Better Life With Steem || The Diary game || 7February 2024||

in Incredible India6 months ago
Picsart_24-02-07_19-02-25-480.jpg

[Edit by PicsArt]

ভোরবেলায় একটি ব্যাপার রোজ ঘটছে। বিল্ডিংয়ের নয় তলায় মসজিদ আছে। তাই আজান দিলে বেশ জোরে আজানের শব্দ পাওয়া যায়। তাই ভোরবেলায় আমার ঘুম অবধারিতভাবে ভাঙবেই। এখনো বাসায় ধাতস্থ হয়ে সারি নি। বাচ্চার অসুস্থতাও সব মিলিয়ে ব্যস্ততার কারণে এখনো জীবন-যাপন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিদিনের কাজগুলো সারতে।কয়েকদিন স্কুলেও যাওয়া হয়নি। তবে আজকে স্কুলে যাব।

IMG_20240207_093753.jpg

কারণ আজকে আমাদের খাওয়ার পার্টি আছে।যেখানে খুদের ভাত ও নানারকম ভর্তার আয়োজন আছে। আমার গরুর ভুড়ি ভুনা নিয়ে যাওয়ার কথা। আগের দিন রাতে ভুড়ি ভুনা করে রেখেছিলাম। তবে বাসা থেকে এই ভুড়ি বের করাই মুশকিল হয়ে গিয়েছিল। কারণ বাসার সবারই ভুড়ি ভুনা খুবই প্রিয়।এদিকে স্কুলে প্রায় আমরা ২০ জন তাই পর্যাপ্ত না হলেও সমস্যা। সব মিলিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম। যদিও গত রাতে সবাই খেয়েছে। কিন্তু সকালে দেখলাম আমার ছেলে প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর বাবা বলছে তার জন্য ও যেন রেখে যাই। অতঃপর ছেলে ভুড়ি ভুনা-রুটি দিয়ে নাস্তা সেরে স্কুলের জন্য রেডি হলো।

IMG_20240206_224052.jpg

আমিও ভুড়ি গরম করে তারপর বক্সে ভরে ও দুটি খালি বক্স নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসা থেকে বের হওয়ার ৫ মিনিটের মাথায় আমার মনে পড়ল আজকে কেয়ার গিভারের বেতন দিতে হবে। কিন্তু বেতনের টাকাটা আমি নেইনি। আবার বাসায় ফেরত আসলাম।টাকা নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে দিতে প্রায় ১৫ মিনিট দেরি করে ফেললাম। পৌঁছালাম প্রায় পৌনে নয়টার দিকে। এরপর ছেলেকে টিফিন কিনে দিয়ে ক্লাসে পাঠিয়ে দিলাম।

IMG_20240207_093945.jpg

আমি ওয়েটিং রুমে গিয়ে বসলাম। একে একে সবাই ওয়েটিং রুমে আসলো।সকলেই তাদের নিজস্ব বক্স খোলা শুরু করলো। একে একে পুরো টেবিল ভরে গেলো। এরপর সাড়ে নয়টার দিকে আমরা খেতে বসলাম। ভুড়ি ভুনার এত চাহিদা যে আমি দুজনকে দিতেই পারলাম না। শেষ হয়ে গিয়েছিল।যাই হোক অতঃপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা বেশ কিছুক্ষণ গল্প গুজব করলাম। এরপর আমি গেলাম এমপি চেকপোস্ট লজিস্টিক এরিয়াতে।

IMG_20240207_094152.jpg

আমার স্টিকার নেওয়া খুবই জরুরী হয়ে গিয়েছে। যেহেতু বাচ্চা দুজনেই ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে পড়াশোনা করে তাই স্টিকার না নিলে ভিতরে প্রবেশে বেশিরভাগ সময়ে ঝামেলা হয়। এজন্য অনলাইনে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। আজকে স্টিকার দেওয়ার ডেট ছিল।আগের স্টিকার এর মূল্য ছিল এক বছর মেয়াদী ৫০০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০০ টাকা। অতঃপর সাড়ে এগারোটার দিকে স্টিকার নিয়ে আমি স্কুলে চলে গেলাম।

