Better Life With Steem || The Diary game || 16January 2024||

in Incredible India2 years ago
Picsart_24-01-16_20-01-49-010.jpg

[Edit by Picsart]

প্রচন্ড শীতে কাবু করা একটি দিন আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করবো। যদিও এখন সর্বত্রই প্রচন্ড ঠান্ডা। প্রতিদিনের মতো খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গেলাম। উঠে প্রথমে ওযু করে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপরে রান্নাঘরে গিয়ে চুলা জ্বালালাম। সবার আগে মেয়ের কলেজের টিফিন বানিয়ে নিলাম। সাড়ে ছয়টার দিকে ওরা বের হয়ে গেলে এবার নাস্তার প্রস্তুতি নিলাম। আজকে আর ছেলের টিফিন বানাবো না তাই ওর বাবাকে বললাম যে আসার সময় সিংগারা নিয়ে আসতে।

অতঃপর নাস্তা রেডি করে অল্প একটু খেয়ে স্কুলের জন্য তৈরি হয়ে গেলাম। আজকে একটু দেরী হয়ে গেল তাই আটটার দিকে বের হলাম। আজকে রাস্তায় বেশ জ্যাম পেলাম। পৌনে নয়টা বাজে স্কুলে পৌঁছালাম। যাওয়ার পথেই দেখছি প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস এবং কুয়াশা। কুয়াশায় চারপাশ ঘোলা হয়ে আছে। অতঃপর ছেলেকে ক্লাসে দিয়ে জলদি ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে গেলাম। কারণ ৯ টা বাজে আজকে ছেলের স্কুলের প্রিন্সিপাল মিটিং ডেকেছে। উনার নাকি বিশেষ জরুরী কথা আছে।

IMG_20240116_123152.jpg
IMG_20240116_085658.jpg

তাই নাস্তা ও খেলাম না হাঁটতে ও বের হতে পারলাম না। মিটিং রুমে যেয়ে দেখি হলে মানুষ-জনে পুরো ভরপুর। একটু পিছনের দিকে আমি জায়গা পেলাম। অতঃপর উনার জরুরী বক্তব্য শুনলাম যে, যারা এখনো ভর্তি হয়নি তাদের কে উনি আল্টিমেটাম দিলেন।এবং যারা ভর্তি হয়নি তারা যেন ক্লাসে না আসে। উনি বেশিক্ষণ কথা বললেন না। পরবর্তীতে মিটিং শেষ করে আমরা আবার ক্যান্টিনে চলে আসলাম। কারণ ওয়েটিং রুমে প্রচন্ড ঠান্ডা। সেখানে এসে হালকা নাস্তা করে রং চা খেলাম। এরপর সাড়ে দশটার দিকে হাঁটতে বের হলাম প্রায় ৪০ মিনিট হেঁটে আবার ক্যান্টিনে আসলাম।

ছেলের ছুটি হয়ে গেলেও সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বসে রইলাম। কারণ মেয়েকে নিতে হবে। এরপর একটার দিকে মেয়ের কলেজে যেয়ে ওকে তুলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সকালবেলাতে আমার হাজব্যান্ড ফোন দিয়ে বলেছিল যে সে শোল মাছ কিনেছে।আমি যেন দুপুরে এসে রান্না করি। দুপুরে দুইটায় বাসায় ফিরলাম এবং গোসল করে নামাজ পড়তে পড়তে ৩ টা বেজে গেল। তাই আর রান্না করার সময় পেলাম না।

IMG_20240116_123152.jpg
IMG_20240116_092803.jpg

অতঃপর দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। এদিকে ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে রয়েছে। আর আমার রান্নার খালার এখন পর্যন্ত কোনো খবর নেই। কি আর করা!!! মেয়ের টিচার আসলো। ও পড়তে চলে গেল। মাগরিবের নামাজ পড়ে মেয়ের টিচারকে আনার ভেঙে নাস্তা দিলাম। এরপর রান্না করে নিলাম। আজকে শুধু শোল মাছ আলু দিয়ে ঝোল আর মসুর ডাল চচ্চড়ি করেছি। বেশি কিছু রান্না করি নি কারণ শীতের দিনে কেউই খুব বেশি খায় না।

IMG_20240116_184450.jpg
IMG_20240116_175941.jpg

রান্না শেষ করে সবকিছু গোছগাছ করতে করতে এশার আজান দিয়ে দিল। এরপর নামাজ পড়ে নিয়েছি আর এখন লিখতে বসবো।এভাবে গুটি গুটি পায়ে প্রতিটা দিন কিভাবে যেন কেটে যাচ্ছে। প্রতিদিনই ভাবি যেভাবে ফুলের সুবাস যেমন কেউ ধরে রাখতে পারে না তেমনি জীবনের প্রতিদিনের স্পন্দন কে ও আমরা ধরে রাখতে পারি না। জীবন থেকে এটি হারিয়েই যায়। আজ আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

DeviceName
Androidvivo v19
Cameratriple camera 48mp+8mp
LocationBangladesh 🇧🇩
Shot by@hasnahena

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD_1.gif

Sort:  
 2 years ago 

সব জায়গাতেই শীত অনেক বেশি পড়ছে। আমাদের এখানে তো রাতে তাপমাত্রা ১১° তে নেমে আসছে। সকালে উঠতে সবারই একটু দেরি হচ্ছে এখন। সকালের নাস্তা তৈরি করে, খাওয়া শেষ করে তারপর ছেলেকে স্কুলে পৌছে দিয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টের জন্য।

