Better Life With Steem || The Diary game || 9 April 2024||
![]() |
---|
[Edit by PicsArt]
ভোরেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো। মনে পড়লো আজকে তো সারা দিনে অনেক ব্যস্ততা। পাঁচ মিনিট শুয়েই থাকলাম। এরপর মনে হল এভাবে শুয়ে আমি ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারব। এতে তো লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণ টাই বেশি হবে। আমার সারা দিনের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।
অবশেষে অলসতা কে উড়িয়ে দিয়ে উঠে কাজে লেগে পড়লাম। আজকে ছেলেকে স্কুলে দেবো ভাবছি । সেভাবেই সব কাজ করে নিলাম। মেয়ে ওর বাবার সাথে চলে গেল। আমি ছেলেকে নিয়ে সোয়া আটটার টার দিকে বাসা থেকে বের হলাম।একটু দেরি হয়ে গেলো বের হতে। পৌনে নয়টার দিকে স্কুলে পৌছালাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
ছেলেকে কেয়ার গিভারের কাছে দিয়ে আমি ক্যান্টিনে যেয়ে বসলাম।গরম আসার পর থেকে আমরা সবাই ক্যান্টিনে বসছি। কারণ ক্যান্টিনে এসি আছে। যদিও এখন খুব একটা গরম নেই। আবহাওয়া বেশ প্রশান্তিদায়ক। এ কয়দিন স্কুলে যাইনি। তাই সবাই আমার ছেলের খোঁজখবর করছিলো। বললাম যে ছেলে এখন ভালো আছে।তবে ডাক্তার দেখাতে পারিনি।
যারা ঢাকায় থাকেন তারা তো জানেন যে বড় একজন ডাক্তার দেখানো এই শহরে কতটা কঠিন। আমি গত দুই দিন চেষ্টা করেও ওর রেগুলার ডাক্তারের সিরিয়াল পাইনি। শেষ পর্যন্ত আমাকে বিকল্প রাস্তা অবলম্বন করতে হয়েছে।
একটা কথা আছে আপনি যদি কারো জন্য কিছু করেন তবে কোন না কোন ভাবে তা ফেরত আসে। এরকম একটি ব্যাপার ঘটেছে। আমার বাসায় সব সময় মেহমান, আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনা লেগেই থাকে। দেখা যেতো ভাগ্নেদের সাথে তাদের বন্ধুরা, তাদের কাজিনরা ছাড়াও এমন অনেক এসেছে আমি যাদেরকে চিনিও না। ওরা আসতো থাকতো, বেড়াতো।
![]() |
---|
আমি যথাসাধ্য আপ্যায়নের চেষ্টা করতাম।এরকমই একজন পরিচিত ছিল আমার ভাগ্নির জামাইয়ের বন্ধু। সে আগে কোথাও চাকরি করতো। তার এক বন্ধুর সাথে পরিচয় আছে সেন্ট্রাল হসপিটালের এক কর্মকর্তার সাথে। মোটামুটি বলা যায় লতায়-পাতায় পরিচয় খুজে আজকে এই ডাক্তার দেখানোর সিরিয়াল দেয়া হয়েছে।
ওই যে কখনো তাদেরকে আদর-আপ্যায়ন করেছিলাম।ওরা সব সময় বলতো মামি আপনার কি লাগবে শুধু বলবেন। আসলে মাঝে মাঝে মনে হয় কি করেছি জানিনা তবে এই যে অপরিচিত একজন কথাটা বলেছে এটাই আমার জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।
![]() |
---|
![]() |
---|
পিজি হাসপাতালের নিউরো ডিপার্টমেন্টের হেড ডাক্তার কে দেখানো মোটামুটি সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। সারা বাংলাদেশ থেকে উনার রোগী আসে। যাই হোক এসব নিয়েই স্কুলে বন্ধুদের সাথে কথা হচ্ছিল। এরপর নাস্তা খেয়ে একটু হাঁটতে বের হলাম। বহুদিন হাঁটা হয় না। শরীরটা যেন জ্যাম হয়ে গেছে। আবহাওয়া টা ভালো। তাই হঠাৎ হাঁটায় কষ্ট হয়নি।
পরে আবার ক্যান্টিনে এসে বসলাম। বান্ধবীরা আমাদের জন্য পুরি রেখে দিয়েছিল। সেখান থেকে একটা পুরি খেলাম। সাড়ে বারোটায় ছেলের ছুটি হয়ে গেল।আমাকে দেখে ছেলে ছুটে এসে বলল সে ফ্রাইড চিকেন খাবে। পরে ওকে বললাম যে আপুর কলেজে যেয়ে ওখান থেকে কিনে দিবো। এরপর পৌনে একটায় মেয়ের ছুটি হলে ওখান থেকে ছেলের জন্য চিকেন কিনে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
![]() |
---|
বাসায় ফিরতে ফিরতে পৌনে ২ টা বেজে গেল। এরপর টেবিলে খাবার দিয়ে গোসল সেরে নিলাম। গোসল সেরে নামাজ পড়ে একটু শুয়ে রইলাম। আজকে আর কোন কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। ভাবছিলাম খাব না।পরে দেখলাম যেহেতু পুরো বিকেল ও সন্ধ্যা বাইরে থাকতে হবে একেবারে কিছু না খেয়ে গেলে পরে খারাপ লাগতে পারে। তাই অল্প একটু ভাত সবজি দিয়ে খেয়ে নিলাম।
