Better Life With Steem | The Diary game | 10 - Nov - 2023 | A beautiful afternoon spent with my son
[Edit by Picsart]
দুপুরে খাওয়া শেষ হওয়ার পরেই ছেলে খুব বিরক্ত করতে লাগলো কারন সে বাইরে যাবে। তেমন কোন প্ল্যান ছিল না। শুধু ভাবলাম যে এলিভেটেড এক্সপ্রেস উঠা হয়নি তো সেখানে একটু ঘুরে আসি। প্রথমে ছোট করে আপনাদেরকে একটু বলি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সড়ক হলো এই এক্সপ্রেসওয়ে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। যা বর্তমানে কাজ চলমান অবস্থায় আছে। তবে কিছু কিছু সড়ক যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু হয়ে এই এক্সপ্রেস ওয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে।রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য এটি বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক গৃহীত সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সংযোগ সড়ক সহ এটির দৈর্ঘ্য হবে ৪৬.৭৩ কিলোমিটার এবং এর সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৳১২২ বিলিয়ন টাকা।
তবে আমার মেয়ে গেল না আমাদের সাথে কারণ ওর টিচার পড়াতে আসবে।
দ্রুত বের হয়ে গেলাম সাড়ে তিনটার দিকে। কারওয়াণ বাজার দিয়ে বিজয় সরণি লিংক রোড হয়ে ব্রিজে উঠে গেলাম। প্রথম ওঠা তাই খুব ভালো লাগছিল চারপাশ দেখে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামতে নামতে মনে হলে এরপর কি বাসায় ফেরত যাব? নাকি অন্যদিকে যাব। পরে ভাবলাম উত্তরা দিকে যাই।ছেলের পুরনো স্কুল উত্তরায়।সেখানে গিয়ে ওকে স্কুল টা দেখিয়ে আনি।যেমন ভাবা ঠিক তেমনি চলে গেলাম জসীমউদ্দিন রোড। কিছুক্ষণ ওকে ঘুরিয়েও স্কুল দেখিয়ে আনলাম।ভাবলাম যে এবার ফেরত যাবো বাসায়। পরে ওর বাবা বলল যে, না! চলো দিয়া বাড়ির দিকে ঘুরে আসি।
তাই দিয়া বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। যেতে যেতে প্রায় বিকাল ৫ টা বেজে গেল।তখনও অন্ধকার হয়নি তবে সূর্যটা চমৎকার রং ধারণ করেছে। দেখলাম ছেলে ছটফট করছে কিছু খাবে এর জন্য। দিয়া বাড়ির এদিকটা আমি অনেকদিন আসিনি। তাই এর পরিবর্তন একদম লক্ষ্যনীয়।দেখলাম যে অনেকগুলো দোকান হয়েছে খাবারের। সেখানে চালের রুটি, হাঁসের মাংস,কালাই রুটি, বারবিকিউ ,গ্রীল, আস্ত ফিশ ফ্রাই, ফুচকা, দোসা ইত্যাদি খাবার বিক্রি করছে। যখন পৌঁছেছিলাম তখন দেখলাম যে চারপাশ বেশ খালি। আমরাও খালি দেখে একটা টেবিলে বসলাম ।ফুচকার অর্ডার দিলাম। তবে আমি দই ফুচকা খেয়েছি। আর একটি দোসা র অর্ডার দিয়েছিলাম। ছেলে আমার খুব আনন্দিত হয়ে ফুচকা খেতে বসল।খাবার যে খুব সুস্বাদু ছিল তা নয়। তবে সব মিলিয়ে খারাপ ছিল না।ভালোই লাগছিল।
এরপর একটু ঘুরে বাসার পথে রওনা হলাম। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। কিন্তু আসার পথে প্রচন্ড জ্যাম পেলাম।এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে আবার বাসায় ফেরত আসবো। কিন্তু এই রোডে উঠতে প্রায় দুই ঘন্টা জ্যামে বসে রইলাম। বসে বসে ভাবছিলাম এত রাস্তাঘাট! এত উন্নয়ন!কি কাজে লাগছে? যে রাস্তায় জলদি পার হওয়ার জন্য এত হাজার কোটি টাকা খরচ করা হলো সেই রাস্তার মুখে উঠতেই তো দুই ঘন্টা জ্যামে বসে আছি।আসলে পরিকল্পিত ব্যবস্থা যদি করা না হয় তাহলে কোন কিছুই ফলপ্রসূ হয় না।আজকে রাস্তার যানজটে বসে আমার এটাই উপলব্ধি হলো।
যাইহোক সাড়ে আটটার দিকে বাসায় ফিরে এলাম এরপরে ফ্রেশ হয়ে পোস্ট লিখতে বসেছি। কারণ নয়টার দিকে আমাদের হ্যাংআউট আছে। এর জন্য আবার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তাই জলদি জলদি কাজ করছিলাম। আজকে এই পর্যন্তই লিখে শেষ করছি।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |