Better life with Steem || The Diary game ||21 August 2024||
সকালে ঘুম ভাঙলে দেখি ঘড়িতে সাতটা বাজে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে এখনো সকাল হয়নি।ভোর থেকেই আকাশের মুখ ভার।মন চাইছিল না ঘুম থেকে উঠি কিন্তু দায়িত্বের কারণে উঠে যেতেই হয়।আজকে ছেলের স্কুল আছে।আগামীকাল আবার একটি কাজ আছে তাই স্কুলে যেতে পারবো না।তাই আজকে আর স্কুল মিস দিতে চাইনি।
এজন্যই সকাল সকাল রেডি হয়ে গেলাম। আটটা বাজে বাসা থেকে রওনা দিলাম।তখনও বেশ অন্ধকার এবং বৃষ্টি পড়াও আরম্ভ হয়ে গেলো।স্কুলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে তো বেশ ভালো মতই বৃষ্টি শুরু হলো।ছেলেকে ক্লাসে দিলাম কারণ আজকে আর এসেম্বলি হবে না।এসে ক্যান্টিনে বসলাম।বাহিরের পরিবেশটা দেখে মনে হচ্ছে যেন সন্ধ্যেবেলা।এক পশলা বৃষ্টি হয়ে আকাশটা আবার পরিষ্কার হয়ে গেল।আমি নাস্তা করে নিলাম।বাহিরে হাঁটতে যাব তেমন অবস্থা আজকে নেই।
প্রতিদিন ক্যান্টনমেন্টে ঢোকার সময় অদ্ভুত এক অনুভূতি হয়।প্রবেশ মুখে প্রচুর সেনা সশস্ত্র অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে।চলাচলের জন্য তিন-চারটি লেন থাকলেও এখন একটি মাত্র লেন চালু।সেগুলোতেও বেশ কড়া পাহারা। এছাড়া কাঁটা তারের ঘের, সাঁজোয়া যান নিয়ে দণ্ডায়মান সশস্ত্র সৈনিক ও কড়া নজরদারি।
ভেতরে ঢুকলেই কেমন যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়।এই মুহূর্তে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা।ভয়াবহ ও বলা যেতে পারে।আজকে এতটা বছর এই ভয়াবহ জায়গাটিতে আমি অবলীলায় আসা-যাওয়া করেছি এটা ভাবলেই যেন হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে।যাক! আবেগ অনুভূতিকে তো এক পাশে চাপা দিতেই হয়।
বেশ ঘুম ঘুম পাচ্ছিল তাই নাস্তার পরে এক কাপ কফি খেলাম।আজকে গল্পগুজব করেই মূলত সময়টা কাটিয়ে দিলাম।যদিও এখন আমাদের বেশিরভাগ গল্প হয় দেশের পরিস্থিতি নিয়ে।বারোটার দিকে ছেলের ছুটি হয়ে গেলে ওকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।আজকে আমার বোনের ছেলের আসার কথা।তাই কিছু নাস্তা আইটেম কিনতে হবে।
বাহিরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে।ছাতা মাথায় দিয়েই সিএসডি ঢুকলাম।চটজলদি বেশ কিছু জিনিস নিয়ে নিলাম।এরপর আবার বাসায় রওনা দিলাম।যদিও বাসায় ফিরতে ফিরতে বেশ দেরি হয়ে গেল কারণ রাস্তায় অনেক জ্যাম।আসলে এখন চারিদিক থেকে শুধু আন্দোলন আর আন্দোলন।সবার এত শত অভিযোগ সরকারের কাছে।অভিযোগের ফুল ঝুড়ি নিয়ে সবাই যেন রাস্তায় নেমে পড়েছে।
এই ফাঁকে বোনের ছেলে একবার ফোন দিল যে আমি বাসায় পৌঁছেছি কিনা।বললাম যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি।ও বলল ঠিক আছে আমি আড়াইটায় আসব।বাসায় ফিরে আগে গোসল সেরে নিলাম।এরপর দুপুরের খাবার রেডি করে ফেললাম।দুপুরের খাবার খেতে খেতে ঘর মোছার খালা আসলো।সে তার কাজ করতে লাগলো।খাওয়া থেকে উঠতেই ভাগ্নে চলে আসলো।সে ভাত খাবে না,চা চাইল।তাকে চা দিলাম তারপর তার জন্য নাস্তা তৈরি করলাম।
আমার বোনের ছেলে পড়াশোনার জন্য মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছে।আগামী রবিবার ফ্লাইট। সেজন্যই দেখা করতে আসলো। যদিও আমি রবিবারে যাব ওকে বিদায় দিতে তারপরও আসলো আমাদের সবার সাথে দেখা করতে।
আমি ওকে কিছু টাকা দিলাম। বললাম যে টাকাগুলো রিঙ্গিত করে নিও।তাহলে ওখানে কাজে লাগবে।আর মন দিয়ে পড়ালেখা করো।
৫ বছরের জন্য যাচ্ছে সেটা ভেবেই খুব মন খারাপ লাগছে।আমার ছেলের সাথে বসে অনেকক্ষণ খুনসুটি করলো।তারপর মাগরিবের আগে চলে গেলো।আমাকে বলল যেন ওকে এয়ারপোর্টে বিদায় দিতে যাই।যেহেতু ওর ফ্লাইট রাতে দুইটায় কিভাবে কি করব তাই ভাবছিলাম।
ওরা বেরিয়ে গেলে পর দিনের রান্নার জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলাম।গরুর মাংস কষানো ছিল ওগুলো আলু দিয়ে রান্না করে নিলাম। আর মাছ ভুনা করলাম।আজকে মনটা খুব বেশি ভালো নেই।তাই খুব বেশি কিছু আর করলাম না।যেহেতু কাল স্কুলে যাব না প্রয়োজনে সকালে করে নিবো।
আসলে একটি একটি করে দিন পার হয়ে যাচ্ছে।প্রতিটি দিন কিভাবে ভালো কাটাবো এই ভাবনা করি।সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না, ঠিকই কেটে যায়।জীবন তার আপন গতিতে সদা বহমান।আজকের মত আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
.
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |