Better life with Steem || The Diary game ||22 June 2024||
![]() |
---|
[Edit by PicsArt]
সকালে নাস্তার পর্ব দ্রুত শেষ করতে হলো।কারণ আজকে দুপুরে দাওয়াত আছে।এদিকে আগামীকাল থেকে ছেলের স্কুল খোলা।তাই রান্না বান্না করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।এতো দিন ধরে গরুর মাংসের উপরেই পার করা গেছে। কিন্তু এখন আর গরুর মাংস কেউ খেতে চাচ্ছে না।
সকালে নাস্তা শেষ করে জলদি রান্নাঘরে চলে গেলাম।রান্না করার জন্য প্রথমে সবজি কেটে নিলাম।মাছ ভাজি করে নিলাম।খুব বেশি কিছু রান্না করিনি।কাকরোল ভাজি,ফুলকপি দিয়ে রুই মাছ, ডাল সবজি আর ছেলের জন্য ভুনা মটর ডাল। রান্না শেষ করতে করতে প্রায় ১২ টা বেজে গেল।
এদিকে সকালে আমার মেয়ে চুলে দেয়ার জন্য হেয়ার প্যাক বানিয়ে ছিল।ওর চুলে আমি লাগিয়ে দিয়েছিলাম।বললাম যে আমি রান্না শেষ করে চুলে লাগাবো।রান্না শেষ করার পরে মেয়ে আমার চুলে হেয়ার প্যাক লাগিয়ে দিলো।
কিন্তু হেয়ার প্যাক বেশি সময় রাখতে পারলাম না।একটার দিকে আমার হাসবেন্ড চলে আসলো এবং রেডি হয়ে অনুষ্ঠানে চলে গেল।
আমার হাজবেন্ডের ব্যবসায়িক পার্টনারের ছেলের বিয়ে কথা চলছে।গতদিন আংটি পরিয়ে এসেছিল মেয়েকে।আজকে ছেলের বাড়ি দেখা ও ফর্দ করার দিন।প্রায় ১০০জন মানুষের আয়োজন।আমাকেও যেতে হবে।
![]() |
---|
এজন্য জলদি জলদি সব কাজ শেষ করে নিচ্ছিলাম।অতঃপর গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে রেডি হয়ে গেলাম।এখন আর আমার সাজগোজ করে কোথাও যাওয়ার অভ্যাস একেবারেই নেই।কিন্তু আজ একটু গুছিয়ে রেডি হতে হচ্ছে।তাই সময়ও বেশি লাগছে।
এতো লোকের আয়োজন বাসায় হবে বিধায় আজকে কোন বাচ্চাদেরকেই নেব না।কারণ কয়েকদিন পরে মেয়ের পরীক্ষা।ওদের জন্য অবশ্য ওরা খাবার পাঠিয়ে দিয়েছে।অতঃপর রেডি হয়ে আড়াইটার দিকে ওদের বাসায় পৌছে গেলাম।বাসা বেশি দূরে নয়।বাসায় পৌঁছে সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হলো।মেয়ে পক্ষের সাথেও কুশল বিনিময় করা হলো।
মেয়ে পক্ষ মূলত আমার শ্বশুরবাড়ির অঞ্চলের লোক।আর যাদের সাথে বিয়ে হচ্ছে তারা ঢাকাইয়া।জানিনা এদের মেলবন্ধন কেমন হবে!?!?এদিকে এতটুকু বাসার মধ্যে এত লোকজন, রীতিমতো দাঁড়ানোর কোন জায়গা নেই।ছোট-বাচ্চা,বড়-বুড়ো সব মিলিয়ে একেবারে হযবরল অবস্থা!!!
