Better Life With Steem || The Diary game || 13 May 2024||
[Edit by PicsArt]
আজকে এতো ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে তা ভাবি নি। সাড়ে চারটার দিকে আমার ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেলো।ওর শরীরটা ভালো না।ওর সাথে সাথে আমিও উঠে গেলাম। প্রথমে ভাবলাম ও হয়তো আবার ঘুমাবে কিন্তু দেখলাম ওর চোখে ঘুমের কোন লেশমাত্র নেই।
পরে আস্তে-ধীরে সকালের সবগুলো কাজ গুছিয়ে নিলাম।মেয়ে কলেজে চলে গেলো।এরপর আমি তৈরি হতে লাগলাম ছেলেকে স্কুলে নেয়ার জন্য। সবকিছু গুছিয়ে আটটার দিকে বের হয়ে গেলাম। সাড়ে আটটাতে স্কুলে পৌঁছে গেলাম। ওকে ক্লাসে দিয়ে ক্যান্টিনে বসলাম।
সবার আগে হাত ধুয়ে নাস্তা করে নিলাম। এরপর এক কাপ রং চা খেলাম। যদিও ক্যান্টিনের চা খুবই ফালতু কিন্তু কিছুই করার নেই। আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল ১০ টার দিকে সিএসডি যাব। ক্যান্টনমেন্টে পুরানো সিএসডি পরিবর্তন হয়ে নতুন বিল্ডিং এ শিফট হয়েছে। পুরো চারতলা জুড়ে সুপার শপ কাম মার্কেট হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু হলো গত বৃহস্পতিবার।
আজকে অল্প কিছু জিনিস কেনার ছিল। তাই দশটার দিকে রওনা দিলাম। প্রথমে চলে গেলাম মাছের সেকশনে। দেখে আসলাম কি কি মাছ আছে।এ জায়গায় সবকিছু এত সুন্দর হওয়া সত্ত্বেও মাছের কাউন্টারটি বদ্ধ।তাই মাছের আঁশটে গন্ধে ভরা। একেবারেই ভালো লাগছিল না। তাই বের হয়ে সবজি ও ডিমের কাউন্টারের দিকে গেলাম।
১১০ টাকা ডজন ডিম বিক্রি করছে। অথচ বাহিরে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ডজন এখন। আমি যেতে যেতে শেষ পর্যন্ত এক ডজনই ছিল। তাই তা নিয়ে নিলাম। এরপর দোতালায় গেলাম। কয়েকদিন আগেও আমি বালতি কেনার জন্য চেষ্টা করেছিলাম।পছন্দ হয়নি বিধায় কিনতে পারিনি।আজকে দেখলাম এখানে খুব সুন্দর সুন্দর বালতি আছে।
আমি দুটি বালতি কিনে নিলাম। এরপর নিচে চলে আসলাম।এসে দেখি আবারো ডিম স্টক হয়েছে। আমি আরো এক ডজন ডিম নিয়ে নিলাম।ভেজিটেবল কাউন্টারে যেয়ে এতো আশ্চর্য হলাম যে আপনাদের সাথে তার ছবি শেয়ার না করে পারছিনা। কাঁচা পেঁপের কেজি ৮৫ টাকা যা সত্যিই আশ্চর্যজনক ব্যাপার !!!আমার ভীষণ রাগ হচ্ছিল পেঁপের দাম দেখে। তাই আর কিনলাম না।
অতঃপর অন্যান্য জিনিস কিনে সিএসডি থেকে বের হয়ে গেলাম।
পণ্য | পরিমাণ | মূল্য | স্টিম |
---|---|---|---|
রুই মাছ | ২ কেজি | ৭০০৳ | ১৫.৭৮ |
তেলাপিয়া মাছ | ২ কেজি | ৫৮০৳ | ১৩.০৮ |
চিংড়ি মাছ | ৩০০ গ্রাম | ২৫০৳ | ৫.৬৪ |
ডিম | ২ ডজন | ২২০৳ | ৪.৯৬ |
বালতি | ২টি | ৭৪০ | ১৬.৬৯ |
কলা | ৩ হালি | ৮৪৳ | ১.৮৯ |
লাউ | ১টি | ৬০৳ | ১.৩৫ |
সজনে ডাটা | ৩০০ গ্রাম | ৫২৳ | ১.১৭ |
আলু | ১কেজি | ৭০৳ | ১.৫৮ |
পাঁপড় | ২প্যাকেট | ৭৫৳ | ১.৬৯ |
সিএসডি থেকে আবার ক্যান্টিনে এসে বসলাম। একটা প্যাটিস খেলাম। সাথে আমার বান্ধবী সবার জন্য ড্রিংকো নিয়ে এসেছিল।আমি না খেয়ে রেখে দিলাম।এরপর ওদের কাছে শুনলাম লেকে মাছ ধরা হচ্ছে। ভাবলাম ছুটির সময় যেয়ে দেখব।সাড়ে ১২ টার দিকে ছুটি হয়ে গেলে ছেলেকে নিয়ে মাছ যেখানে ধরছে ওখানে গেলাম।
ওখানে আমাকে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়াতে হলো। কারণ তখন মাছ উপরে আনছে। আমি দুটি রুইমাছ (বাচ্চা) ও দুটি তেলাপিয়া মাছ কিনলাম। তেলাপিয়া মাছগুলো খুব বড় ছিল। আর নলা মাছ আমি ডাটা,পটল বা যে কোন সবজি দিয়ে রান্না করে খেতে খুব পছন্দ করি। মাছ নিয়ে মেয়ের কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।এরপর মেয়েকে নিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে পৌনে দুইটা বেজে গেল।
বাসায় ফিরে টেবিলে খাবার দিয়ে গোসল করে নামাজ সেরে নিলাম।এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। মেয়েকে বললাম খুব কড়া করে চা বানাতে। সেই ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি এখন খুব অবসন্ন বোধ হচ্ছিল। এক কাপ চা খাওয়ার পরে একটু বসলাম।তবে কেমন যেন ভালো লাগছিল না। তাই ছোলা বুট বের করে বসে বসে চিবাতে ছিলাম। কারণ এখন ঘুমাতে তো পারবো না। আর ঘুম চলে আসলে শরীরটা আরো খারাপ লাগবে।
এরপরে মেয়ের টিচার চলে আসলো।পরে রান্নার খালা চলে আসলো।খালাকে বললাম তেলাপিয়া মাছটাকে সুন্দর করে কাটতে। তেলাপিয়া মাছ মচমচে করে ভাজি করে নিলাম। চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না করে নিলাম। আর লাল আলু দিয়ে করলা ভাজি আমি খুবই পছন্দ করি।সেটাও করে নিলাম।
সন্ধ্যার পরে ছেলে খাবার খেয়ে নিল। সারাদিনের সব কাজ শেষ করে পোস্ট লিখতে বসলাম। আগামীকাল ছেলের স্কুলে বিশেষ কেউ আসবে। তাই দেরিতে ছুটি হবে। স্কুল থেকে টিচার এই মেসেজ দিলো। আমি আবার গ্রুপে এটা ফরোয়ার্ড করলাম। সবকিছু গুছিয়ে এখন পোস্ট করে দেবো। আল্লাহর রহমতে আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে। আজকের মত আপনাদের সবার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.ঢাকাতে সুপার সবগুলোতে ন্যায্য মূল্যের দাম এবং টাটকা জিনিস পাওয়া যায়। সুপার শপ গুলোতে বাজার করতে অনেকটাই সাচ্ছন্দ বোধ করতাম । ