Better life with Steem || The Diary game ||22 November 2024||
![]() |
|---|
[Edit by pics Art]
পূর্ব থেকে নির্ধারিত ছিল আজ শুক্রবার নোয়াখালী যাব।আমার বোন মারা গেছে এক বছর হয়ে গেল।সেজন্য ছোট্ট একটি আয়োজন হবে বাড়িতে।এজন্যই মূলত আজকে যাওয়া।
ঢাকা থেকে আমি ভাইয়ের সাথে যাব।আর আমার ভাগ্নি কুমিল্লা থেকে আসবে।সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠলাম।সবকিছু গুছিয়ে নিলাম জলদি করে।ছয়টার দিকে ভাই ফোন দিল যে উনি রওনা দিয়েছেন।ধানমন্ডি থেকে আসতে খুব বেশি সময় লাগবে না।আমিও তৈরি হয়ে নিলাম।এরপর আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা দিলাম।
![]() |
|---|
গাড়ি বেশ কিছুক্ষণ চলার পরে হঠাৎ একটু অসুবিধা দেখা দিল।গতি বাড়ালে গাড়ি কাঁপছিল তাই ধীরগতিতেই গাড়ি চালানো হচ্ছে। কোনো একটা সমস্যা হয়েছে কিন্তু এই মুহূর্তে এটার সমাধান করার কোন উপায় নেই।সাড়ে নয়টার দিকে হোটেল নুরজাহানে পৌঁছে গেলাম।সেখানে নাস্তা করলাম তন্দুর রুটি, ডিম ভাজি ও মুগডাল দিয়ে।এরপরে কুমিল্লা বাইপাস রোড ধরে বাড়ির পথে রওনা দিলাম।
যেহেতু গাড়ির অসুবিধা তাই কাঙ্খিত সময় থেকে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।ততক্ষণে অবশ্য আমার ভাগ্নি পৌঁছে গেছে।ওর মায়ের তৈরি মাদ্রাসায় অপেক্ষা করছিল।আমাকে বলল আগে মাদ্রাসাতেই নামতে।তাই আমরা বাড়িতে না গিয়ে বাড়িতে ঢোকার পথে আমার বোনের গড়া স্কুল ও মাদ্রাসায় নামলাম। মাদ্রাসাটি এখন চালু আছে।তবে যেহেতু শুক্রবার তাই ছাত্র-ছাত্রী ছিল না।বেশ কিছুক্ষণ আমরা ঘুরে দেখলাম সবকিছু।
অবশ্য এর আগেই ওরা কবর জিয়ারত করে এসেছে তাই ওরা আর বাড়িতে গেল না।ওদের কে বিদায় দিয়ে আমরা বাড়ির ভেতরে ঢুকলাম। পুরো বাড়িটা নিরিবিলি আর আমাদের ঘর তো বন্ধই থাকে।বোনের কবরের সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম।একসাথে আমার দাদা দাদির ও কবর আছে।
এরপর চাচার ঘরে গিয়ে বসলাম। চাচী আমাদেরকে গাছের পেঁপে ও পিঠা বানিয়ে দিল। নাস্তা করে বেশ কিছুক্ষণ বাড়িতে ঘুরলাম।কয়েকজনের সাথে দেখা হলো।এরপর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম।যেহেতু গাড়িতে একটু অসুবিধা করবে বলেছে তাই আজকে সন্ধ্যা করে রওনা দেয়ার ঝুঁকি নিলাম না।ভাই বলল যে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যেতে হবে। চাচা চাচির কাছে বিদায় নিয়ে আসরের পরপরই বের হয়ে গেলাম।
এর আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবার সাথে অনেক কথা হলো।সব মিলিয়ে আমার মনটা বেশ বিষন্ন ছিল। সন্ধ্যার দিকে ফোন করে আমার মেয়েকে বললাম যে রান্নার খালা আসলে কি কি রান্না করাতে হবে।খিচুড়ি,মুরগি ভুনা ও বেগুন ভর্তা করে দিতে বললাম।ঢাকায় ফেরার পথে হোটেল মায়ামিতে যাত্রা বিরতি নিলাম।আমি আমার বাচ্চাদের জন্য রসমালাই নিলাম আর আমার ভাইয়ের মেয়ের জন্য বিস্কুট নিলাম।
দাউদকান্দি ব্রিজে বেশ খানিকটা জ্যাম পেয়েছিলাম তবে এরপরে ঢাকায় ঢুকতে খুব বেশি বড় জ্যাম পড়েনি।সব মিলিয়ে বাসায় পৌঁছাতে প্রায় নয়টা বেজে গেল।আসার সময় আমার ভাগ্নি আমার জন্য বিশাল বড় এক কার্টন দিয়ে দিয়েছে।হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার সেরে নিলাম।এরপর কার্টন খুলে দেখলাম শুধু জিনিস আর জিনিস।ওকে আমি অনেক মানা করি এত কিছু দিতে।কিন্তু ও শোনে না।
![]() |
|---|
রাতে আর সময় করে ওর উপহারগুলো গুছানো হলো না।সবকিছু রেখে দিলাম।যেহেতু ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি তাই আমার ভীষণ ঘুম পাচ্ছিল।এজন্য আর দেরি না করে ঘুমাতে চলে গেলাম।
| Device | Name |
|---|---|
| Android | vivo v19 |
| Camera | triple camera 48mp+8mp |
| Location | Bangladesh 🇧🇩 |
| Shot by | @hasnahena |











অনেকদিন পরে আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো, আমাদের জীবন থেকে সময় কত দ্রুত চলে যায় এইতো কিছুদিন আগে মনে হয় শুনেছিলাম আপনার কাছ থেকে আপনার বোনের মৃত্যুর সংবাদ আর আজ পড়ছি এক বছর হয়ে গিয়েছে,,,। আমি প্রথমেই আপনার বোনের জন্য প্রার্থনা করছি তিনি যেন জান্নাত বাসী হন,,
আপনার বোনের অনুষ্ঠানের জন্য গিয়েছিলেন আপনাদের গ্রামের বাড়িতে এবং সেখানে গিয়ে অনেকের সাথেই দেখা পরিচয় এবং সব মিলিয়ে ভালো একটা দিন কেটেছে আপনার, এবং দিনশেষে আবার নিচের ঠিকানায় ফিরেও এসেছেন,,। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু, সময় যে কত দ্রুত চলে যায় তা এখন খুব অনুভব করি। আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
আজকে সকাল থেকে মৃত্যুর সংবাদ গুলো বেশি শুনছি বেশি পড়ছি এক বছর আগে আপনার বোন আপনাদের ছেড়ে এ দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে উপরে চলে গিয়েছে।
এক বছর আগে মৃত্যুবরণ করলেও বোনের প্রতি যে ভালোবাসা মায়া আছে সেটা এখনো কমি নাই কষ্টের জায়গাগুলো এখনো সেভাবেই রয়ে গিয়েছে। যাইহোক বোনের এখানে যেতে অনেকটাই বিলম্ব করতে হয়েছে গাড়ির সমস্যার কারণে। আপনার বোনের গড়া স্কুল মাদ্রাসা এখনো চালু আছে এই কথা শুনে মনটা ভরে গিয়েছে। আপনার বোন জান্নাতবাসী হোক এই দোয়াই করি।