Better Life With Steem || The Diary game || 14 - Dec - 2023 ||

in Incredible India2 years ago
Picsart_23-12-14_20-04-37-575.jpg

[Edit by Picsart]

খুব ভোরে ঘুম ভেঙে গেল এলার্ম এর শব্দে। শীতের সকালের এই একটা সমস্যা। ঘুম ভেঙ্গে যায় কিন্তু উঠতে ইচ্ছা করে না। এদিকে ছেলের স্কুল আছে তাই উঠতে হবে। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও উঠে গেলাম। হাতমুখ ধুয়ে সাংসারিক কিছু কাজ সেরে নিলাম। ছেলের টিফিনের জন্য কয়েকটা পেঁয়াজু ভেজে নিলাম চট করে।

এরপর আটটার দিকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সাড়ে আটটা থেকে স্কুলে পৌঁছে গেলাম। স্কুলে বাচ্চাদের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। যেহেতু স্কুলে প্রোগ্রাম তাই শুধু যারা প্রোগ্রামে থাকবে তারাই আসছে। আমি ছেলেকে এসেম্বিলিতে দিয়ে হাঁটতে বের হলাম। প্রায় আধাঘন্টা হাঁটলাম। এদিকে কিছু ফুলের ছবি তুলে নিলাম। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি শীতের দিনে ক্যান্টনমেন্টকে নতুন রূপে সাজানো হয়ে থাকে।

IMG_20231214_092209.jpg
IMG_20231214_092050.jpg

আমি ছোটবেলায় দেখতাম বড় বড় ডালিয়া ফুল দিয়ে ক্যান্টনমেন্টের সমস্ত রাস্তা ভরে থাকত আর রজনীগন্ধা ফুল ও দেখা যেত। এখন রজনীগন্ধা, ডালিয়া একেবারেই দেখা যায় না। রজনীগন্ধা ফুলটি নাকি সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ এই দেশে প্রচলিত করেছিলেন। ৯০ দশকে রজনীগন্ধা ফুলের ব্যাপক চাষ হতো। এখন গাঁদা ও বিভিন্ন বিদেশি ফুল দিয়ে সাজানো হয়। তবে আমার ছোটবেলার স্মৃতিতে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের সাজসজ্জা এখনো ভেসে ওঠে।

যাই হোক হাঁটা শেষ করে ওয়েটিং রুমে চলে আসলাম এরপর নাস্তা খেয়ে নিলাম। বেশ কিছুক্ষণ ওয়েটিং রুমে গল্প করার পরে সাড়ে ১১ টার দিকে ক্যান্টিনে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে কফি ও প্যাটিসের অর্ডার দিলাম। কিছুক্ষণ পরেই ছেলের ক্লাস ছুটি তাই ক্যান্টিনের বিল মিটিয়ে দিলাম। ওর স্কুলে একটি ডিজিটাল পিয়ানো আছে। সেখানে বাচ্চারা হাঁটলে মিউজিক বাজে। তাই ছবি তুলে নিলাম। অতঃপর ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসলাম।

IMG_20231214_120041.jpg
IMG_20231214_112849.jpg

শরীরটা বেশি ভালো লাগছিল না তাই একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত একটু ঘুমিয়ে নিলাম। এরপর চটজলদি গোসল সেরে নামাজ পড়ে নিলাম। দুপুরে আজকে আর ক্ষুধা লাগেনি তাই ভাত খেলাম না শুধু এক কাপ চা খেলাম। অতঃপর স্টিমিটে একটু বসলাম কিছু বন্ধুদের পোস্ট করে কমেন্ট করলাম।

বিকেল হয়ে আসলে রান্নার যোগার যন্তর করতে লাগলাম। আজকে খুব বেশি কিছু রান্না করিনি। ডালের বড়ি দিয়ে লাউ চিংড়ি আর কাতলা মাছের ঝোল ভুনা করলাম। রান্না শেষ হতে না হতেই আমার এক পরিচিত ভাবি বাসায় আসলেন। উনার সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্পগুজব করলাম। উনি কিছুদিন আগে পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছিল তখন উনাকে আমি দেখতে গিয়েছিলাম। এখন ওনার পা একটু ভালো তাই আমাদের বাসা ঘুরে গেলেন।

