Better life with Steem || The Diary game ||31 August 2024||
আজ শনিবার বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ।তাই যথারীতি সকালে একটু দেরি করেই ঘুম থেকে উঠলাম। প্রথমে কিছুক্ষণ বসেই রইলাম।ভাবছিলাম আজকে সারাদিনে কি কি কাজ আছে।আর কি কি করতে পারবো! প্রথমে নাস্তার কাজ সম্পন্ন করে নিলাম।নাস্তা খেয়ে ঘর গুছিয়ে উঠতে উঠতে এগারোটা বেজে গেল।
আজকে বাহিরে কাজ আছে তাই যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেলাম।প্রথমে যাবো বায়তুল মোকাররম।ওখানে কিছু দোকান আছে যেখানে বাহিরের সমস্ত পণ্য পাওয়া যায়।ওখান থেকে খাওয়ার জন্য গুড়া দুধ কিনব।এজন্যেই যাওয়া।দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত হেঁটে ঘুরে বায়তুল মোকাররমের দিকে রওনা দিলাম।বেশ কিছু দোকান দেখলাম এখানে।
কৌতূহল বশত একটু দেখতে গেলাম কি আছে?দেখলাম যে সব ছেলেদের আইটেম। ট্রাউজার পাওয়া যাচ্ছে।হঠাৎ করে মনে হল আমার ভাইয়ের জন্য আরও দুটি ট্রাউজার কেনা দরকার।প্রথমে কটন কিছু থ্রি কোয়াটার ট্রাউজার পছন্দ হলো।আমার ছেলের জন্য তিনটা কিনলাম।পরে আরেকটি দোকানে গেলাম সেখানে সুতি কাপড়ের দুটি ট্রাউজার পছন্দ করলাম ভাইয়ের জন্য।এখানে আবার আমার ছেলের জন্য একটি প্যান্ট পছন্দ হলো। অবশেষে তিনটাই কিনে নিলাম।
এরপরেই চলে গেলাম বায়তুল মোকাররমে তিন নম্বর গেটে।আমি আলমারাই গুড়া দুধ কিনতে এসেছি।বেশ কয়েকটি দোকানে খুঁজলাম।প্রথমে না পেলেও পরে একটি দোকানে পেলাম।কিন্তু সেখানে এক কেজির প্যাকেট নেই।সোয়া দুই কেজির পলি ব্যাগ ও আড়াই কেজির বড় টিন আছে।কিন্তু এ দুটির দামে ও বিস্তর ফারাক।সোয়া দুই কেজির টা ৩০০০ টাকা আর আড়াই কেজির টিন সাড়ে চার হাজার টাকা।দাম দর করার কোন সুযোগই নেই।কয়েকদিন পরে নাকি এর থেকে বেশি দামে কিনতে হবে।
তারপর আবার অন্য দোকান দোকানে খুজলাম কিন্তু পেলাম না।পরে আবার ওই দোকানে এসে প্রথমে টিনের কৌটা দেখছিলাম।কিন্তু টিনের কৌটার উপরে শুধু একটি পাতলা প্লাস্টিকের ঢাকনা।আমার কাছে মনে হল এটি দুধকে ভালো রাখার জন্য যথেষ্ট উপযোগী ঢাকনা নয়। ঢাকনাটা বেশ ঢিলা।তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পলি প্যাকেট টাই কিনবো।১০০ টাকা কম ২৯০০ টাকা রাখল।এরপরে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
হেঁটে রওনা দিলাম কারণ আমার ছেলে ওর জন্য সিংগারা নিয়ে যেতে বলেছে।ফেরার পথে দেখলাম যে খুব সুন্দর লাল রঙের জাম্বুরা বিক্রি হচ্ছে।দেখেই কিনতে ইচ্ছে হলো।দাম নিলো একটা ১০০ টাকা।এরপর সিঙ্গারা দোকানের সামনে থামলাম।পাশেই মোহাম্মদ আলী ভাইয়ের তরকারির দোকান।ওখান থেকে এক কেজি গাঠিকচু, এক হালি লেবু ও পুই শাক কিনলাম।আর সিঙ্গারাও সমুচা ১০০ টাকার নিলাম।
এরপর বাসায় চলে আসলাম।বাচ্চাদেরকে নাস্তা দিয়ে আমিও বসে ওদের সাথে নাস্তা করে নিলাম।ততক্ষণে মনে হল যে,ভাইয়ের জন্য এর আগেও দুটি ট্রাউজার কিনে রেখেছি।আজকে সহ মোট চারটি। এগুলো পাঠিয়ে দেয়া দরকার। আজকে যদি আমি না পাঠাই তাহলে আবার আমাকে শনিবারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
অতঃপর আবার রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। ঘড়িতে তখন একটা বাজে। কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস একেবারে দূরেও নয় আবার কাছেও নয়।তারপরও হেঁটে গেলাম।দেড়শ টাকা লাগলো ট্রাউজার পাঠাতে।অতঃপর ওখানকার কাজ শেষ করে আবার বাসায় রওনা দিলাম। ফেরার পথে আধা কেজি আদা কিনে নিলাম। কারণ ঘরে দেখেছি আদা শেষ হয়েছে।আধা কেজি আদার দাম নিলো দেড়শ টাকা।
এসে আগে টেবিলে খাবার দিয়ে গোসল সেরে নিলাম।এরপর কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম।কিছুক্ষণ পর ঘর মোছার খালা আসলো।ঘর মোছার হলে জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম।তারপরে দুপুরের খাবার খেয়ে সবকিছু গুছিয়ে বসতে বসতে দেখি আসরের আযান দিয়ে দিয়েছে।আসরের নামাজ পড়ার পরে রান্নার খালা চলে আসলো।খালাকে রান্নার কথা বলে আমি আদা ছিলতে বসলাম।
ব্লেন্ডারে আদা-রসুন বেটে দিলাম।এছাড়া যেহেতু আজকে ভুঁড়ি রান্না করেছি তাই ভুঁড়ির জন্য স্পেশাল মসলা গুঁড়া করে নিলাম।আজকে খুব বেশি কিছু রান্না করা হয়নি।ভুঁড়ি ভুনা, পুঁই শাক ভাজি ও ডাল সবজি করেছি। দুপুরে ফেরার পথে যে জাম্বুরা কিনেছিলাম সে জাম্বুরা সন্ধ্যার দিকে খেলাম।১০০ টাকা দিলেও একেবারে লস হয়নি কারণ জাম্বুরা টা মোটেও টক নয়।
এভাবে সারাদিন অত্যন্ত ব্যস্ততার সহিত আমার কেটে গেল।বেশ কিছুদিন ধরেই আমার শরীরটা খুব একটা ভালো নয়।বিভিন্ন কারণে মনটাও ভালো নয়।তাই সব মিলিয়ে কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেছি।প্রতিটি দিন চেষ্টা করছি যেন ভালোভাবে কাটাতে পারি।সৃষ্টিকর্তা আমার ও সকলের প্রতি সদয় হোন এই কামনা করছি।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
আপনার দিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনি একটি ব্যস্ত এবং পূর্ণ দিন কাটিয়েছেন, এবং বিভিন্ন কাজের মাঝে সময় বার করে নানান কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।বিশেষ করে, বিভিন্ন জিনিসের দাম ও প্রয়োজনীয়তার মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। আপনি খুব ভালোভাবেই সবকিছু সামলানোর চেষ্টা করেছেন।আপনার শরীরের অসুস্থতা ও মনমালিন্যের কথাও পড়লাম। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আপনার মনোভাবও ভালো হবে।
ছুটির দিনে কেনাকাটা অনেক সুবিধা হয়, ছুটির দিনে আমরা অনেক জায়গায় যেতে পারি, বিশেষ করে কেনাকাটার জন্য মার্কেটে যাওয়া যায়, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমার সাথে শেয়ার করার জন্য।