Better life with Steem || The Diary game ||30 October 2024||
![]() |
---|
অভ্যাসবশত ভোরেই ঘুম ভেঙে গেলো।মেয়ের পরীক্ষা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে।আজও পরীক্ষা আছে।তাই সকাল সকাল হাতের কাজ গুলো সেরে নিলাম।এরপর ছেলেমেয়েকে নিয়ে বের হয়ে গেলাম।প্রথমে ছেলের স্কুলে গিয়ে ওকে নামিয়ে দিলাম।এরপর মেয়ের কলেজে গেলাম।ওকে নামিয়ে দিয়ে আবার ছেলের স্কুলে আসলাম।এসে প্রথমে ক্যান্টিনে ঢুকলাম।
আগের দিন এক বান্ধবী তার জন্মদিনের দাওয়াত দিয়েছিল।সকাল বেলায় বিরিয়ানির দাওয়াত তাই আমি খুব আন্তরিকতার সহিত তাকে মানা করলাম।সকালে এসে দেখি সে আমার সাথে আর কথা বলছো না।কি আর করা!!! অতঃপর আমি ছাতা নিয়ে বাহিরে এসে বসে রোদে বসলাম।
![]() |
---|
শরীরে ভিটামিন ডি এর ব্যাপক ঘাটতি হয়েছে। এমন অবস্থা হয়েছে যে এটা শুধু ওষুধ দিয়ে সারবে না।সকালে রোদ লাগাতেই হবে।এখন রোদে বেশ তাপ আছে।মাথায় ছাতা দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করলাম গায়ে রোদ লাগাতে। আধাঘন্টা পরে আবার ক্যান্টিনে চলে আসলাম।
ক্যান্টিনে এসে প্রথমে নাস্তা করে নিলাম। আজকে বান্ধবী জেরিনের তিন বছরের ছেলে এসেছে।বাবুটা খুবই গোলুমোলু ও ভীষণ দুষ্ট।তার পাকা পাকা কথা শুনতে বেশ ভালো লাগছিল।আমরা কফির অর্ডার দিলাম। আমাদের কফি খাওয়া দেখে ওর ও কফি খেতে হবে।কফি খেতে গিয়ে কফি তো খেতে পারল না পুরোটাই ফেলে দিল।যেহেতু আমি ওর পাশেই বসা ছিলাম তাই কফির ছিটা আমার জামায় এসে পড়ল।
সবাই বললো যে জায়গায় কফি লেগেছে তা ধুয়ে ফেলতে নইলে দাগ আর যাবে না।আমিও দেখলাম আমার হালকা গোলাপি রঙের জামার অবস্থা বেশ খারাপ।কি আর করা! উঠে ওড়না ও জামা ভালো করে ধুয়ে নিলাম।আবার এসে বসলাম।জেরিন তো বিরক্ত হয়ে বাচ্চাকে গাড়িতে পাঠিয়ে দিল।
এভাবেই আজকে সময়টা বেশ কেটে গেল। মেয়ের ছুটি হতে হতে দুপুর একটা।আর ছেলের স্কুল ছুটি হয় বারোটায়।এই এক ঘন্টা কাটানো আমার জন্য যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়ে।আধাঘন্টা ছেলেকে বাড়তি সময় ক্লাসে রেখে সাড়ে বারোটার দিকে নিলাম।এরপরে গেলাম সিনড্রেলায় চশমা বানাতে দিতে।চশমার গ্লাস পাল্টাতে হবে।আমার চোখের পাওয়ার চেঞ্জ হয়েছে।আগে শুধু মাইনাস ছিল।এখন প্লাস মাইনাস দুটোই হয়েছে।একটি চশমা ২০০০ টাকা লাগবে বললো।
চশমা বানাতে দিয়ে ছেলেকে একটি সমুচা কিনে দিলাম।এরপরে মেয়ের কলেজে চলে গেলাম।ছুটি হলে মেয়ে সহ বাসায় চলে আসলাম।বাসায় পৌঁছাতে প্রায় দুইটা বেজে গেল।হাতের কাজ গুছিয়ে টেবিলে খাবার দিয়ে গোসল করে নিলাম।দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রায় তিনটা বাজে নিয়মিত।হঠাৎ করে মনে হলো সেদিন যে কলা আনা হয়েছিল কলা গুলো কেটে আমি চালের ড্রামে রেখেছিলাম পাকার জন্য।
![]() |
---|
[এটা আগে তোলা ছবি]
আজকে খুলে দেখি পেকে গেছে।তাই কলা গুলো ড্রাম থেকে বের করে ধুয়ে পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখলাম।শুক্রবারে সাভার থেকে পাঁচ ছড়া কলা এসেছিল।আসলে সার দেয়া হয় না বিধায় কলাগুলো বেশ ছোট ছোটই হয়।কিন্তু খেতে বেশ সুস্বাদু।চারটার দিকে ছেলে রেডি হয়ে বাহিরে চলে গেল।দিন ছোট হয়ে যাওয়াতে আসলে বিকেলের দিকে একেবারেই সময় পাওয়া যায় না।
একটু পরে রান্নার খালা চলে আসলো।আজকে খুব বেশি কিছু রান্না করতে দেইনি।কারণ নেহারি রান্না করা হবে।খালাকে বললাম হাড়গুলো ভেজে নিন।আমি মসলা দিয়ে দিচ্ছি।মূলত শুক্রবারে সকালে নাস্তায় খাওয়ার উদ্দেশ্যে নিহারি রান্না করা হচ্ছে।দুদিন ধরে জ্বাল দেয়া হবে।তাহলে বেশ ভালো মতন নিহারি রান্না হয়ে যায়।
![]() |
---|
মাগরিবের নামাজের পরে আমি হাঁটতে চলে গেলাম।প্রায় এক ঘন্টা হেঁটে নেয়ার পরে আবার গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।এরপর এশার নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।ব্যস্ততার সহিত কিভাবে দিনটি কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না।সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সবার দিন সুখে ও শান্তিতে কাটুক।সবাই ভাল থাকবেন এই কামনা করছি।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
নিহারির ঝোল দিয়ে সকাল বেলা হাত ঝাড়া পিঠ া অর্থাৎ ছিটিরিটি পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে নিহারি আমার কাছে অনেক প্রিয়। আমরা দিনে দিনে সৌখিন হয়ে যাচ্ছি এজন্য তো কেউ গায়ে রোদ লাগাতে চায় না আর এর কারণেই অনেক ভিটনের অভাবেই আমরা ভুগছি। বিশেষ করে ফরমালিনযুক্ত খাবার কে ভিটামিন তার থেকে তো পাচ্ছি না উল্টো শরীরের ক্ষতি হচ্ছে।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
একদমই সঠিক বলেছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।