IMG_20231214_193853.jpg
IMG_20231214_152109.jpg

এরমধ্যে আবার মেয়ে টিচারও পড়াতে আসলো। তাকে ও নাস্তা দিলাম। মেহমান যেতে যেতে প্রায় সাড়ে সাতটা।ততক্ষণে এশার আজান দিয়ে দিয়েছে। আগামীকাল যেহেতু শুক্রবার তাই কাজ গুছিয়ে রাখার তাড়াটা তেমন ছিল না। এভাবে একটি একটি করে দিন আমাদের জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। প্রতিদিন কতটা ভাল কাটাতে পারলাম এটাই এখন চিন্তা করি। আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি।

DeviceName
Androidvivo v19
Cameratriple camera 48mp+8mp
LocationBangladesh 🇧🇩
Shot by@hasnahena

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPmPayXPfM22kXaj3xKw37oQ9tua3JfrnuMRWWqGHfhuyA1UYheY5qjiFbP3BW...JWNUaLb1UAxtVkvpEzFvrbCpiTVHr2qys8cnVHpyrfv38wVPMc1Luya71X8AzcNNuKjF1rHwqMTUWN8r39rGXHzGTLWtLUbqpNh6DHaWG6eK2zUkgnx8ShFKdg.png

Sort:  
 2 years ago 

যেহেতু পূর্বের বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের সাজসজ্জা আপনি দেখেছেন এবং এখনো দেখতে পারছেন, তাই এই দুটোর পার্থক্য আপনি অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারছেন। তবে বর্তমানে গাঁদা ফুল ও বিদেশী ফুল দিয়ে সাজসজ্জার যে ছবি আপনি ক্যামেরাবন্দি করেছেন, সেটাও বেশ ভালো লাগছে দেখতে। শীতকালে সকালে ওঠাটা আসলেই অনেক বেশি কষ্টের। কিন্তু সংসারের প্রয়োজনে আমরা মেয়েরা সব কষ্টকে ভুলে গিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকই করি, এই জন্যই বোধহয় ঈশ্বর মেয়েদেরকে এইভাবে তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি কাতলা মাছের ঝোলটি দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে। কর্মব্যস্তময় না হলেও দিনটি আর পাঁচটা দিনের মতন কাটিয়েছেন, তবে মাঝে পরিচিত একজনের উপস্থিতি কিছুটা আনন্দ দিয়েছে। একটু গল্প করার সুযোগ পেয়েছেন। আপনার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানি, তাই বলছি অবশ্যই নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন। ভালো থাকবেন।

Loading...

এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় যদিও উঠতে মন চায় তবুও উঠতে চায় কারন ছেলের স্কুল রয়েছে ৷ তারপর পরিবারের সাংসারিক কাজ সম্পন্ন করে থাকেন এবং ছেলের টিফিনের জন্য পেঁয়াজু ভেজে নেন চট করে ৷ তারপর ছেলেকে স্কুলে উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সেখানে পৌঁছে দেখেন অনেক ফুলের সমরাহো সেগুলো বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ৷ তারপর হাঁটাহাটি শেষ করে ওয়েটিং রুমে চলে যান সেখানে ক্যান্টিনে কফি অর্ডার দিয়ে থাকেন তারপর ছেলেকে স্কুল শেষ করে নিয়ে আসেন বাড়িতে তারপর শরীর ভালো লাগছেনা জলদি একটু ঘুমিয়ে নেন ৷ তারপর রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েন ৷

যাই হোক অনেক ভালো আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ আগামী দিন গুলোও আপনার ভালো কাটুক ৷ আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম ৷

 2 years ago 

এটা আমারো হয় শীতের যতই এলার্ম বাজুক না কেন উঠতে ইচ্ছে করে না।তারপরও উঠতে হয়।আমার ছেলেদের স্কুল বন্ধ যার কারনে এদিক থেকে কিছুটা বেচে গেছি।কারন নিজেদের সাথে সাথে বাচচাদের ওপর বেশ চাপ পরে এত সকালে উঠাটা। যার কারনে স্কুলে বাচচাদের উপস্থিতি কমে যাওয়াটা অনেকটাই স্বাভাবিক।
রজনীগন্ধা ফুল প্রেসিডেন্ট এরশাদ প্রচলিত করেছিলেন এটা আমার জানা ছিলো না। ধন্যবাদ এটা তথ্যটা আপনার লেখায় তুলে ধরার জন্য।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন শীতের সময় এটা অনেক বড় একটি সমস্যা খুব ভালো উঠতে ইচ্ছে করে না কিন্তু আমাদের কর্মের জন্য ঠিক উঠতেই হয়।

