আমার এলোমেলো কিছু উপলব্ধি।
১. মাত্র ২৩ বছর বয়সে চাকরি হারান। ২৪ বছর বয়সে ব্যবসায় ভয়াবহ ক্ষতিতে পতিত হন।
২.আমেরিকার কালজয়ী প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন ২৬ বছর বয়সে মাকে হারান ।
৩.মাত্র ২৭ বছর বয়সে তার নার্ভাস সিস্টেমে ব্রেকডাউন হয়। ২৯ বছর বয়সে স্পিকার পদে নির্বাচনে হারেন।
৪. ৩৪ বছর বয়সে কংগ্রেস প্রার্থী নির্বাচনে হারেন। ৩৯ বছর বয়সে আবার কংগ্রেস নির্বাচনে হারেন।
৫. ৪০ বছর বয়সে ভূমি অফিসার পদটিও হারান।
৬. ৪৫ বছর বয়সে সিনেট নির্বাচনে হারেন। ৪৭ বছর বয়সে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারেন। ৪৯ বছর বয়সে সিনেট নির্বাচনে হারেন।
৭. কিন্তু ৫২ বছর বয়সে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন বিপুল ভোটে এবং আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজও স্বীকৃত। তিনি জীবনে হারতে হারতে একবারই জিতেছেন এবং আজীবন মানুষের মনকে জয় করে বসে আছেন ।
আসলে আমি উপলব্ধি করলাম," জীবন হচ্ছে দশ ভাগ, আর নব্বই ভাগই হচ্ছে কীভাবে দেখছি জীবনকে। জীবন চলার পথে যা আমাদের কষ্ট দেয় তা ভুলে যাওয়াই উত্তম। অথচ কি শিখলাম—এ কষ্ট থেকে তা মনে রাখা চাই। তবেই জীবনের প্রতিটি ক্ষুদ্র উপভোগগুলোই স্মৃতিময় ও সুখকর মনে হবে। কোনকিছুই ক্ষুদ্র নয়, ভুলবার নয়, তুচ্ছ নয়।"
আমি অনেকের কাছ থেকে অনেক রকম আঘাত পেয়েছি।আর আমি শিখেছি জীবনে কারো কাছ থেকে কিছু আশা করতে নেই। কারো কাছে কিছু আশা করলে হতাশ হতে হয়। গতকাল ইতি হয়ে গেছে। আগামীকাল রহস্যময়। আজ হল স্রষ্টার দেয়া উপহার। তাই বর্তমানকে উপভোগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যারা তোমার উপস্থিতিকে অবজ্ঞা করে তাদেরকে বুঝিয়ে দাও তোমার অনুপস্থিতি কত গুরুত্বপূর্ণ। পিছনে তাকানোর দরকার নেই। যদি তাকাতেই হয় তবে এজন্যে তাকাবে যে, কতদূর তুমি এলে বা অগ্রসর হলে তা পরিমাপের জন্যে।
আমি জানি, প্রত্যেকের জীবনেই অনেক রকম লোক আসে। কেউ আসে উপকার করতে আর কেউ আসে শিক্ষা দিতে। দু'টোরই প্রয়োজন রয়েছে। জীবনকে খরচ করবার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। জীবনকে ধরে রাখা যায় না। আমরা সবাই পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে চাই । কিন্তু নিজেরা কখনই পরিবর্তন মানি না। নিজেকে বদলাতে চাই না। মানুষকে সাহায্য করার জন্য যৌক্তিকতার দরকার নেই । মানসিকতাই মুখ্য।
একজন মানুষ তখনি শক্তিশালী হয় যখন সে তার দুর্বলতাকে বুঝতে পারে। একজন মানুষ তখনি সাহসী হয় যখন সে বাস্তবতাকে মানার মানসিকতা অর্জন করে। একটা স্বপ্ন কখনই বাস্তবে রূপ নিবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি জেগে উঠব। আমাদের অনেকেই জেগে উঠতে ভয় পায়। ফলে আমাদের স্বপ্নগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের সুখ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল।
তাই আমি সবাইকে সুখী করার চেষ্টা করব না। কেননা, কেউ সবাইকে সুখী করতে পারে না।
ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।
আজকে আপনার পোস্ট পড়ে কিছু কথা বুঝতে পারলাম। জীবনে কারো কাছ থেকে কোন কিছু আশা করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। অবশ্যই নিজের স্বপ্নগুলোকে পূরণ করার জন্য,, নিজেকে জেগে উঠতে হবে। তাহলে স্বপ্ন গুলো পূরণ হবে।
আসলে আমাদের জীবন থেকে যে দিনগুলো পার হয়ে গেছে। সেগুলো আমরা কখনোই ফিরে পাবো না। সেইদিনে যা ঘটেছে সেটা অবশ্যই ভুলে যাওয়া দরকার। তাহলেই আমরা আমাদের ভবিষ্যৎটাকে সুন্দর করতে পারব। বর্তমান টাকে উপভোগ করার মধ্যেই জীবনে আনন্দ আছে। কেননা ভবিষ্যতে কি ঘটবে,, সেটা আমাদের কল্পনার বাহিরে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।
জী আপু, আপনার কথাগুলো ও অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আমার একটা জিনিস খুবই ভালো লাগছে সেটা হচ্ছে আপনার মন খারাপ থাকলে আপনি বই পড়ে থাকেন সেটি খুবই ভালো।
আজকে আপনি যে বইটি পড়েছেন তার নাম সফল যারা কেমন তারা। আর আপনি সেই বইটি পড়ে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন কিছু গল্প পড়েছেন সে বলেছেন কিভাবে ব্যর্থতা কে হার মানিয়ে সফলতা অর্জন করা যায়।
আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে আরো অনেক কিছু জীবন সম্পর্কে বুঝিয়েছেন। সেখান থেকে আমি বুঝতে পেরেছি জীবনে কখনো কারো কাছে কোন কিছু আশা করা যাবে না। নিজের স্বপ্নকে নিজেকেই পূরণ করতে হবে।
আপনার গোছানো সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু সবসময় ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপু এক কথায় অসাধারণ ছিল আপনার আজকের প্রশ্ন আমি সম্পূর্ণ পোস্টার করে অনেক কিছু শিখতেও পেরেছি জানতে পেরেছি যেটার বিষয় আমার আগে কোন ধারণাই ছিল না আপনাকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা