Better Life With Steem || The Diary game || 15February 2024||
[Edit by PicsArt]
আজকে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হলো। কারণ আজকে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন এদিকে ছেলের স্কুলে পিকনিক, মেয়ের কলেজে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। ৯ টা বাজে পরীক্ষা শুরু হবে। কোন ভাবে দেরি করা যাবে না। এসএসসি পরীক্ষার কারণে এমনিতেই ঢাকা শহরের যানজটের অবস্থা চরম খারাপ হয়ে যায়। তাই আমাকে যে কোনভাবেই হোক আটটার আগে বাসা থেকে বের হতে হবে।
সকালে জলদি জলদি নাস্তার কাজ সেরে নিলাম। রুটি ও ডিম ভাজি করলাম। ভাজি আগেই করা ছিল। টেবিলে নাস্তা দিয়ে কোনোমতে একটি রুটি খেয়ে নিলাম।এবং আটটা বাজার পাঁচ মিনিট আগে বাসা থেকে রওনা দিলাম। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জ্যাম মূলত নয়টার দিক থেকেই শুরু হয়। আজকে যেহেতু জলদি বেরিয়েছি রাস্তায় তেমন কোনো যানজট পেলাম না। পৌনে নয়টার দিকে মেয়ের কলেজে পৌঁছে গেলাম।ওকে আগে নামিয়ে দিলাম।
যদিও পিকনিকের সময় ৯ টা থেকে ৩টা কিন্তু জানা কথা কেউই নয়টা বাজে আসবেনা। অবশ্য আমি আমি ৯ টাতেই স্কুলে পৌঁছালাম। ঢুকতেই দেখলাম ওরা নাস্তার প্যাকেট দিচ্ছে। আমি টোকেন দিয়ে দুটি নাস্তার প্যাকেট নিয়ে নিলাম। ভেতরে এসে দেখলাম যে চারিদিকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আমরা এক পাশে ছায়ায় বসলাম। নাস্তা হিসেবে দিলো এক পিস কেক, একটি লাড্ডু ও একটা কমলা। যার কোনটাই আমি খাব না। ফলে আমার আর নাস্তা করা হলো না।
এদিকে ক্যান্টিন বন্ধ, অন্য কিছু কিনে খাওয়ারও কোন সুযোগ নেই। অতঃপর আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম আমার বান্ধবীরা আসার জন্য। সাড়ে নয়টার পরে একে একে সবাই আসতে শুরু করলো। আমি ব্যাগে করে বুট, বাদাম, কলা নিয়ে গিয়েছিলাম। বসে বসে বুট চিবাতে লাগলাম।এদিকে প্রিন্সিপাল স্যার কে দেখলাম হাওয়াই সার্ট পড়ে এসেছে। উনাকে দেখে খুব হাসি পাচ্ছিল। যাই হোক চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম বাচ্চাদের জন্য অনেক সুন্দর আয়োজন করা হয়েছে। মিনি ট্রেন ও ছবি তোলার আলাদা জায়গা করা হয়েছে।
এর পরে দেখলাম স্কুলে গেমসে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের গেমস শুরু হলো। পিলো পাসিং, যেমন খুশি তেমন সাজো, দৌড় প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। লাঞ্চ ব্রেক অবধি এ ধরনের খেলা চলতে থাকবে।একে একে আমার সব বান্ধবীরা এসে গেল। এরপরে আমরা গ্রুপ ছবি তুললাম।আমি কফি কিনে এনে খেলাম। এদিকে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। অতঃপর বারোটার দিকে ছেলেকে রেখে মেয়ের কলেজে গেলাম ওকে আনতে। ওর কলেজে গিয়ে সমুচা , সিঙ্গারা কিনে আবার ফিরে আসলাম।
এরপর সিঙ্গারা, সমুচা সবার মধ্যে ভাগ করে দিলাম।আমার বেশ ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল বিধায় আমি দুটো সিঙ্গারা খেলাম।এরপর বেশ কিছুক্ষণ বসে গেমস দেখতে লাগলাম। ততক্ষণে প্রায় একটা বেজে গেছে। তখন একজন বলল যে লাঞ্চ দেয়া শুরু হয়েছে। আমি আর দেরি করলাম না উঠে চলে গেলাম। লাঞ্চের প্যাকেট নিতে প্রচন্ড ভিড়।এর মধ্যে দেখলাম আমার ছেলের আগের ক্লাসের শিক্ষক আছেন ।উনাকে বলতেই সিস্টেম করে আমাকে লাঞ্চের প্যাকেট দিয়ে দিলেন।
ঠিক করলাম এখন বাসায় চলে যাব কারণ আমি বেশ সকালে এসেছি এবং আমার খুব ক্লান্ত লাগছে।তাই সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল বিকালে। এটি দেখার মত আর আগ্রহ আমার ছিল না।যদিও জানি ওটাই হলো পিকনিকের মূল আকর্ষণ। বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে ২ টা বেজে গেল। বাসায় ফিরে আগে গোসল করতে চলে গেলাম। গোসল করে আর নামাজ পড়ার সময় পেলাম না। দেখলাম ওর বাবা এসে গেছে এবং তার বেশ ক্ষুধা লেগেছে। তাই আগে টেবিলে খাবার দিলাম।
আজকে দুপুরে লাঞ্চ হিসেবে স্কুল থেকে দিয়েছে পোলাও, মুরগি, ডিম, কাবাব,দই।পোলাও মাংস একটি বাটিতে ঢেলে মিক্স করে নিলাম এবং সবাইকে ভাগ করে দিলাম।দুপুরের খাওয়া শেষে মনে হলো দই তো খেলাম না। ততক্ষণে অবশ্য চা বানিয়ে ফেলেছি। তাই আগে একটু দই খেয়ে নিয়ে তারপর চা খেয়ে পাঁচ মিনিট বিশ্রাম করে নিলাম। এরপর জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে স্টিমিট একাউন্টে ঢুকলাম এবং বেশ কিছু কমেন্ট করলাম। বেশ কয়েকটি পোস্ট ও পড়লাম। এর মধ্যে কোন ফাঁকে ঘুমিয়ে গিয়েছি তা আমি বলতে পারব না।
এরপর রান্নার খালা আসলে আমার ঘুম ভাঙলো। বড়জোর ১ ঘন্টা ঘুমিয়েছি। ঘুম থেকে ওঠার পরে খুবই অবসন্ন বোধ হচ্ছিল। ততক্ষণ অবশ্য আসরের ওয়াক্ত হয়ে গেছে। তাই খালা কি করবে সেটা ওনাকে বুঝিয়ে দিয়ে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম । আজকের রান্না ছিল শোল মাছের মাথা দিয়ে লাউ আর বাঁশ পাতা শুটকি দিয়ে বেগুন তরকারি। বেশি কিছু রান্না করলাম না কারণ আগামীকাল শুক্রবার। আমি হাঁস রান্না করব। গতকালই হাঁস পরিষ্কার করে মশলা মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি। তাই খুব বেশি ঝামেলা হবে না।
মাগরিবের আযান দিলে মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ওজিফা পড়ে নিলাম।আর এখন লিখতে বসেছি। আসলে প্রতিদিন ভাবি আজকের দিনটা বুঝি ভালো কাটবে। কিন্তু দিন শেষে দেখি দিন তো ভালো কেটেছে কিন্তু কেন যেন পরিশ্রান্ত হয়ে গেছি। আবার যেদিন কোন পরিশ্রম হয় না সেদিন আরো খারাপ কাটে।মনে হয় যেন কিছুই তো করলাম না আজকে। আসলে এইসব নিয়েই আমাদের জীবন। আজ আর লিখছি না। সবাই ভালো থাকবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
বেশ কিছুদিনের কাজের ধকল সত্যিই আমাকে খুব ক্লান্ত করে দিয়েছে। এর মধ্যে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেলে মন ভালো হয়ে যায়। আপনার মন্তব্যটিও পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
We support quality posts anywhere and with any tags.
পিকনিক স্পট মানেই হচ্ছে আনন্দের একটা জায়গা। আপনার সেখানে গিয়ে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন। তবে আপনার পোস্টে দেখলাম বাঁশ পাতা দিয়ে শুঁটকি দিয়ে বেগুন তরকারি রান্না করেছেন। এটা আমার কাছে একেবারেই নতুন।অনুরোধ করবো অবশ্যই এই রান্নার রেসিপি টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
অবশ্যই চেষ্টা করবো রেসিপি দেওয়ার জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Your post has been successfully curated by @inspiracion at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
অনেক ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের কাজ দেখে। সত্যিই আজকে ব্যস্ত দিন গেছে আপনার। পিকনিকেও অনেক মজা করেছেন। অনেক ধরনের খেলাও হয়েছে সেখানে। পিকনিক বছরে একবার আসে । ছোট বেলায় স্কুলে থাকতে এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। তাই আপনার বাবুদের ছবি দেখে পুরনো স্মৃতিও মনে পড়ে গেল। শুভকামনা আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আজকে খুব ভোরে উঠতে হয়েছিলো কারন আপনার ছেলের পিকনিক তারপর আপনার মেয়ের পরীক্ষা ছিলো ৷ তারপর কলেজের অনুষ্ঠানে বেশ মজা করলেন ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
সব মিলিয়ে দিনশেষে খুবই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম তবে খুব ভালো লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার মন্তব্যে রিপ্লে দেওয়ার জন্য ৷ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ৷ ভালো থাকবেন 🧡
আজ আপনার ছেলের স্কুলে পিকনিক ছিলো। পিকনিক মানেই তো আনন্দঘন মুহুর্ত। আপনিও সারাদিন খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। ভালো থাকবেন।
আপনি কেক লাড্ডু এবং কমলালেবু কোনোটাই নাস্তা হিসেবে খেলেন না কেন? ভালো জিনিসগুলো বাদ দিয়ে শেষে দুটো সিঙ্গারা খেলেন খিদে মেটানোর জন্য। আপনি দই খাওয়ার পর চা খেয়েছেন, আপনার হজমশক্তি যথেষ্ট ভালো। আমি খেলে আমার অ্যাসিডিটি হয়ে যেত।
প্রতিটি মানুষের নির্দিষ্ট একটা সময় প্রয়োজন ঘুমানোর জন্য। এটার ব্যতিক্রম হলেই শরীরটা ক্লান্ত মনে হয়। সেখানে মাত্র এক ঘন্টা ঘুম, খারাপ তো লাগবেই।
ভালো লাগলো আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি, তবে অনুরোধ করবো শরীরের দিকে খেয়াল রাখবেন আপু।