Better Life With Steem || The Diary game || 29December
[Edit by Picsart]
গতকাল থেকেই জানতাম যে আজকে মেহমান আসবে। তাই মানসিক প্রস্তুতি ছিল। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম। অতঃপর আবার শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠলাম। আজকে যেহেতু শুক্রবার, মাঝে মাঝে আমরা শুক্রবারে বাহিরে থেকে নাস্তা কিনে আনি। আজকে যেহেতু রান্না বান্নার বেশ কাজ আছে তাই আজ সকালে নাস্তা বানালাম না।
হোটেল থেকে আনা হলো। বাসায় শুধু ডিম ভাজি করেছিলাম।আমি তন্দুর রুটি, ডিম ভাজি আর ছোলার ডাল দিয়ে নাস্তা সেরে নিলাম। নাস্তা খাওয়া শেষে জলদি ঘরদোর গুছিয়ে ফেললাম। আগের রাতেই মশলা পাতি ও মাংস নামিয়ে রেখেছিলাম। সেগুলো বরফ ছেড়ে দিয়েছিল। ঘরের কাজ শেষ হতে না হতেই মেহমান চলে এলো। আজকে মেহমান ছিল আমার ভাই, ভাবি তাদের তিন বাচ্চা। আর আমার বোনের ছেলেও আসবে কিন্তু একটু পরে।
অতঃপর কাজ ফেলে আগে শরবত বানিয়ে নিলাম। সবাইকে শরবত দিয়ে ফল কেটে দিলাম। ওরা নাস্তা করে নিল।এরপর রান্নাঘরে রান্নার কাজে নেমে পড়লাম। আগের দিন মুরগি কষিয়ে রেখে দিয়েছিলাম।আজকে শুধু গরুর মাংস আর অন্যান্য রান্না করব। তাই একপাশে গরুর মাংস বসিয়ে দিলাম অন্য পাশে বেগুন ভাজি, মাছ ভাজি ও ডিম ভুনা করে নিচ্ছিলাম। রান্না শেষ করতে করতে প্রায় একটা বেজে গেল।এ সময় আমার বোনের ছেলে চলে আসলো।
এসেই আমাকে এসে বলল তাকে চা দিতে। সে কোন নাস্তা খাবে না। এদিকে তার শরীরটা ভালো না। জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত।তারপরও তাকে কোন নাস্তা খাওয়াতে পারলাম না। রান্না শেষ করতে করতে পুরুষেরা সবাই নামাজ পড়তে মসজিদে চলে গেল। আমি গোসল করে আগে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর আমার ভাইয়ের ভাবির সাথে অনেকক্ষণ গল্প গুজব করলাম। ভাবি পোলাওটা রান্না করে দিল।
ভাবিকে আমি একটি বোরকা গিফট করলাম। এরপরে ভাইয়ের মেয়েদের সাথে গল্প করছিলাম। ততক্ষণে আড়াইটা বেজে গেছে।নামাজ থেকে সবাই চলে এসেছে। যেহেতু ওরা আজকে চলে যাবে তাই চটজলদি খাবার দিয়ে দিলাম টেবিলে। সবাই খেয়ে নেয়ার পরে আমিও জলদি খেয়ে নিলাম। আর বাবুদেরকে চকলেট,সালামি দিলাম।অতঃপর আসরের নামাজের পরে ওরা বিদায় নিয়ে গেল। এরপরে ঘরের অবস্থা, টেবিলের অবস্থা সবমিলিয়ে ঘরে অনেকগুলো কাজ জমে গেল।
এদিকে গত দুইদিন থেকে আমার শরীরটা ভালো না। প্রেসারের সমস্যা যাচ্ছে। তাই মন চাইছিল না আর কোন কাজ করতে। কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম। অতঃপর রান্নার সহকারী এলে মন না চাইতেও উঠে যেতে হল। কারণ রাতে বা আগামীকাল কি খাবে সেটা ঠিক করতে হবে। এদিকে মুরগি,গরু ও পোলাও আমি একটু বেশি করে রান্না করেছিলাম। বাড়িতে আমার আরেকটি ভাই আছে তার জন্য বক্স করে প্যাকেট করে দিয়ে দিলাম।কোন খাবারই আমি আর রাখলাম না।
তাই এখন আবার নতুন করে রান্না করতে হবে।অতঃপর রুই মাছের ঝোল, সবজি ভাজি করে নিলাম।এগুলো দিয়ে আজকে রাতে খেয়ে নেব। এদিকে আমার বোনের ছেলেও ওর বন্ধু আসার পরে বিদায় নিয়ে চলে গেল। আর এখন খুব টায়ার্ড লাগছে।আজকে মন চাইছে না আর কোন কাজই করতে। তাই আজকের মত এখানে লেখা শেষ করছি।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
ছুটির দিন আার সেই সাথে বাসায় মেহমান আসবে বলে নাস্তা কিনে এনেছিলেন। আপনি শুধু তন্দুর, ডিম ভাজি আর ডাল দিয়ে নাস্তা করে নিয়েছিলেন।
আগের দিন মুরগী ভুনা করে রেখেছিলেন যার কারনে আজকে শুধু গরুর মাংস, ডিম ভুনা, বেগুন ভাজির মতো জিনিসগুলোই রান্না করেছিলেন।আর পোলাওটা আপনার ভাবি রান্না করে ।
আপনার ব্যাস্ততাময় একটা দিনের দিনলিপি আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আজকে যেহেতু ছুটির দিন ছিল তাই সকাল বেলা বাহির থেকে নাস্তা নিয়ে এসেছিল। নান রুটি আর ডাল সঙ্গে বাসায় ডিম ভেজে নিয়েছিলেন সকালে নাস্তা ভালোভাবে হয়ে গেল। আপনার আজকে বাসায় ভাবি এবং বাচ্চারা আসছে । সত্যি অনেক মিষ্টি তিনটি মেয়ে । তারা যেহেতু একই কালারের ড্রেস পড়েছে তাই তাদের দেখতে আরো সুন্দর লাগছে ।তাদের জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া ।তাদের আপনি নাস্তা দিয়েছেন এবং আপনার ভাবিকে একটি বোরকা গিফট করেছেন ।আসলে মেহমান আসলে ভালই লাগে সময় আনন্দ কেটে যায় ।তবে একটু কাজের চাপ থাকে বেশি ।সবমিলিয়ে আপনার ছুটির দিনটি খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন ।আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম ।
কাউকে কোন কিছু গিফট করতে পারলে আমার খুবই ভালো লাগে। আর যদি গিফটটা তার প্রয়োজনের বা পছন্দের হয় তাহলে তো আরো ভালো লাগে। আর বাচ্চাগুলো মাশাল্লাহ খুবই শান্ত। ওরা চলে যাওয়ার পরে মনটা কেমন যেন খারাপ হয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
শুক্রবার ছিল এবং ছুটির দিন তার জন্য সকালে নাস্তা বাহির থেকে কিনে নিয়ে আসলেন। আপনার বাসায় মেহমান আসবে তার জন্য সব কিছু গুছিয়ে রেখেছেন। আপনার ভাবি ভাইয়া এবং তার তিন মেয়েরা এসেছে। আসলে ওদের তিন বোনকে কেউ ড্রেসের দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। রান্নাবান্না শেষ করে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে নিলেন। খাওয়া-দাওয়া শেষ এবং আসেন নামাজ পড়ে তাদেরকে বিদায় জানালেন। আর বোরকার কালা টা কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে।
থ্যাংক ইউ আপনার সারাদিনের ব্যস্তময় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
আপনার বাসায় মেহমান আসবে তার আগে আপনি উল্লেখ করেছেন। যথারীতি চলে এসেছে। ওরা কি টু ই নাকি ছবিগুলো দেখে
মনে হলো টুইন বেবির মতো। যাহোক সকালে নাস্তা বাইরে থেকে কিনে এনে খেয়েছেন। দুপুরের খাবার হেব্বি ছিল। এই ধরনের মেহনতে খুবই ভালো হয়। যারা একটু সাহায্য করে। ভাবি বলে পোলাটা নিজে রান্না করেছে। আপনার ভাবিকে বোরকা গিফট করলেন। আসলে প্রিয়জনকে কোন কিছু দিতে পারলে অনেক
ভালো লাগে। অনেক অনেক সুন্দর ভাবে কাটলো আজকের দিনটি আপনার।
জি আপু আপনি ঠিকই ধরেছেন। বড় দুইজন টুইন। আল্লাহ আমাদের ঘরে রহমতের ভান্ডার ঢেলে দিয়েছেন। বাচ্চা গুলো খুবই শান্ত। তবে কথাবার্তায় পুরো ই আমার মত। হাজার হোক ভাইঝি তো!!!অবশ্য ছোটবেলায় আমি এতটা শান্ত ছিলাম না। যাইহোক আপনার মন্তব্যটি পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আর সত্যি ঠিকই বলেছেন কাউকে কোন কিছু গিফট করতে পারলে খুবই ভালো লাগে।
ছবি দেখে আঁচ করতে পেরেছিলাম। বেস্ট কিউট। মেহমান হলো আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নেয়ামত। মেহমান সবার বাসায় আসে না। আপনারা ভাতিজিদের জন্য দোয়ারইল।
বাসায় মেহমান আসলে বাসার কাজ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তাই আমাদেরকে একটু শান্তভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করতে হয়। আপনার হাতের কাজ শেষ না করতে করতেই মেহমান বাসায় এসে উপস্থিত। আপনার ভাইয়ের তিন কন্যা মাশআল্লাহ, আল্লাহতালা তাদেরকে সহিসালামতে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুক।