এরপরেই রেডি হয়ে চারটার দিকে সেন্ট্রাল হসপিটাল গেলাম। সেখানে যেয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে লাগলাম।ডাক্তার সোয়া পাঁচটার দিকে আসলেন। যেহেতু সিরিয়াল লোক দিয়ে দিয়েছি তাই খুব বেশি অপেক্ষা করতে হলো না। দুজনের পরেই আমাদেরকে দিয়ে দিল। ডাক্তারের সাথে দীর্ঘ সময় কথা হলো এবং উনি ওর উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে অনেক কিছুই বললেন।
![]() |
---|
![]() |
---|
অতঃপর প্রেসক্রিপশনের একটা কপি আমার মোবাইল নাম্বার সহ রেখে দিলেন। বললেন উনি পরে যোগাযোগ করবেন। আসলে বড় ডাক্তারদের দেখানো যেমন কঠিন তেমনি চিকিৎসায় ওনারা অনেক বেশি আন্তরিক। আমার ছেলের চিকিৎসার ব্যাপারে যথেষ্ট সময় দিলেন। টেস্ট দিলেন এবং বললেন শনিবারে আবার দেখাতে। ডাক্তার দেখিয়ে বের হতে হতে সাড়ে ছয়টা।
আমার ছেলে অনেকক্ষণ থেকে আবদার করছিল সে বার্গার খাবে। তাই হসপিটালের বিপরীতে একটি ফাস্টফুডের দোকানে গেলাম। ও বার্গার কিনলো, আমি এক প্লেট মোমো নিলাম। আমার কাছে দুটো স্বপ্ন সুপার শপের ভাউচার কার্ড ছিল এবং আজকেই ওটার শেষ দিন ছিল। কার্ড দুটি আমার ভাগ্নি আমাকে দিয়েছিল।তাই আমি ভাবলাম যেহেতু সেন্টাল হসপিটাল এর পাশে স্বপ্নের একটি বড় আউটলেট আছে তাই ওখানে যাওয়া যাক।
![]() |
---|
![]() |
---|
ওখান থেকে এক কেজি গুড়া দুধ,বাটার, টকদই, চকলেট নিয়ে সাড়ে সাতটার দিকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসায় পৌঁছাতে আটটা বেজে গেল। আগামীকাল ভোর ৪টায় ছেলেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিতে হবে। এরপর সকাল সাড়ে আটটায় ওর টেস্ট হবে। তার মানে বুঝতেই পারছি আগামীকাল দিনটি আরো কঠিন হতে যাচ্ছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।আমি যাতে খারাপ সময় গুলো খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারি।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
Steem/SBD doller sell korle inbox. 01700817832 ডলার বিক্রি করলে যোগাযোগ করেন ধন্যবাদ.💖
Whatapp 01700817832
আপনি এই ধরনের কমেন্ট এখানে করার সাহস পান কোথা থেকে? ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন।
আমি এখানে @sduttaskitchen ম্যামের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
একদম ঠিক সকাল-সকাল যদি অলসতা কে গায়ে লাগানো হয় তাহলে সারাদিন টা ভালো লাগেনা তবে, আপনি কিন্তু আপনার ব্যস্তময় দিনটা পার করেই ফেলেছেন।
একদম ঠিক বলেছেন বড় ডাক্তার দেখানোর জন্য যেমন অনেক সময় ব্যয় করতে হয়, ঠিক ডাক্তাররা অনেক সুন্দর ভাবে যদি দেখে। যাক আপনি তো ভালই করেছেন এক কাজে দুই কাজ করে ফেলেছেন ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি কিছু শপিং করা হল।
আর হ্যাঁ আপনার মামো টা খেতে কেমন হয়েছে জানি না তবে দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছিলো। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আবারো শুয়ে থাকলে মনে হয় অলসতা চলে আসে।
যাইহোক সকালবেলা বাড়ির কাজকর্ম সেরে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছেন।
অনেকদিন পর সবার সাথে বেশ গল্প করেছেন। আসলেই তাই ঢাকা শহরে একজন বড় ডাক্তারকে দেখানো একদম কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার। সিরিয়াল তো পাওয়াই যায়না এমন একটা অবস্থা।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে খুব ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।