Loading...
 2 years ago 
  • আসলে আপনাদের জীবনটা একেবারে যুদ্ধের মত চলে। ছেলেকে স্কুলে নিয়ে গেছেন মেয়েকে কলেজ থেকে নিয়ে এসেছেন সারাদিন রাস্তার মধ্যেই থাকা। আমার বড় বোনকেও তাই দেখি। সে সকালে বের হয়েছেন ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসতে আসতে দুপুর গনিয়ে গিয়েছে। আনার দেখলাম, এটি আমার খুব পছন্দের ফল। মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যে কাটলো আপনার দিন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কর্মকাণ্ডগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
 2 years ago 

শীতের সময় সকালে উঠে নাস্তা বানাতে যাওয়াটা অত্যাচার লাগে। অবশ্য এখন আর আমাকে এই স্কুলের ঝামেলা করতে হয় না। কিন্তু ও লেভেল আগে পর্যন্ত এসব করেছি।
স্কুলের টিচারদের এভাবে ডেকে আলটিমেটাম দেয়াটা বিরক্তিকর লাগে আমার কাছে। একজন মানুষ সমস্যা থাকতে পারে, কয়েকটি দিন পরে ভর্তি হতে পারে এজন্য।।
শীতের দিনে আমার বাসায়ও একই অবস্থা কেউ খেতে চায় না।যা কিছুই রান্না করি তাই বেশি হয়।
ভালো লাগলো আপানার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

এত পরিমাণে ঠান্ডা হাত পা বরফ হবে এটাই স্বাভাবিক। বাচ্চাদের স্কুলের টাইম অনুযায়ী আপনাদের কেউ চলতে হয়। আসলে আমাদেরকে এমন টা করতে হয় না। গাড়িতে উঠিয়ে দিলে তারা চলে যায়। কিন্তু আপনারা তাদের সাথে আবার স্কুলে যেতে হয়। স্কুলে আজকে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল সেখানে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন।

দুপুরের খাবার খেয়ে খানিকটা সময় বিশ্রাম নিয়েছেন। এরপর আবার মেয়ে টিচার আসলো তার জন্য নাস্তা করলেন রান্নাবান্না করলেন। শীতকালে তেমন একটা খেতে চায়না কেউই, আমার পরিবারেরও একই অবস্থা। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কাজে কর্ম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

ঠান্ডার পরিমাণটা সত্যিই অনেক বেড়ে গেছে।। সকালে মেয়ে কে টিফিন বানিয়ে দিয়েছে আর ছেলেকে টিফিন দিতে হবে না এজন্য সিঙ্গারা আনতে বলেছেন।।

আজ ৯ঃ০০ টায় ছেলের স্কুলে মিটিং ছিল সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন।। পরে ক্যান্টিনে হেঁটে হেঁটে গিয়েছিলেন এবং একটা চা খেয়েছেন।। সব মিলে একটু ব্যস্ততার মধ্যেই আজকের দিনটা পার করেছেন।।

 2 years ago 

ছেলে মেয়ের স্কুল কলেজের জন্য আপনাকে সকাল থেকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়।এবং প্রায় একটা বেলা আপনার স্কুল কলেজেই কেটে যায়।এরপরে বাসায় এসে আবার আরেক ব্যস্ততা সংসার এবং রান্না বান্না নিয়ে।
এই শীতে কাজের খালারাও তাদের মন মতো সময়ে কাজে আছে,কিন্তু আমাদের গৃহীনিদের যত যাই হোক না কেন,সময়ের কাজ সময়ের মধ্যেই করতে হয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনার পোস্ট গুলো পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে।

 2 years ago 

অনেক ব্যস্তময় একটি দিন কাটিয়েছেন আপনি, মূলত ছেলে মেয়ের স্কুল নিয়ে আপনাকে একটু ব্যস্তই থাকতে হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সে স্কুলে চলে গেলেন এবং আপনার ছেলের স্কুলে আজ মিটিং এর আয়োজন করা হয়েছিল কারণ, প্রিন্সিপাল স্যারের জরুরি বক্তব্য ছিল।

বাসায় ফিরে আপনার হাসবেন্ড আবার শৈল মাছ রান্না করতে বলেছে, এভাবে আপনার দিনটা কেটেছে, আপনাদের শুভ হোক সে প্রার্থনা করছি।

 2 years ago 

প্রতিদিনের মতো আপনার কার্যলিপি পড়তে বেশ ভালোই লাগে। আপনি ঘুম থেকে উঠে শত ঠাণ্ডার মাঝেও ওযু করে নামাজ আদায় করেছেন। তারপর প্রতিদিনের মতো আপনি নাস্তা বানিয়ে, নাস্তা খেয়ে আপনার বাচ্চাদেরকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছেন। এরকম সুন্দর একটি কার্যলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

শীতের সময় সকাল বেলা উঠে সকাল নাস্তা বানানোর খুব কষ্টকর একটি কাজ। আমলপনি সারাদিনটা খুব ব্যস্ততার ভিতরেই কাটিয়েছে। প্রায় একটা বেলায় আপনার স্কুল-কলেজের দিকে কেটে যায়। এরপর আবার বাসায় এসে নিজের সংসারের কাজগুলো করতে হয়। থ্যাংক ইউ আপনার সারাদিন একটু ব্যস্ত দিন আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.035
BTC 108756.59
ETH 4284.49
USDT 1.00
SBD 0.83