বাছ-বিচার মানতে চাই না। এটা আমার জন্য মাঝে মাঝে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তারপরও পিঠার প্রতি প্রীতি আমার একটুও কমে না। আমি নিজেও বিভিন্ন রকমের পিঠা বানাই এবং এটা আমার খুব ভালো লাগে।

biryani-1141444_1280.jpg

Pixabay

" 4. Do you believe this term-"The easy way to reach the heart is through the stomach!" Describe."

আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি এই প্রবচন যে, কারো হৃদয়ে পৌঁছানোর সবচেয়ে সহজ রাস্তা পেট দিয়ে পৌঁছায়। মনে মনে যে আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে এমন ব্যক্তিকে কখনো আপনি তৃপ্তি সহকারে খাইয়ে দেখবেন। দেখবেন তার অন্তরের রোগ অনেকটাই সেরে গেছে। তবে এ কোথাও সঠিক যে, আমরা প্রিয়জনের অন্তরে পৌঁছাতেই পছন্দ করি।

আমার বিয়ের পরে আমি রান্নাবান্না খুব একটা জানতাম না। আমার হাজব্যান্ড যদিও কিছু বলতো না তবে রান্না স্বাদ না হলে যে তার খেতে কষ্ট হতো এটা বুঝতাম। হঠাৎ কালেভদ্রে কোন রান্না ভালো হলে দেখতাম ভীষণ খুশি হয়ে যেতো।

পরবর্তীতে তার বোনদের কাছ থেকে দেখে দেখে আমি অনেক রান্না শিখেছি। এবং বুঝতে পেরেছি কিভাবে রান্না করলে তার পছন্দ হয়। পরে যখন আমি রান্না শিখে গেলাম তখন দেখলাম যে অন্যদের রান্না থেকেও তার আমার রান্নাই পছন্দ। এখনো যে খাবারটি সে কখনো খায় না আমি রান্না করলে ঠিকই খায়। এতেই বুঝতে পারি যে, আসলে তার হৃদয় জয় করতে আমার রান্না কম অংশগ্রহণ করেনি। আমি জানিনা কতটুকু ভালো রান্না করি। তবে মন প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করি। আর রান্না করতে আমার ভালোই লাগে।

IMG_20240224_201952.jpg

আমি সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছি সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়ার জন্য। যা লিখেছি তা মন থেকে লিখেছি,নিজের ভাবনাগুলোকে প্রকাশ করেছি। জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে। তবে যদি ভালো লাগে অবশ্যই জানাবেন।

DeviceName
Androidvivo v19
Cameratriple camera 48mp+8mp
LocationBangladesh 🇧🇩
Shot by@hasnahena

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPmPayXPfM22kXaj3xKw37oQ9tua3JfrnuMRWWqGHfhuyA1UYheY5qjiFbP3BW...JWNUaLb1UAxtVkvpEzFvrbCpiTVHr2qys8cnVHpyrfv38wVPMc1Luya71X8AzcNNuKjF1rHwqMTUWN8r39rGXHzGTLWtLUbqpNh6DHaWG6eK2zUkgnx8ShFKdg.png

◦•●◉✿ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।✿◉●•◦
Sort:  
Loading...

Your post has been upvoted in the lifestyle tag. Subscribe our community for any post related to lifestyle.

Steem For Lifestyle Community
 5 months ago 

প্রথমেই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। বরাবরই আমি আপনার লেখাতে উপস্থাপিত ছবিগুলো ভীষণ পছন্দ করি। অনুরূপভাবে আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

তাছাড়া আপনি প্রতিযোগিতায় উল্লেখিত প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে আপনার লেখাতেই উপস্থাপিত পিঠার ছবিগুলো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।

 5 months ago 

আপনি আমার ফটোগ্রাফি খুব পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের সুন্দর মন্তব্য গুলো কাজের প্রতি অনেক উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

 5 months ago 

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। আপনি এই প্রতিযোগিতার প্রতিটি বিষয়ে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলছেন।

আপনার মেজাজ খারাপ হওয়ার বিষয়টি পড়ে আমি একটু অবাক হলাম সবাই অন্তঃসত্তা হলে টক খেতে পছন্দ করে তবে আপনি সম্পূর্ণ বিপরীত।

আপনার লেখা থেকে পড়ে জানতে পারলাম আপনার প্রিয় খাবার সম্পর্কে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। আপনি পোস্টটি পড়েছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো।

 5 months ago 

শুরুতেই জানাতে চাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ৷ আপনি এই প্রতিযোগীতায় চারটি প্রশ্নের উত্তর গুলো বেশ সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন ৷

যাই হোক আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷

 5 months ago 

আসলে আমি চেষ্টা করেছি। কত সুন্দর ভাবে দিতে পেরেছি জানি না। তবে আপনি পোস্টটি পড়েছেন এবং সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ।

 5 months ago 

যেকোন কন্টেস্টে আপনার পোস্ট বরাবরের মতই সুন্দর হয়, বিশেষ করে প্রশ্ন গুলোর উত্তর আপনি অনেক গুছিয়ে লিখেন, এবার ও ব্যতিক্রম হয় নি।

আমাকে অংশগ্রহণ করার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জেনে খুশি হয়েছি। অবশ্যই চেষ্টা করবো।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

আপনি যে আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েন এটা জেনে আমি খুবই আনন্দিত হলাম। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।

 5 months ago 

আপনি প্রেগনেন্সির সময় আচার না খেয়ে, বরং বিরিয়ানি তেহারি পরোটা এগুলো খেতে অনেক বেশি পছন্দ করতেন। আসলে আমি পছন্দ করতাম আচার এবং তার সাথে অন্যান্য কাবাব ঝাল ফ্রাই। আপনার মধ্যে আর আমার মধ্যে অনেকটা মিল রয়েছে।

আপনার প্রিয় খাবার গুলো কি কি জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। একদমই ঠিক বলেছেন, মানুষের মন মেজাজ পরিবর্তন করতে তার পছন্দের প্রিয় খাবারগুলো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ চমৎকারভাবে প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

বাঙ্গালীদের মধ্যে খাবার পছন্দ করার ধরন অনেকটাই একই রকম। এ খাবারগুলো বিশেষ করে বিরিয়ানি,কাবাব পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 5 months ago 

সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য।। আর আজকের এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনার প্রিয় খাবার সম্পর্কে জানতে পারলাম।। এছাড়াও আপনি সকল বিষয়ে
খুবই সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন।। ভালো লাগলো আপনার প্রতিযোগিতার পোস্টটি পড়ে।।

 5 months ago 

আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আপনি পোস্টটি পড়েছেন। আর এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68220.71
ETH 3321.59
USDT 1.00
SBD 2.74