দুপুরের খাবার খেতে খেতে চারটা বেজে গেলো।দুপুরের খাবারে এত আইটেম করেছে যে ভাবছি এই অনুষ্ঠানে যদি এত আয়োজন হয় তাহলে বিয়েতে না জানি কি করবে!!!আমাদের ফেনী নোয়াখালীর ঐতিহ্য অনুযায়ী ওরা বেশ কয়েক রকমের পিঠাও বানালো।এটা নিয়ে বেশ মজা করছিলাম আমরা।
বিকেলে চা পর্ব শেষ হওয়ার পরে সবাই মিটিংয়ে বসলো। মিটিংয়ে কবে বিয়ে-বউ ভাত হবে, হলুদ কিভাবে হবে, বিয়েটা কোথায় পড়ানো হবে এসব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যথেষ্ট আলোচনা হল। আগামী ১০ জুলাই হলুদ এবং ১২ ও ১৩ তারিখে বিয়ে ও বৌভাতের অনুষ্ঠান হবে।প্রথমে পাঁচ তারিখে করতে চেয়েছিল তবে সবার বিরোধিতার কারণে তারিখ পিছিয়েছে।
ইতিমধ্যে মাগরিবের আযান দিয়ে দিলে আমি ওখান থেকে বের হতে উদ্যত হলাম।কারণ অলরেডি একবেলা নামাজ মিস হয়ে গেছে।বাসায় চলে যাব কিন্তু ততক্ষণে মাগরিবের ওয়াক্ত পার হয়ে গেলো।এরপরে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম।কোন ফাঁকে ঘুমিয়ে গিয়েছি বলতে পারব না।
ঘুম থেকে উঠতে উঠতে সাড়ে নয়টা।অজু করে কাজা নামাজ সহ এশার নামাজ পড়ে নিলাম।তারপরে রাতের খাবার খেয়ে এখন পোস্ট লিখতে বসেছি।আজকে সব মিলিয়ে অনেক দেরি হয়ে গেছে।এদিকে সকালে স্কুল আছে। ভোরে উঠতে হবে।তাই আজ আর লিখছি না ভালো থাকবেন সবাই।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
নোয়াখালীর বিয়ে বলে কথা এখানে আয়োজন কম হওয়া যাবে না। বিশেষ করে প্রত্যেকটা আইটেম থাকতে হবে আর পিঠা যদি না থাকে, তাহলে কিসের বিয়ে। তাই হয়তো বা তারা চেষ্টা করেছে সব ধরনের আইটেম রান্না করার জন্য। আসলে ছোট বাসা হলে অতিরিক্ত মানুষ হলে একটু সমস্যা হয়ে যায়।
তবে সবাই মিলে আপনারা বেশ আনন্দ করেছেন এবং বিয়ের দিন এবং হলুদ কিভাবে হবে। সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ নিজের পরিবারের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার শশুর বাড়ি নোয়াখালী এলাকাতে না বরং ঢাকা জেলার তারপরও এদের বিয়েতে পিঠা থাকতে হবে। আবার আমাদের এলাকাতে বিয়ের দিনে পিঠের কোনো দেখা মিলে না।ছোট জায়গাতে মানুষ বেশি হলে খুবই সমস্য।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার পোস্টে রুই মাছের কথা পড়ে বাড়িতে পুকুর থেকে জাল দিয়ে রুই মাছ ধরার কথা মনে পড়ে গেলো। বাজার থেকে কেনা রুই মাছ আর পুকুর থেকে তাজা মাছের স্বাদের বেশ পার্থক্য বিদ্যমান। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হচ্ছে। বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো অনেক ভেবে চিন্তে করা উচিত কারন এর সাথে অনেকগুলো জীবন জড়িয়ে থাকে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনার পরিবারের মত আমারও একই অবস্থা গরুর মাংস এখন আর খেতে ইচ্ছা করছে না।
আজ গিয়েছিলে একটা অনুষ্ঠানে ছেলে পক্ষ বাড়িতে মেয়ে পক্ষের লোকজন এসেছে বিয়ের কথাবার্তা পাকা করার জন্য।
ঠিকঠাক মতো সবকিছুই হয়েছে। এর ফাকে আবার আপনি খাওয়া-দাওয়া ও সম্পূর্ণ করলেন।
আমার কাছে মনে হয় অনেক বেশি আইটেম না করে মনের মত দু'তিনটা আইটেম হলেই পেট ভরে খাবার খাওয়া যায়।
সে যাই হোক খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।