Incredible India contest by @sduttaskitchen| My perspective about true relationship.

কখনো কখনো দেখা যায় রক্তের সম্পর্কের কেউ এমন কিছু করে বসে বা বলে ফেলে যাতে আমরা প্রচন্ড আঘাত পাই। কিন্তু নিজের তৈরি সম্পর্কের মানুষগুলোকে আমি নিজেই বাছাই করেছি। ফলে সেখানে বিশ্বাসের একটি সীমারেখা টানি আমরা। এ সম্পর্ক গুলোতে আমরা নিজেদের সীমাবদ্ধতা জানি এবং সেই মোতাবেকি চলি। আমাদের এই সম্পর্কগুলো স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিবেশী, কর্মক্ষেত্রে এরকম বিভিন্ন পর্যায়ের।

আমরা এই মানুষগুলোকে নিজেদের জীবনে সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করি।এরা কোন অংশে আমাদের আমার রক্তের সম্পর্ক থেকে কম নয়। তবে হ্যাঁ রক্তের সম্পর্কের প্রতি একটি দায়বদ্ধতা থাকে যেটা এই সম্পর্কগুলোতে অনেকাংশেই আমরা ছাড় পাই। আর নিজের তৈরি সম্পর্ক গুলোতে থাকে বন্ধন ও আস্থা। দুই ধরনের সম্পর্কের মানুষগুলো আমাদের জীবনে পাশাপাশি চলতে থাকে। তাই কারো মূল্য কোন অংশেই কম নয় বলেই আমি মনে করি।

আমার মতে নিবেদিত সম্পর্কের সবচেয়ে বড় উপাদান হলো নিখাদ ভালোবাসা।এর সাথে আরো কিছু ব্যাপার ঔতপ্রোতভাবে জড়িত আছে।সেগুলো হলো বিশ্বাস, সততা, সহমর্মিতা, ধৈর্যশীলতা ইত্যাদি।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে আমাকে যদি একটি বিষয় বেছে নিতে বলেন সেখানে আমি বেছে নেব মনোযোগ (Attention)।ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যা প্রতিনিয়ত তার রুপ ও ধরণ বদলায়। কিন্তু এই মনোযোগ এটিকে ভেঙে পড়তে দেয় না। শক্ত বীম কলামের উপর যেমন একটি ভবন টিকে থাকে তেমনি যেকোনো সম্পর্ক টিকে থাকে এই মনোযোগ এর মতো শক্তিশালী পিলারের দ্বারা।

এখন হয়তো ভাবছেন মনোযোগ! এ আবার এমন কি জিনিস!!! সত্যি খেয়াল করে দেখুন তো আপনার সাথে যতগুলো মানুষের সম্পর্ক আছে তারা যদি আপনার সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে মনোযোগী না হয়, আপনার প্রতি যদি তাদের কোন খেয়াল ই না থাকে, তার আচরণে যদি আপনি যত্ন খুঁজে না পান তাহলে আপনি সম্পর্কে কতটুকু ভালো থাকবেন। নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখুন।

Pexels

সম্পর্কের গভীরতা সদা সর্বদা আমার কাছে এক সাগরের মতন। সেখানে আছে জোয়ার- ভাটা, গভীরতা,ঢেউ, গহীনে আলো-অন্ধকার, রঙ্গিন, কোথাও ঘোলা তো কোথাও স্বচ্ছতা।প্রতিটি নিবেদিত সম্পর্ককে আমি এভাবেই সংজ্ঞায়িত করতে চাই।

প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যে আমি তিনটি জিনিস বজায় রাখা উচিত বলে মনে করি এর মধ্যে প্রথমটি হল নীতি ও নৈতিকতা দ্বিতীয়টি হল সহনশীলতা আর তৃতীয়ত বিশ্বাস।

একটি জিনিস খেয়াল করে দেখুন আপনি কাউকে ভালোবাসেন, ভীষণ ভালোবাসেন কিন্তু তার বা আপনার ভিতরে নীতি-নৈতিকতা জিনিসটা একেবারেই নেই।আপনি অসৎ কাজ করছেন অথবা আপনি ওয়াদা করে তার বরখেলাপ করছেন, আপনার সঙ্গী টি আপনাকে বিশ্বাস করবে? কখনোই না!!!
সে আপনাকে যত ভালবাসুক না কেন, তার অন্তর থেকে আপনার প্রতি সম্মান আসবে না। কারণ তার অন্তর জানে আপনি নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত মানুষ। আপনার সাথে হয়তো পথ চলবে কিন্তু কখনোই আপনাকে ভালো মানুষ হিসেবে মনে করবে না

আর সহনশীলতা আর ও বড় ব্যাপার। মানুষ একমাত্র প্রাণী যে সবচেয়ে বেশি নিজেকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলতে পারে। প্রতিটি মানুষেরই দোষ গুণ আছে।

কথায় বলে-

দোষে গুণে সৃষ্টি,
মেঘে বানে বৃষ্টি।

কেউ হয়তো একটু বেশি রাগী অথবা কেউ কথায় কথায় ফোড়ণ কাটে, কেউ যেখানে সেখানে নাক ঝাড়ে তো কেউবা ভেজা তোয়ালে বিছানায় ফেলে। কেউ অগোছালো থাকতে থাকাকে কোন ব্যাপারই মনে করে না অথচ আরেকজন সারাদিন শুধু গুছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও দুটি বিপরীতমুখী মানুষ সঙ্গী হয়, দুটি বিপরীতমুখী মানুষ বন্ধু হয়, শুধুমাত্র সহনশীলতার গুনে। এই সহনশীলতা না থাকলে কোন সম্পর্কই টিকে থাকতে পারবে না। তাই আমি অবশ্যই মনে করি সম্পর্ক ভালো রাখতে সহনশীলতা খুবই দরকারি।

Pexels

সবশেষে বিশ্বাস নিয়ে ছোট করে বলতে চাই যে, এটা শুধু কেউ আপনাকে বিশ্বাস করলো এখানেই শেষ নয় আপনাকে সেই বিশ্বাস ধরেও রাখতে হবে প্রতিমুহূর্তে। বিশ্বাস যাতে ভেঙে না যায় এমন ভাবে চলতে হবে ও কাজ করতে হবে। আর বিশ্বাসের দেয়ালে যদি একবার চিড় ধরে সত্যি! তা আর কখনো নিখুঁত ভাবে জোড়া লাগে না।তাই সম্পর্ক ক্ষেত্রে আসুন আমরা সবাই সতর্ক হই, সহনশীল হই এবং সৎ থাকি। তাহলে আমাদের চারপাশের সম্পর্কগুলো আমাদেরকে সুখী করে তুলবে।💐💐💐

সবশেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমি আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই তারা হলেন -🧡🧡🧡

@sabus
@sakib012
@abubakkar