Better Life With Steem || The Diary game ||18 June 2024||

গতকাল ছিল ঈদের দিন ছিল।সাধারণত কোরবানির ঈদের এই দিনে আমাদের মত গৃহিণীদের প্রচন্ড ব্যস্ততায় কাটে।আমার দিনটি ও এর ব্যতিক্রম ছিল না।যার কারণে গতকাল আর পোস্ট লেখা হয়ে ওঠেনি।প্রচন্ড কাজের চাপে গতকাল শেষ বেলায় বেশ মাথা ধরে ছিল। মাথা ব্যাথাটাকে আমি খুব ভয় পাই।আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম না জানি সকালেও মাথা ব্যাথা থাকে কিনা।

এজন্য সকালে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠলাম।যেহেতু আজকে কাজের তেমন কোন তাড়া নেই।সকালে নাস্তা করে চা খেয়ে নিলাম। ঈদের দুই-তিন দিন গরুর মাংস ছাড়া কেউই অন্য কিছু খাবে না।গতকাল বড় এক পাতিল মাংস রান্না করা হয়েছে। আজকে সকালে গরুর মাংস,সবজি ভাজি ও রুটি ছিল নাস্তাতে।এরপরে চা খেয়ে নিলাম।

কিছুক্ষণ বসলাম। কারণ জানি একটু পরে আমার কাজের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাবে।কারণ কাজের সহকারী প্রত্যেকেই ছুটিতে আছে।প্রথমে বিছানা ও ঘরদোর গুছিয়ে নিলাম। এরপর রান্নাঘরে চলে গেলাম।গতকাল ভুঁড়ি পরিষ্কার করে সিদ্ধ করে রেখেছি।আজকে এগুলোর চর্বি ফেলে ছোট ছোট করে কেটে নিব।অন্যান্য বার এ কাজটি করার জন্য আলাদা বুয়া রেখে দেই।কিন্তু এবার বাসা শিফট করার কারণে আমি কোনো বুয়া পাইনি।

ফলশ্রুতিতে এবার এই কাজটি আমার উপরে এসে পড়েছে।প্রথমে ভুঁড়ির চিকন নালীগুলো পরিষ্কার করে নিলাম।এগুলো বেশ পাতলা হওয়াতে পরিষ্কার করে কাটতে অনেক বেশি সময় লাগলো।এই প্রথম আমি এ কাজটি করছি।এর আগে এত বছর আমার যে বাঁধা মেয়েটি বাসায় ছিল সে ই করতো।চিকন নালী পরিষ্কার করার পরে ভাঁজ করা নালীগুলো পরিষ্কার করে নিলাম।এরপরে মোটা ভুড়ি কাটার পালা।কাজ করার সময় হঠাৎ আমার আঙ্গুল একটু কেটে গেল।তাড়াতাড়ি উঠে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে এরপরে কাজ শেষ করলাম।

আসলে গতকাল কসাইরা বটি, ছুরি সব ধার দিয়েছে।বটি যে এত ধার হয়ে আছে এটা আমি খেয়াল করিনি।সব ধরনের ভুঁড়ি আলাদা আলাদা করে গরম পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিলাম।চিকন নালীগুলোকে ভিনেগার, হলুদ,লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রেখে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিলাম।অন্তত ১০ থেকে ১৫ বার আমার এই ধোয়াধুয়ির কাজ হলো।

এজন্য প্রচুর গরম পানির প্রয়োজন পড়েছিল। সব মিলিয়ে রান্নাঘরের অবস্থা তখন তপ্ত গরম। সবগুলো ভুঁড়ি আলাদা ভাবে প্যাকেট করে ফ্রিজে রেখে দিলাম।এরপর দুপুরের খাবারের আয়োজন করতে লাগলা।আজকে কোন কিছু রান্না করিনি।গতকালের রান্না করা চাইনিজ সবজি রয়ে গেছে।আর মাংস তো আছেই।

এছাড়া গতকাল অনেক বেশি শসা কাটা হয়ে গিয়েছিল।যার জন্য কিছু কাটা শসা রয়ে গেছে।এই শশা গুলো আজ আর কেউ খাবে না। আবার এগুলো ফেলে দিতে ও ইচ্ছা করেনা। তাই গরুর মাংস তুলে ঝোলের মধ্যে শসা গুলো সেদ্ধ করে নিলাম।এরপর আবার মাংস মিলিয়ে দিলাম এভাবে করলে আসলে খেতেও ভালো লাগে আর অপচয় ও হলো না।আসলে আমি অপচয় করতে একেবারেই পছন্দ করি না।

দুপুরের খাবার রেডি করে রান্নাঘর পরিষ্কার করে গোসলে চলে গেলাম।আজকে আর অন্য কোন কাজ করলাম না।গোসল করে নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।এরপর একটু বিশ্রামে বসলাম।বিশ্রামে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি তা আসলে খেয়ালে নেই। আসরের আযানে ঘুম ভাঙলো।আসরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ মোবাইল দেখলাম।এর পরে ফোনে একজনের সাথে কথা বললাম।

মাগরিবের আযান দিয়ে দিলে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম।মনে হলো হালকা ক্ষুদা লেগেছে।কিন্তু কোন ভারি নাস্তা খেতে ইচ্ছা করছে না।তাই ফ্রিজ থেকে টক দই নিয়ে তিনটা পাপড় সেঁকে নিলাম।এটাই আমার নাস্তা হয়ে গেল।এরপর এক কাপ চা খেলাম।এশার আযান দিলে এশার নামাজ পড়ে পোস্ট লিখতে বসেছি।আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি।ভালো থাকবেন সবাই।