হ্যালো বন্ধুরা,
আজকে আমি ১৪ই জুন শুক্রবারের দিনলিপির আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
![APJuWYdNufXfexVJdadzh84ubwxgJmQjFLw8A4brEnLhiN3hK5unENyHMhQzKqrVMegcPNVB19GB3ww1fqD6hmAXJ84TP8g8komtaH6PwG...x6wfZjZLosucmv9nWq1U9CQuccghJ6GMVXk44vU13efv4TV3Gr9UvvmQC11SFH2GuHU1Upe9w5tVrZqrA9aixUmguhU7yW54aBV34tkzgX9FdrtvLp7rcV6oB4.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQnozWKsPuh5DsZJzneEdyoNq8RjnaKxPAncVEc6RNeYt/APJuWYdNufXfexVJdadzh84ubwxgJmQjFLw8A4brEnLhiN3hK5unENyHMhQzKqrVMegcPNVB19GB3ww1fqD6hmAXJ84TP8g8komtaH6PwG...x6wfZjZLosucmv9nWq1U9CQuccghJ6GMVXk44vU13efv4TV3Gr9UvvmQC11SFH2GuHU1Upe9w5tVrZqrA9aixUmguhU7yW54aBV34tkzgX9FdrtvLp7rcV6oB4.png)
সকালে সাড়ে আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠে গেলাম। অতঃপর নাস্তা রেডি করে সবাই নাস্তা করে নিলাম।কি কাজ করব আজকে এটা ভাবছিলাম।এদিকে আমার এখনো কিছু বাজার বাকি আছে। বিশেষ করে মসলা কেনা।তাই ভাবলাম মসলার কেনাকাটা শেষ করে ফেলি। অতঃপর ঘর গুছিয়ে ১১ টার দিকে বের হলাম। রাস্তাঘাট ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। লম্বা ঈদের ছুটি পেয়ে বেশিরভাগ মানুষের গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
প্রথমে পুরো বাজার ঘুরে নিলাম।কি কি লাগবে এগুলো কোথায় আছে সেটাও দেখে নিলাম।এরপর এক দোকান থেকেই মূলত মসলা কেনা হলো।মসলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। কোন কিছুতে যেন হাত দেয়া যাচ্ছে না।কিছু কিছু মসলা যেমন নিয়মিত লাগে আবার কিছু মসলা রেখেও দেয়া যায়। কিন্তু পরিমানে কম কিনলে হঠাৎ করে আবার বাজারে দৌড়াতে হয়। তাই আজকে আর মাসলা ই পরিমানে কম কিনলাম না।
কোন কোন মসলা ২০০ গ্রাম কোনটা ৪০০ গ্রাম আবার কোনটা তার চেয়েও বেশি।এমন করতে করতে প্রায় মসলার সর্বমোট মূল্য প্রায় আড়াই হাজার টাকা হয়ে গেলো।কি বলবো!!! বাকি কেনাকাটা শেষ করে বাসায় চলে আসতে আসতে সাড়ে বারোটা।এসেই আগে রান্না করে নিলাম। আজকে রান্নায় ছিল গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ দিয়ে পুঁইশাক আর করলা ভাজি।রান্না করতে করতে প্রায় দুইটা বেজে গেল।
এরপর টেবিল গুছিয়ে গোসল সেরে নিলাম।যোহরের নামাজ আদায় করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।খাবার খেয়ে প্রথমে রেস্ট নিলাম। ভাবছিলাম বিকালে একটু দিয়াবাড়ি গরুর হাটের দিক থেকে ঘুরে আসব।ঘুরে ও আসা হবে আর ছেলেকে হাট দেখানো হবে।মূলত এই দুই উদ্দেশ্য ছিল।কিন্তু পরে আমার হাজব্যান্ড বললো সন্ধ্যায় তার এক জায়গায় যেতে হবে। তার এক ব্যবসায়ী বন্ধুর ছেলের বিয়ের কথা পাকা হচ্ছে।
সেখানে আজকে মেয়েকে আংটি পরানো হবে। ফলে আমার প্রোগ্রাম বাদ দিলাম। আজকে সেই চা বানিয়ে খাওয়ালো।এরপর কোথায় যেন বাহিরে চলে গেল।আসরের আযানের আগে ফিরে আসলো।আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। তার কিছুক্ষণ পরে সবাই আমাকে ডাকছে কেক কাটার জন্য। আসলে আমার মেয়ে আর তার বাবা মিলে প্রোগ্রাম করেছে কুপারস থেকে কেক আনবে।
ছেলেকে দিয়ে কেক কাটালাম।এখন আর জন্মদিনের কেক কাটা বা এ জাতীয় কোন উৎসব করতে ভালো লাগেনা।এগুলো আমাদের ধর্মে কঠোরভাবে নিষেধ আছে।তাই কোন উৎসব কখনোই হয় না।কিন্তু মেয়ে হয় কেক বানায় নতুবা বাইরে থেকে কিনে আনে।এটাও সব সময় করা হয় না।
