Better Life With Steem || The Diary game ||29 May 2024||
![]() |
---|
[Edit by PicsArt]
কয়েকদিন ধরে মেয়ের পরীক্ষা চলেছে।তবে আজকে পরীক্ষা নেই। তাই কলেজে যাবে না। ফলে সকালে একটু দেরিতে ওঠার সময় পেলাম। যদিও খুব বেশি দেরি নয়। সাতটার দিকেই উঠে যেতে হলো।সবকিছু গুছিয়ে ছেলের টিফিন দিতে যেয়ে দেখি আজকে কোন কেক বা চকলেট,বিস্কুট কিছুই নেই।
তাই ওকে বললাম যে আজকে আলুর চপ কিনে দেবো।আটটায় রওনা দিলাম সাড়ে আটটায় পৌছে গেলাম। ছেলে ও কেয়ার গিভার দুজনের জন্য দুটি আলুর চপ ও দুটি ডিম চপ কিনে ওদেরকে ক্লাসে পাঠিয়ে দিলাম। আর আমি এসে ক্যান্টিনে বসলাম। প্রথমে নাস্তা করে নিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
একে একে বান্ধবীরাও সবাই চলে আসলো। এরপর বেশ কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে কাটিয়ে দিলাম। বান্ধবী নার্গিস সহ ঠিক করলাম সিএসডি যেতে হবে। ছেলের টিফিনের জন্য কিছু জিনিস কিনতে হবে। তাই সাড়ে দশটার দিকে চলে গেলাম।
প্রথমে ছেলের পছন্দের জিনিসগুলো কিনে নিলাম। এরপরে ভাবলাম মাছ কিনতে যাই। আজকের মাছ বেশ তাজা ও ছিল।কিন্তু যেহেতু মাত্র সাড়ে দশটা বাজে তাই এ বেলায় আর মাছ কিনলাম না।তবে কিছু কাঁচা আম কিনলাম আচার দেবো বলে।
![]() |
---|
![]() |
---|
শপিং শেষ করে আবারো ক্যান্টিনে আসলাম।
সাড়ে বারোটায় ছেলের স্কুল ছুটি হয়ে গেলে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। এসে প্রথমে হাতমুখ ধুয়ে নিলাম। কাঁচা আমগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখলাম। আমের ভেতরে নিজস্ব একটি গরম থাকে। আচার বানাতে চাইলে অবশ্যই উচিত আগে আম পানিতে ভিজিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়া। এটা অনেকেই জানেনা।
টেবিলে খাবার দিয়ে দেখলাম যে অনেকগুলো কাপড় জমে আছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমার ওয়াশিং মেশিনের সার্কিট নষ্ট হয়ে গেছে। সার্ভিস সেন্টারের লোকটি গ্রামের বাড়িতে গেছে। তাই সার্কিট বদল করা যাচ্ছে না।এদিকে আমি কাপড় ধুতে ধুতে অস্থির। যাইহোক আজও বেশ কিছু কাপড় ধুয়ে গোসল করে নিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
গোসল শেষ করে আগে খেয়ে নিলাম। তারপর যোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপরে একটু বসলাম এমন সময় ওয়াশিং মেশিনের লোক ফোন দিয়ে বলল সাড়ে চারটার দিকে আসবে। তাই ভাবলাম বসে রেস্ট না নিয়ে আগে আমগুলোকে সাইজ করি।প্রথমে আমগুলোকে ভালো করে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে কেটে নিলাম।
অর্ধেক আমি কেটে নিলাম আমতেল করব এজন্য আর কিছু আম গ্ৰেটারে গ্ৰেট করে নিলাম ঝুরি আচার করব এজন্য। তবে ঝুরি আচারের জন্য আম কম হয়েছে বলে মনে হলো। আগামীকাল আবার কিছু আম কিনব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। অতঃপর আমের কাজ শেষ করে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম।
এরপর রান্নার যাবতীয় সব জিনিস গুছিয়ে নিলাম। ততক্ষণে রান্নার খালা চলে এসেছে এবং তার কিছুক্ষণ পরে মিস্ত্রিও এসে পড়ল। মিস্ত্রি কাজ শেষ করলে তাকে টাকা দিয়ে বিদায় করে নিলাম। ভালো করে চেক করে নিলাম ঠিকমতো কাজ হচ্ছে কিনা। সবই ঠিক আছে শুধু ফাংশন গুলোর টাইমিং এখন উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে।
এরপরে ফোন দিলাম কিচেন হুড মিস্ত্রিকে।বললাম সন্ধ্যার পরে এসে যেন দেখে যায়। আসলে হঠাৎ করে কেন যেন ঘরের সব জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। একই সময় ওয়াশিং মেশিন, কিচেন হুড, ব্লেন্ডার সব নষ্ট হয়ে রয়েছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
মাগরিবের নামাজ শেষ করে ঘর গুছিয়ে ঝাড়ু দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।কিছুক্ষণ পরেই মিস্ত্রি আসলো। সে এসে বললো হুডের মটর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এগুলো খুলে নিয়ে যেতে হবে। আবার নতুন করে মটরের তার লাগাতে হবে। বললাম নিয়ে যান, সাথে ব্লেন্ডারটা ও নিয়ে যান।
মিস্ত্রি কে বিদায় দিতে দিতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেল। এরপর রাতের খাবার সবাইকে খাইয়ে দিলাম।এশার নামাজ আদায় করে এখন পোস্ট লিখতে বসেছি। আজকের মত আপনাদের সবার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।ভালো থাকবেন সবাই।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
আজ মেয়ের পরিক্ষা নেই এজন্য দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছেন, মানে ৭ টায়। আর আমার দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা মানে ১০ টা😀।
আজ বাসায় কেক না থাকায় আলুর চপ কিনে দিয়ে ছেলেকে ক্লাসে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এবং বান্ধবীদের সাথে বসে গল্প করছিলেন।
শহরে আপনাদের কাচা আম কিনতে হচ্ছে আর ঝড়ে আমাদের আম গাছের তলায় কাচা আমে পড়ে একাকার হয়ে গিয়েছে। এখানে শহর চর গ্রামের পার্থক্য। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার মেয়ের পরীক্ষা চলছে আজ পরীক্ষা ছিল না বলে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছেন এরপরে ছেলের জন্য টিফিন তৈরি করতে গিয়েছেন তবে, টিফিনটা তৈরি করা হয়নি তাই কিনে দেবেন ভাবছেন।
এরপরে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে চলে গেলেন এবং স্কুলে দিয়ে আপনি আপনার বান্ধবীদের সাথে আপনার ছেলের টিফিনে দেওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিলেন।
ঝুড়ি আমের এর আচার আমার বেশ পছন্দ। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য
আপনার মেয়ের মতো আমার ছোট ছেলেটার ও পরীক্ষা চলছে। তবে ওর স্কুল আমার বাসার একদম কাছে বলে চাপ কম। ছেলেকে স্কুলে দিয়ে ক্যান্টিনে যেয়ে নাস্তা করে বান্ধবীদের সাথে গল্প করলেন ,এরপর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করলেন। আচার দেয়ার জন্য আমও কিনেছেন।
আপনার তো দেখি একসাথে কয়েকটা কাজের জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। এর মাঝে ওয়াশিং মেশিন নষ্ট হওয়াটাই বেশি বিরক্তিকর। সবার কাপড় এক ধুতে হলে আসলেই বিরক্ত লাগে। তবে আশা করি দ্রুতই সব ঠিক হয়ে যাবে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে সিজনের একদম শেষে এসো আচার বানানোর ঝোঁক উঠলো। মূলত গরমের কারণেই এতদিন আচার বানানোর সাহস করিনি। এখন যদি না বানাই তাহলে আর এবছর বানানো হবে না। তাই কাজে নেমে পড়লাম। ভালো লাগলে আপনার মন্তব্য পেয়ে।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম গুলি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো ।আপনি সারাদিনই খুব ব্যস্ত থাকেন। বাড়িতে ছোট বাচ্চারা থাকলে কাজ আরো বেশি হয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পুরো পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য।
ছেলে মেয়েদের পরীক্ষা থাকলে বাবা-মা একটু টেনশনেই থাকে।। আজ মেয়ের পরীক্ষা ছিল না জন্য দেরি করেই ঘুম থেকে উঠেছেন। আবার ছেলে মেয়েদের স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলেন।।
এছাড়াও দেখতে পেলাম আপনি কিছু কাঁচা আম কিনেছেন যদি মূল্যটা দিতেন তাহলে ভালো হতো।। আর হ্যাঁ ইলেকট্রনিক জিনিস যেকোনো মুহূর্ত নষ্ট হতে পারে এটা স্বাভাবিক কিন্তু আশ্চর্য হলাম সবকিছুই একসাথে নষ্ট হয়েছে।।
আপনার মেয়ের পরীক্ষা না থাকার কারণে দেরিতে ঘুম থেকে উঠছেন। পরে ছেলে কি স্কুলে দিয়ে ক্যান্টিনে বসে ছিলেন। ক্যান্টিনে গিয়ে আপনার বান্ধবীর সহ বাইরে কেনাকাটা করতে গিয়েছেন। দেখলাম বেশ ভালই কেনাকাটা করেছেন।
আপনাদের বাসায় দেখি কম বেশি সবকিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। আসলে বাসার ব্যবহৃত জিনিস হঠাৎ করে নষ্ট হলে কাজ করা খুব মুশকিল হয়ে যায়।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।