Better life with Steem || The Diary game ||19 June 2024||
![]() |
---|
[Edit by Collage Maker]
আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন আপনারা সবাই? আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। আজকে ঈদের তৃতীয় দিন মোটামুটি ব্যস্ততার সহিত দিনটি কাটিয়েছি।সারা দিনে কি কি করেছি তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
প্রতিদিনকার মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে নাস্তার কাজ সেরে নিয়েছি।আগের দিন রাতে পরিকল্পনা করা ছিল আজকে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করব।আমার বাসা থেকে মেট্রো রেলের লাইন গুলো দেখা যায়।অথচ এতদিন হয়ে গেলো মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ করে উঠতে পারিনি।যেহেতু ঈদের ছুটি চলছে আর এদিকে মেট্রো রেল চালু আছে তাই আজকে কোনভাবেই সুযোগটি মিস করতে চাইলাম না।
![]() |
---|
নাস্তা শেষ করে খুব বেশি সময় পেলাম না।রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।মতিঝিল থেকে উত্তরা দিয়া বাড়ি পর্যন্ত প্রতিদিন মেট্রোরেল চলাচল করে।মতিঝিল রেলস্টেশনটি আমার বাসার কাছাকাছি হওয়ায় এখান থেকেই ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।প্রথমে স্টেশনে পৌঁছে টিকেট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়ালাম।এখানে দুই ভাবে টিকেট কাটা যায়।লাইনে দাঁড়িয়ে হাতে টাকা দিয়ে একভাবে টিকেট কাটা যায়।আর সরাসরি মেশিনে বাটন চেপে টাকা দিয়েও টিকিট কাটা যায়।
![]() |
---|
আজকে আমি লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটলাম।এরপরে ভেতরে চলে গেলাম।আমরা যেতে যেতে তখন একটি ট্রেন প্রায় ছেড়ে দিচ্ছে।তাই আর ওটাতে উঠলাম না।অপেক্ষা করতে লাগলাম পরবর্তী ট্রেন আসার জন্য।যদিও বলা হয়েছে দশ মিনিট পরপর ট্রেন আসবে কিন্তু দেখা গেল পাঁচ মিনিটের মাথাতেই ট্রেন চলে আসলো।ঈদের ছুটি হওয়ায় লোকজন একেবারে নেই বললেই চলে।
![]() |
---|
যেহেতু এই স্টেশন একদমই ফাঁকা ছিল।তাই আমরা সিট পেয়ে গেলাম।মতিঝিল থেকে দিয়াবাড়ি পর্যন্ত যেতে প্রায় ১৬টি স্টপেজ আছে।প্রতিটি স্টপেজে ৩০ সেকেন্ড করে ট্রেন থামে।পুরনো পরিচিত শহর থেকে উপর থেকে দেখছিলাম ভালই লাগছিল।
![]() |
---|
আমি যেহেতু পল্টনে থাকি আর আমার মেয়ের স্কুল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে তাই মেট্রো রেলের কাজ চলাকালীন সময় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আমিও দিন কাটিয়েছি। এমনও হয়েছে দশ মিনিটের রাস্তায় আমি দু ঘণ্টাও বসে থাকতাম।ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে থাকতে কোমরে ব্যথা ধরে যেত।
![]() |
---|
সে সময়কার একটি কথা আজকে খুব মনে পড়ছে।তখনকার যোগাযোগ মন্ত্রী এই ভোগান্তিকে বলেছিলেন প্রসব বেদনা। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে মানুষের সাথে এভাবে মশকরা মনে হয় রাজনীতিবিদরাই করতে পারেন।উনি কি জানেন প্রসব বেদনা কেমন হয়?
![]() |
---|
যাইহোক পুরনো কথা থেকে আবার বর্তমানে ফিরে আসি।দিয়া বাড়িতে আমরা নেমে গেলাম। সেখানে যেয়ে হালকা নাস্তা করব ভাবলাম।বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট আছে।তবে মনে হলো ওগুলো খাবার অর্ডার দিলে রান্না করে তারপরে দেবে। এতে বেশ সময় লাগবে।তাই আমরা সিপি চিকেন দোকানে গেলাম।ওখানে খাবার তৈরিই থাকে।
![]() |
---|
আমরা সব সবাই ফ্রাইড চিকেন খেলাম। এর পরে আবার মতিঝিল পর্যন্ত টিকিট কেটে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় দেড়টা বেজে গেলো।এদিকে রান্নাবান্না,ঘরের কাজ কিছুই করা হয়নি।তাই আগে যোহরের নামাজ পড়ে নিলাম।এরপর রান্নাঘরে যেয়ে রান্নার কাজে লাগলাম।
![]() |
---|
গরুর মাংস সকালে ভিজিয়ে গিয়েছিলাম।কিন্তু মসলা বাটা ছিল না।সকালে আদা ছিলে রেখে গিয়েছিলাম।এরপর আদা- রসুন ব্লেন্ড করে নিলাম। আসলে আমি সব সময় চেষ্টা করি ফ্রেশ আদা-রসুন বাটা দিয়ে রান্না করতে।বেটে ফ্রিজে জমিয়ে রাখলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়।
![]() |
---|
গতকাল আমার ননদ ওর গাছের সজিনার পাতা পাঠিয়েছিল।আজকে নারিকেল দিয়ে সজিনা পাতা ভাজি,গরুর মাংস ও পেঁপে ডাল করেছি।দুপুরে রান্না শেষ করে খেয়ে উঠতে প্রায় চারটা বেজে গেল।এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে গোসল করে নিলাম।ততক্ষণে আসরের আজান দিয়ে দিয়েছে।আসরের নামাজ পড়ে চা করে নিলাম।
![]() |
---|
মাগরিবের আজান দিয়ে দিলে মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম।কখন ঘুমিয়ে পড়েছি তার খেয়াল নেই। ঘন্টাখানেক পরে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম বেশ অবসন্ন বোধ হচ্ছে।এর পর এশার নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।এখন লিখতে বসেছি।একটু পরে পোস্ট করে দিব।আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
Your post has been successfully curated by our team via @kouba01 at 35%.
Thank you for your committed efforts, we urge you to do more and keep posting high-quality content for a chance to earn valuable upvotes from our team of curators and why not be selected for an additional upvote later this week in our top selection.
Thank you for your support 😊.
প্রথমবারের মতন মেট্রোরেলে চড়েছেন। আমিও কয়দিন আগেই উঠেছিলাম। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। যদিও তখন অনেক ভীড় হওয়ার কারণে সিট পাইনি। কিন্তু ট্রেনের পরিবেশ এবং স্টপেজে থামার পর অটো হচ্ছিলো যখন সব সেগুলো দেখতে মজা লাগছিলো। দুপুরে খুব সুস্বাদু খাবার খেয়েছেন। ভালো লাগলে আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন।
মেট্রোরেলে ওঠার ইচ্ছে আমারও আছে তবে এখনও সুযোগ হয় নি। আপনার বাসার পাশেই যেহেতু মেট্রোরেল তাই তাতে ওঠার ইচ্ছাটা আর চেপে রাখেন নি। তাই আজ সকালে নাস্তা করে মেট্রোরেলে ওঠার জন্য রওনা হলেন এবং গিয়ে টিকিট কাটলেন। ভালো লাগলো আপনার সম্পূর্ন পোস্টটি। ভালো থাকবেন।