IMG_20240207_143520.jpg

এরপর বারোটা বাজে ছুটি হলে ছেলেকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে একটা বেজে গেল। এরপর হাত মুখ ধুয়ে বাসার বেশ কিছু কাজ সেরে নিলাম। এই ফাঁকে ভাত রান্না করলাম ও তরকারি গরম করে টেবিলে দিলাম। যদিও অনেক ভর্তা নিয়ে এসেছি।এগুলো দুপুরে খাওয়া হবে। এরপর দুইটার দিকে গোসল করতে গেলাম। এ ফাঁকে আমার ছেলে খুদের ভাত, ডাল ভর্তা ও ডিম দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিল। এরপর তারা ভাই-বোন বেশ দুষ্টামি করছিল। বারান্দায় গিয়ে তারা ছবি তুলল। আমাকে পরে দেখালো।

IMG_20240207_172422.jpg

অতঃপর তিনটার দিকে সবাই খাওয়া সেরে নিলাম। খাওয়ার পরে আমি হট ওয়াটার ব্যাগ গরম করে নিলাম। প্রচণ্ড কাজের চাপে আমার ব্যাক- পেইনটা বেড়ে গিয়েছে। তাই চা খেতে খেতে সেঁক দিতে লাগলাম। এরপরে আসরের আযান দিয়ে দিল।রান্না সহকারী আসলে তাকে রান্না করার জিনিস গুলো বের করে দিলাম। মসলা বাটা ছিল না। তাই আদা-রসুন-পেঁয়াজ এগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে দিলাম। এরপরে রান্না শেষে আবারো সেঁক দিতে বসলাম। আসলে সবমিলিয়ে শরীরের অবস্থা মোটেও ভালো না।এখনো আমার অনেক কাজ বাকি। কিন্তু সারা দিনের নিয়মিত কাজ শেষে আর বাড়তি কাজ করতে ইচ্ছে করে না।

IMG_20240207_173510.jpg

এদিকে আগামীকাল কারো স্কুলে যাব না। কারণ আমার বোনের গয়না তুলতে ব্যাংকে যেতে হবে। অনেক দিন সময় দেবো করে দিতে পারছিলাম না। আগামীকাল যেহেতু দুপুর পর্যন্ত বাসায় থাকব না তাই কাজগুলো গুছিয়ে নিলাম। আর এখন সন্ধ্যার পরে লিখতে বসেছি। যদিও কাজের ফাঁকে বারান্দায় গিয়ে দেখেছিলাম সূর্য ডুবে যাচ্ছে এবং তার রং টকটকে লাল।ছবি তুলে নিলাম আর বিজয়নগর মোড়ের ছবিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম।আজ আর লিখছি না। সবাই ভালো থাকবেন।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iQCjo8xoKWHSEpzPyRNRsVL6gfxRoM2huMuKokQX4y8WbgZrrXEJ88FyZYkLnmKa7wBX1sioJmC.png

DeviceName
Androidvivo v19
Cameratriple camera 48mp+8mp
LocationBangladesh 🇧🇩
Shot by@hasnahena

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD_1.gif

Sort:  
Loading...
 6 months ago 

আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দারুণ কিছু মহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। দিনটি অনেক দারুণভাবে এবং আনন্দঘন পরিবেশে কাটিয়েছেন। বিশেষ প্রোগ্রামে অনেকে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন খাবার খেয়েছেন। এর মধ্যে আপনার ভাগে পরেছিলো ভুড়ি ভাজা নিয়ে যাওয়ার। ভুড়ি ভাজা আমারও খুব পছন্দের একটি খাবার। সব মিলিয়ে দারুন ছিলো সবকিছু।

ভালো থাকবেন আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 66996.66
ETH 3235.91
USDT 1.00
SBD 2.63