তারা সবাই চোখে সানগ্লাস পরে আছে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। সে সাথে আপনি আপনার ভাবিকে একটা বোরকা গিফট করেছেন। আসলে অনেক ভাবের মধ্যে এটাই হচ্ছে সবচাইতে ভালো সম্পর্ক। আপনার ভাইয়ের জন্য আবার খাবার বক্সে করে দিয়ে দিয়েছেন। সন্ধ্যায় আবার আপনি রান্না করেছেন। আপনার দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে কেটে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
জি আপু ঠিকই বলেছেন। আল্লাহ মেহেরবান তাই আমাদের ঘরে কন্যা সন্তান দিয়েছেন। আর ওদের মধ্যে বড় দুইজন টুইন। ওরা যখন একই রকম জামা কাপড় পড়ে ঘুরে তখন দেখতে খুবই ভালো লাগে। ঘরে মেহমান আসলে যদিও কিছুটা কষ্ট হয় তবে খুব ভালো লাগে। যদি তাদেরকে সুন্দর করে আপ্যায়ন করতে পারি তাহলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। নইলে কেমন যেন মনটা খচখচ করে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আমাদের কোরআনের মধ্যে একটা কথা আছে। যে যার ঘরে তিনটা কন্যা সন্তান তার ঘরে তিনটা জান্নাত। আপনার ভাই যদি এদেরকে সঠিকভাবে লালন পালন করে, একজন ভালো মানুষে পরিণত করতে পারে। এবং আলেমের কাছে বিয়ে দিতে পারে। তাহলে আপনার ভাই এই পৃথিবীতেই জান্নাত কিনে নেবে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আজ সারাদিন অনেক ব্যস্ত ছিলেন যেটা আপনার পোষ্ট করে বুঝতে পারলাম।
জী আপু আপনি ঠিকই ধরেছেন। বড় দুইজন জমজ। মেহমান আসলে পুরোটা সময় সত্যিই ব্যস্ত কাটে। আপ্যায়নের সময় বারবার খেয়াল রাখতে হয় যাতে কোন কিছুর কমতি না হয়। আমি এ ব্যাপারে অত্যন্ত সচেষ্ট থাকি। তারপরও দেখি কিছু না কিছু ভুল হয়েই যায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পেয়ে।
এত সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্ট মনে খাওয়া দাওয়া সুন্দর সুন্দর খাবার নিয়ে হাজির হওয়া আমার বেশ ভালো লাগে। আপনার ভাই এবং ভাবি এসেছে এবং বাচ্চারা এসেছে। তবে তিনজন অ্যাড্রেস একদম। ওদের ভিতরে দুজন মনেই টুইন বেবি 😍তিনজনকে একই ড্রেসে একই চশমা অসাধারণ লাগছে। গরুর মাংস, ডিম ভুনা, বেগুন ভাজির মতো জিনিসগুলোই রান্না করেছিলেন।গরুর মাংস আর বেগুন ভাজি এই দুইটা আমার কাছে অনেক পছন্দের একটা খাবার। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আপনি সকাল বেলা নাস্তা করেছেন তন্দুর রুটি ডিম ভাজি আর ছোলার ডাল দিয়ে আসলে খাবার টা দেখে অনেক সুস্বাদু লাগলো।আর আপনি আপনার ভাবী কে একটা বোরকা গিফট করছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো।আর আমি একটা জিনিস দেখলাম যে আপনার ভাবীর মেয়েরা এক ধরনের জামা পড়েছে দেখে ভালোই লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ওদের মধ্যে বড় দুইজন টুইন। এজন্য বেশিরভাগ সময় তাদের জন্য একই রকম জামা কিনতে হয়। পরে ভাবলাম তিনজনের জন্যই একই রকম জামা দেবো। তাই জামা এক রকম হয়ে গেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু ওদের দেখতে অনেক ভালো লাগছিল আর এই বিষয়টা দেখে আমার জীবনের একটা কথা মনে পড়লো সেটা হলো এখন দেখে ১০ বছর আগে আমি আর আমার বড় ভাই ঠিক এক কালার এক ধরনের জামাকাপড় পড়তাম ওদের মতো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।