স্কুলে প্রোগ্রাম থাকার কারণে কম বাচ্চারা এসেছে শুধুমাত্র যারা প্রোগ্রাম করবে তারা ব্যতীত।। আর আপনি ঠিক বলেছেন আগে ডালিয়া ফুল দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাজানো হতো এখন এই ফুলগুলো কম ব্যবহার করা হয়।।

আজ ক্যান্টিনে কফি ও প্যাটিস খেয়েছেন।। ছেলে ছুটি হয় বিল মিটিয়ে সেখানে ডিজিটাল পিয়ানো ছিল তার ছবি তুলে নিয়ে বাসায় চলে আসেন।।

বেশ ভালো লাগলো আপনার একটি দিনের কার্যকলাপ পড়ে।। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন।।

 2 years ago 

আসলে সকালে ঘুমটা যে এত মধুর হয় তা বলো বোঝানো যায় না। বাজিয়ে রাখলে ঘুম থেকে উঠতে মন চায় না মানে দুই বিছানাকে ছারতে মনে চায়না। তারপর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে। ছেলের জন্য টিফিন তৈরি করতে পিয়াজু বানিয়ে ফেললেন। এরপর ছেলেকে স্কুলে পড়তে দেওয়ার পর এবং বাইরে কিছু হাতাহাতি করলেন। এবং কিছু ফটোকপি করেন আবার এবং আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার দৈনিদের কাজগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য থ্যাংক ইউ

 2 years ago 

বর্তমানে সকালে অনেক শীত পড়ায় ঘুম ভাঙ্গলেও কম্বলের নিছ থেকে বের হতে মন চায় না। সারাদিন বেশ ব্যস্তময় সময় পার করেছেন। রজনীগন্ধা ফুলের যে ইতিহাস বলেছেন তা আগে জানা ছিল না। তবে ঠিক বলেছেন আগের মত ডালিয়া ফুল দেখা যায় না।আগে সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে দেখা যেত এই ডালিয়া ফুল কিন্তু এখন আর দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফুলের ছবি ও আপনার ব্যস্তময় দিনের মূহুর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমাদের দেশ অনেক উন্নত হয়েছে তাই ছোট বেলায় দেখা ফুল গুলো এখন পরিবর্তন করে বিদেশী ফুল দিয়ে সাজায়।আপনার মতো আমার কাছে ও আগে ফুল গুলো ভালো ছিলো।আমি হয়তো আগের দিনের বেশি ফুল দেখি নায় কিন্তু যা দেখেছি তাই অনেক মিস করতে আছি। আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

 2 years ago 

আপনার ডায়েরি থেকে ফুলের সাড়ি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার লেখার মাধ্যমে নতুন একটা জিনিস জানলাম। রজনীগন্ধা যে এরশাদ নিয়ে এসেছে তা আগে জানতাম না।

চিংড়ি মাছ ভীষণ প্রিয় আমার। আপনি আজকে সেটা রান্না করেছেন।

সুন্দর করে একটি দিন শেয়ার করলেন আমাদের সাথে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

স্কুল কলেজের মাঠে এমন ফুল গাছ লাগানো থাকলে সত্যিই দেখতে অনেক ভালো লাগে।।
আজ দুপুরে আপনার কিছু খেতে ইচ্ছা করেনি তাই শুধু চা খেয়েছেন। মাঝে মাঝে আমার সাথেও এমন হয়।।
মাঝে মাঝে বাসায় প্রতিবেশী আসলে ভালোই একটা সময় কাটে।

প্রতিদিন কতটা ভাল কাটাতে পারলাম এটাই এখন চিন্তা করি।

আমাদের সকলেরই উচিৎ নিজেদের প্রতিটি দিনকে যত সম্ভব ভালো করে পার করা,কারণ কাল কি হবে আমরা কেউই বলতে পারি না।

ঢ়াইহোক ভালো থাকবেন, আপনার প্রতিটি দিন অনেক ভালো কাটুক সেই শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.31
JST 0.031
BTC 107014.16
ETH 3881.77
USDT 1.00
SBD 0.59