Better life with Steem || The Diary game ||25 June 2024||

in Incredible India2 months ago
1719321244192.png

[Edit by Collage Maker]

গত কয়েকদিন ধরে মেয়ের কলেজ বন্ধ থাকার বেশি সুবিধা নিচ্ছি আমি।ছেলের স্কুলে ওর বাবা দিয়ে আসছে।আমি শুধু যেয়ে নিয়ে আসছি।তাই সকাল বেলা টা খুব আরামেই কাটাচ্ছি। তবে বলে না!!! সুখ বেশি দিন কপালে সয় না।যেখানে কলেজ তিন তারিখে খোলার কথা ছিল সেখানে আগামীকালই খুলে দিবে।যদিও মেয়ে হয়তো রবিবার থেকে যাবে তাই আরো দু'দিন পেয়ে গেলাম।

IMG_20240625_105200.jpg

এজন্য সকালবেলাটা বেশ ধীরগতিতেই কাটে আমার।ছেলেকে দিয়ে ওর বাবা স্কুল থেকে আসার পরে নাস্তা করে নিই।আজকে নাস্তা করার সময় হঠাৎ আমার বোনের ছেলে ফোন দিল।বলল ওর বেশ জ্বর।শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।পুরো ঘরে সে একাই আছে। যদিও তখনই ওকে দেখতে যাওয়ার আমার সুযোগ হলো না।কারণ ছেলের স্কুলে যেতে হবে। তাই ওকে বললাম যে বিকালে আসবো।এরপর ফোন রেখে দুই প্যাকেট গরুর মাংস ভিজিয়ে রাখলাম।

IMG_20240625_105833.jpg

আমার ননদ যে কাঁঠাল পাঠিয়েছিল সে কাঁঠাল দেখলাম পেকেছে।আসলে পেকেছে বললে ভুল হবে।কচি অবস্থাতেই কাঁঠালটা নামিয়ে নিয়েছে। তাই জোর করে পাকানো যাকে বলে। এমন কাঁঠাল খেতে খুব একটা সুস্বাদু হয় না।তারপরও কাঁঠাল ভেঙে নিলাম।নইলে নষ্ট হয়ে যাবে।এরপরে হাতের কাজ গুছিয়ে ছেলের স্কুলে গেলাম ওকে আনতে।যাওয়ার সময় গতকাল কেনা ড্রেস প্যাকেট করে নিলাম টেইলারের দোকানে দেবো বলে।

IMG_20240625_110052.jpg

আসলে সামনে বিয়ের অনুষ্ঠান আছে।তাই গতকাল একটি থ্রি পিস কিনেছি।টেইলারকে ফোন দিলাম।টেইলার বললো সে এখনো বাড়িতে, ঢাকায় আসছে।আজকে আর ড্রেস দিতে পারব না।তাই ভাবছিলাম, টেইলারদের কত লম্বা ছুটি লাগে!!? আধা ঘন্টা আগে ছেলের স্কুলে পৌঁছলাম।স্কুলে গিয়ে ক্যান্টিনে বসে বান্ধবীর সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে নিলাম। পরে ছেলেকে নিয়ে আসতে আসতে প্রায় সোয়া একটা বেজে গেল।এসেই আগে রান্নাঘরে চলে গেলাম।

IMG_20240625_120329.jpg

গরুর মাংস বরফ ছুটিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিলাম।এরপর দুই রকম করে কেটে নিলাম। একটা একটু ছোট পিস করলাম আরেক প্যাকেটের মাংসের টুকরা একটু বড় রাখলাম। মূলত একটি ঝাল মাংস রান্না করবো আরেকটি সাদা মাংস।সাদা মাংস এ বছরের আগে আমি কখনো রান্না করি নি।এটা আমার বোন রান্না করতো।সে বেঁচে থাকতে কখনো রান্না করবো তার প্রয়োজন পড়েনি।

IMG_20240625_141828.jpg

গত বছর কোরবানির পরে আমাকে দাওয়াত দিয়ে কয়েক ধরনের মাংস রান্না করে খাইয়ে ছিল।গতবারের সেই সাদা মাংসের স্বাদ যেন মুখে লেগে আছে।তাই আমি কিছুটা অনুকরণ করেই উনার স্টাইলে রান্নাটা করেছি এবার ঈদে।আর আজকে করবো।

IMG_20240625_141249.jpg

প্রথমে মাংস ধুয়ে একপাশে রেখে পেঁয়াজ-আদা- রসুন এগুলো কেটে নিলাম।এরপরে ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিলাম।এদিকে প্রচন্ড গরমে আমার ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা।কিন্তু কিছু করার নেই।চেষ্টা করছি যোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগেই কাজ শেষ করতে।এজন্য আজকে প্রেসার কুকারের সহায়তা নিচ্ছি।