সবাইকে কেক দিলাম।ছোটখাটো পারিবারিক উৎসব হয়ে গেল।কেকের সাথে বার্গারও এনেছে।তাই ভাবলাম আজকে আর রাতের খাবারের কোন আয়োজন করব না। বার্গার দিয়েই রাতের খাবার হয়ে যাবে।
মাগরিবের পরে আমার হাজব্যান্ড তার প্রোগ্রামে চলে গেল।কোরানের ক্লাসের তাজবীদের পেপারগুলো দেখছিলাম। আসলে একটা বয়স হয়ে গেলে আর সব পড়া আয়ত্তে আসে না।আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন কোরআন শিক্ষা এরকম ছিল না।তখন ক্বরিয়ানা পদ্ধতিতে কোরআন পড়ানো হতো আর এখন শেখানো হয় নূরানী পদ্ধতিতে। তাই নতুন করে পদ্ধতিগুলো আয়ত্তে আনতে আমার যথেষ্ট হিমশিম খেতে হচ্ছে।
যদিও আমি পড়তে পারি সাবলীল ভাবে।তবে সহীহ শুদ্ধের নিয়ম গুলো মুখস্ত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।চেষ্টা করে যাচ্ছি।এই মুহূর্তে নিজের এই কাজটিকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করাকেই একমাত্র সফলতা হিসেবে মনে করছি।আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন।
রাত সাড়ে নয়টায় বার্গার দিয়ে রাতের খাওয়া শেষ করে নিলাম।পোস্ট লিখে নিলাম।শরীরটা বেশি ভালো না লাগায় আজকে আর পোস্ট করলাম না।ভাবলাম সকালে পোস্ট করে দিব। আজকের মত আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন।
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আশা করি আপনারা আগামী দিনের পথ চলা অনেক বেশি সুন্দর হবে। আসলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মন থেকে সৌন্দর্য গুলো হারিয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও আপনার পরিবারের মানুষ আপনার জন্য এইটুকু করেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো। পরিবারের সবাই মিলে কেক কাটা এবং বার্গার দিয়ে রাতে খাবার পরিবেশন করেছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
জন্মদিন এর অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
ঠিকই বলেছেন মশলার যা দাম বেড়েছে তাতে কিনতে গেলেও ভয় লাগে। অবশ্য কলকাতা থেকে বেশ কিছু মশলা নিয়ে এসেছিলাম। এতে অনেক দিন নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো। কলকাতাতে মশলার দাম আমাদের দেশের তুলনায় অনেক কম।
ভাইয়ের বন্ধুর ছেলের বিয়ের কথা পাকা হওয়ার কারনে আজকে আপনাদের গরুর হাটে যাওয়া ক্যানসেল হয়ে গেছে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুখস্ত করার ক্ষমতা কমে যায়, তখন বুঝে পড়তে সুবিধা হয়।
আপনার সারা দিন এর কার্যক্রম পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়।
দিন দিন সব কিছুর দামই বাড়ছে। অন্য সকল কিছু না হয় বাদ দিলাম কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? আর কোন উৎসব আসলে যেন দাম আরও বেড়ে যায়। আজকে প্রায় ২৫০০ টাকার মসলা কিনেছেন। বাসায় এসে দুপুরে সুস্বাদু খাবার রান্না করেছেন।গতদিনের দিনলিপিতে পড়েছিলাম আপনার বোধহয় আজ জন্মদিন।আমাদের ধর্মে এসব পালনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আর বয়সের সাথে সাথে এগুলো নিয়ে অত আগ্রহও থাকে না। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।