Better life with steem || The Diary Game || 8th December
আজকে সকালটি ও ছিল মেঘলা মেঘলা আর হালকা ঠান্ডা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও ছিল। তাই সকালে আর হাঁটতে বের হলাম না। বেশ কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকলাম। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করলাম। আজকে মনে হয় আমার সবকিছু ভুলে যাওয়ার দিন। নাস্তা করলাম ঠিকই কিন্তু ছবি তুলতে ভুলে গেলাম। এরপরে নাস্তা শেষে সংসারের গোছগাছ সহ কিছু কাজ করে নিলাম।
দুপুরের জন্য আমার রান্না সবসময় আগেই করা থাকে। কিন্তু দেখলাম ছেলে খাবে এমন কিছু তৈরি করা নেই ।তাই ডিপ ফ্রিজ খুলে খুঁজতে লাগলাম যে কি করা যায়। চট করে পেয়ে গেলাম যে আমি গরুর ভুড়ি অল্প মসলা দিয়ে ভুনা করে রেখে দিয়েছি। সেটাই নামিয়ে রাখলাম যে দুপুরে ঠিক করে নেব। ঘরদোর গুছিয়ে অন্যান্য কাজ করতে করতে একটা বেজে গেল। পরে টেবিলে খাবার দিয়ে গোসল করে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।আজকে দুপুরে খাবারে ছিল গরুর ভুড়ি ভুনা, মিক্স সবজি। এই দুটো দিয়ে আমি দুপুরের খাবার সেরে নিলাম।
দুপুরের খাবার সেরে হাসবেন্ডকে আগে বলে রেখেছিলাম যে আমার গাউছিয়া এলিফ্যান্ট রোডে কাজ আছে যেতে হবে। সেখানে কিছু থ্রি পিস ও শাড়ি কেনার কথা। খাওয়ার পরে এজন্য আর দেরি করলাম না। সাড়ে তিনটার দিকে সবকিছু গুছিয়ে বের হয়ে গেলাম। আমি ভেবেছিলাম দুপুরের পরপর বেরিয়েছি রাস্তাঘাট একটু খালি থাকবে। কিন্তু বের হওয়ার পরে বুঝলাম রাস্তায় শুধু গাড়ি আর মানুষ। প্রচন্ড ভিড় ও জ্যাম। আসলে অবরোধ চলাকালীন মানুষ খুব একটা বের হতে পারে না। তাই শুক্র শনিবার ও যেদিন অবরোধ থাকে না সেদিন প্রচন্ড জ্যাম তৈরি হয়।
এলিফ্যান্ট রোডের দিকে ঢোকার পথে শুধু দেখলাম মানুষ আর মানুষ,গাড়ি আর গাড়ি। আর ওই যে বললাম ছবি তুলতে ভুলে গেছি। আজকে আমি ছবি তুলতে ভুলে গেছি। ইসমাইল মেনশন পর্যন্ত এসে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। একটু সামনে নূর ম্যানসনের চার তলায় পূর্ণিমা শাড়ি তে আজকে আমি কেনাকাটা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এদিকে আমি বহু বছর আসি না। সেই স্কুল কলেজে থাকতে যে গাউছিয়া আসতাম এরপর ভিড়ের ভয়ে আর কখনো আসা হয়নি। তাই বহু বছর পর আসার কারণে আজকে একটু অন্যরকম লাগছিল। পূর্ণিমা শাড়ি সেন্টার বর্তমানে বাংলাদেশে খুবই বিখ্যাত একটি শাড়ির দোকান।
সেখানে শুধু মানুষ আর মানুষ যেন পূর্ণিমা শাড়ি সেন্টার ভেঙে ফেলবে। এখানে নিয়মিত অফার চলে। কেনাকাটা করা যায় অল্প মূল্যে। যায় প্রথমে আমি থ্রি পিস গুলোর দোকানে গেলাম। আমার পছন্দ করা যে থ্রি পিস ছিল সেটার দাম তারা ১০০ টাকা বাড়িয়ে ফেলেছে। অনেক রিকুয়েস্ট করলাম কিন্তু কোনভাবেই রাজি হলো না। তাদের অফার নাকি শেষ। এরপর থ্রি পিস কেনা বাদ দিয়ে আমি ওদের আর একটি ছোট দোকানে গেলাম কাতান শাড়ি কেনার জন্য।তারা ৫০০ টাকা করে চাচ্ছে শাড়িগুলো। দাম অনুযায়ী আমার কাছে বেশ ভালো মনে হলো। দেশীয় কাতান তবে কোয়ালিটি মোটামুটি ভালো মানের।আমি প্রথমে ১০০ পিস এরপর ১৫০ এবং শেষ পর্যন্ত বাড়তে বাড়তে ১৯০ পিস দিতে বললাম। আর এই ১৯০ পিস শাড়ি বাছতে আমার জান যায় অবস্থা।
কারণ গ্রামের জন্য শাড়ি কেনা হচ্ছে তাই হালকা রং কালো রং ও হলুদ রং এই তিন রঙের শাড়ি বাদ দিয়ে শাড়ি কিনতে হচ্ছে। এছাড়া গাঢ় কালার বা যে কালার গুলো গ্রামের মানুষ পছন্দ করে না সেগুলো বাদ দিতে হচ্ছে। এভাবে ১৯০ টা শাড়ি গোছাতে লোককে আমার তিনবার গোডাউনে পাঠাতে হয়েছে। ১৯০ টা শাড়ি পছন্দসই বাঁচতে আমার মাথা খারাপের জোগাড়। ফলে আজকে আমি আর ছবি তোলার কথা মনে করতে পারিনি। এর পরে আমি ৬০ টি শাড়ির টাকা ক্যাশ পেমেন্ট করতে চাইলাম এবং বললাম যে বাকি শাড়িগুলো আমাকে হোম ডেলিভারি দিতে হবে। সেখানে আমি পেমেন্ট করব। এরপর তারা রাজি হলে তাদেরকে ঠিকানা সহ সব বুঝিয়ে দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
আসা যাওয়ার পথে রাস্তায় এত মানুষ দেখে সত্যিই বিরক্ত।যারা গাউছিয়া নিউমার্কেট এলাকায় যারা যান তারা জানেন এই জায়গাটিতে কি পরিমান ভিড় হয়। যাই হোক বাসায় চলে আসলাম। এরপরে পর দিনের রান্না গোছানোর পালা। আজকে আমি টাকি মাছের ভুনা,ডালের বড়ি দিয়ে লাউ চিংড়ি রান্না করলাম ।আর আলু গাজর ভাজি করলাম সকালের জন্য।এরপরে রাতের খাবারের জন্য সব গুছিয়ে রাখলাম। আর এখন পোস্ট লিখতে বসেছি। অবশ্য এই ফাঁকে সন্ধ্যাবেলায় ডিসকর্ড এ রুবিনা আপু ও দিদির সাথে কথা হলো।সবমিলিয়ে আমি খুব ব্যস্ততার সহিত একটি দিন পার করলাম আর অপেক্ষায় থাকলাম আগামী দিনটি ভালো কাটবে এই আশায়।
আমার জানার কৌতুহল হল তাই জিজ্ঞেস করলাম আপনি কি শাড়ির ব্যবসা করেন যে জন্য এতগুলো শাড়ি কিনলেন? আমি টাকি মাছের ভুনা কোনদিন খাইনি তবে ডালের বড়ি দিয়ে লাউ চিংড়ি অনেকবার খেয়েছি। যদিও লাউ চিংড়ি আমার খুব একটা পছন্দের পদ নয় তবুও অনেক সময় বাধ্য হয়ে খেতে হয়েছে। আপনার আজকের দিনটা সত্যি খুব ব্যস্ততার সাথে অতিবাহিত হয়েছে। তার মধ্যেও যে আপনি সময় করে পোস্ট লিখেছেন, তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খাবার-দাবার রান্না করার পর আপনি সাড়ে তিনটার সময়, নিজের বাসার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রওনা দিয়েছেন শাড়ি কেনার উদ্দেশ্যে। সত্যি কথা যদি বলি আপনারটা থামলেইনে মধ্যে আমি শাড়ির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভেবেছিলাম। হয়তোবা আপনি অনলাইনে শাড়ি বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু পরবর্তীতে এসে যতটুকু জানতে পারলাম তারপর অনেকটা বেশি অবাক হলাম।
আসলেই সত্যি গ্রামের মানুষের জন্য শাড়ি কিনতে গেলে অনেক বেশি ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। কেননা সবার পছন্দ এক নয়, আর গ্রামের মানুষ এই কটু কথাগুলো নিয়ে অনেক বেশি কথা বলে। অনেকের একটা পছন্দ হবে আবার সবাই বলবে আমাদের জন্য ওই রকম আন নাই কেন? এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়! অবশেষে আপনি চিন্তাভাবনা করে অনেক কষ্ট করে শাড়ি নির্বাচন করেছেন! আশা করি সবার পছন্দ হবে! শত ব্যস্ততার মাঝে আমাদের সাথে আপনার দিনলিপি ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মানুষ যে জায়গাতে সস্তা পায় ওই জায়গাতে বেশি ভিড় করে। সারাদিন ব্যস্তময় সময় পার করেছেন। ছেলের জন্য গরুর ভূরি নিয়ে রেখেছেন এটা অনেক প্রিয় একটা খাবার। তবে আপনি বললেন আপনাদের ওখানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু আমাদের এখানে টানা কয়েকদিন পরে রোদ এর দেখা পাওয়া গেছে। এত শাড়ি নিয়েছেন তার হয়ত কোন কারন আছে। যাই হোক আপনার সারাদিনে বেশ ধকল গেছে। ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে ভালো থাকবেন আর অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। আপনাদের ওইখান এর মতো আমাদের এই খানে ও বৃষ্টি পড়ছে । দুপুরে আপনি গরুর ভুড়ি রান্না করেছেন।আর আপনি খাবার খাওয়ার পরে শাড়ি কেনার জন্য গিয়েছিলেন। আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পোস্ট পড়ে একটু অবাক হলাম মাত্র ৫০০ টাকায় এত সুন্দর শাড়ি, এত সুন্দর বলতে ৫০০ টাকায় যেমনটা হওয়া দরকার তবে আমার মনে হয় আমাদের এদিকে এই শাড়ির দাম নেবে ১০০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত।
এরপরে শাড়ি কিনতে হলে গাউছিয়া মার্কেট যেতে হবে মনে হয় 😄
লাউ চিংড়ি আমার পছন্দের একটি খাবার মাঝেমধ্যে লাউ চিংড়ি রান্না করি আমি, তবে কিছুদিন ধরে এলার্জিতে ভুগছি তাই চিংড়ি মাছ থেকে দূরে আছি।
সব মিলিয়ে আজকের পোস্টটি বেশ ভালো লেগেছে আপনার ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি দুপুরে রান্না সব সময় আগেই করে থাকেন কিন্তু আজকে ছেলের জন্য কোন কিছু ছিল না তাই ফ্রিজ থেকে গরুর ভুরি বের করে।।
আর আজকে গাউছিয়া এলিফ্যান্ট যাবে শাড়ি কেনার জন্য তাই আগে হাসবেন্ডকে বলে রেখেছিলেন আর পরে আপনারা সাড়ে কেনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন।।
সারাদিনে আরো যা যা করেছেন সকল কিছুই খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটু দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।।
আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। আসলে কয়েকদিন আগে এরকম সব জায়গাতেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। আপনি কেনাকাটা করার জন্য বাইরে গিয়েছিলেন সেখানে অনেক ভিড় ছিল। এরকম তথ্যবহুল পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অসংখ্য ধন্যবাদ।