IMG_20240625_173857.jpg

প্রথমে ঝাল মাংস প্রেসার কুকারে তুলে দিলাম। কারণ আমার ছেলে ঘুরঘুর করছে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাবে এজন্য।এরপর সাদা মাংসের উপকরণগুলো গুছিয়ে নিচ্ছিলাম।এই মাংসে একটু বেশি উপকরণ লাগে।সরিষা বাটা,বাদাম বাটা, টক দই, কেওড়া জল, বেরেস্তা।বাকি. জিনিসগুলো গুছিয়ে নিয়ে সাদা মাংস প্রেসার কুকারে বসিয়ে দিলাম।এরপর সব উপকরণ একসাথে মিলিয়ে দমে ঢেকে রাখলাম।

IMG_20240625_173924.jpg

তারপরে চলে গেলাম গোসল করতে।গোসল করে এসে দেখি যোহরের আর মাত্র ৭ মিনিট বাকি আছে।জলদি জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম।এরপর আসরের ওয়াক্ত হলে আসরের নামাজও পড়ে নিলাম।এর মাঝে পোলাওটা বসাবো ভাবছি কিন্তু ততক্ষণে অনেক ক্লান্ত লাগছিল।তাই পোলাও চাল ধুয়ে,পানি গরম করে রেখে চলে আসলাম।এরপর রান্নার খালা আসলে তাকে বললাম পোলাওটা বসিয়ে দিতে।

IMG_20240625_173928.jpg

এর ফাঁকে আমি কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিলাম। খুব বেশি হলে ১০ মিনিট হবে।এরপর রেডি হয়ে খাবার গুলো হটপটে ভরে নিলাম।ছেলেকে নিয়ে বোনের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাস্তায় খুব বেশি জ্যাম ছিল না তাই তেমন দেরি হয়নি।যেয়ে দেখি ওর বেশ জ্বর।দুপুরে তেমন কিছু খায়নি।তাই ওকে আগে বললাম গরম গরম খাবার খেয়ে নাও।

IMG_20240625_190944.jpg

আমার ছেলে তার অভ্যাসবশত সেখানে যেয়ে বিস্কুট আর চা খুঁজতে লাগলো।অনেকক্ষণ পরে সে বুঝতে পারলো এখন আর তাকে চা বিস্কুট দেওয়ার কেউ নেই।তাই আর বিস্কুট খেলো না।দেখলাম রেখে দিলো।কিছুক্ষণ পরে খেয়াল করলাম বোনের বাসার বারান্দায় বেশ কিছু ফার্নিচার জড়ো হয়ে আছে। জিজ্ঞাসা করলাম এগুলো এখানে কেন?বললো এগুলো বিক্রি করে দেবে।

IMG_20240625_190913.jpg

মেহমানদেরকে নাস্তা দেওয়ার জন্য আমার বোনের তিন তাকের চলমান ট্রে ছিল।ডিজাইন পছন্দ করে উনি বানিয়ে নিয়েছিলেন।আমি বললাম এটা বাহিরে বিক্রি করো না।এটা আমি নিব।আমাকে দিয়ে দিও।এটা আমার বোনের স্মৃতি হিসেবে থাকবে।ও বলল ঠিক আছে, আপনি নিয়ে যান।অতঃপর বোনের বাসা থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় পৌঁছাতেই মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। নামাজ পড়ে এখন পোস্ট লিখতে বসলাম।গত কয়েকদিন বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে আমি ঠিকমতো কোন কিছুতেই সময় দিতে পারছি না। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

DiHLrjiPetHt6ciV9azim9NPHuTMQ59H51nYE8xqo83cHwKoMWBRmLojbYwVzV9tQHbQbS38qpoDVF7h1MKDoicCr8iqdBXbBpeXUAhSRs...v2uoYJLLGNKHUduDD6QojicEZMKyFqVqBMZbqeFstcERLXyHRx3F9DTnEwa2aLuKJt3RPuhi1j4YJwfM92kheG2sV3FFD2kYtYaQETCN5Y2txGb7x7NKKhqT3C.png

DeviceName
Androidvivo v19
Cameratriple camera 48mp+8mp
LocationBangladesh 🇧🇩
Shot by@hasnahena

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iQCjo8xoKWHSEpzPyRNRsVL6gfxRoM2huMuKokQX4y8WbgZrrXEJ88FyZYkLnmKa7wBX1sioJmC.png

◦•●◉✿ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।✿◉●•◦
Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনার সারাদিনের ব্যস্ততম সময় এবং আপনার রান্নার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

 2 months ago 

রান্না যে করে সেই জানে এটা কত কষ্টকর এবং পরিশ্রমের। যদি আবার মেহমান থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আপনার বেশি গুরুত্বপূর্ণ রান্নার জন্য পূর্ব থেকে সরঞ্জামগুলো একসাথে করা অর্থাৎ রান্নার জন্য প্রস্তুত করা।

আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রম থেকে এটা বুঝতে পারলাম যে আপনি সম্পূর্ণ দিন রান্নাসহ পারিবারিক কাজে অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 63422.01
ETH 2688.96
USDT 1.00
SBD 2.58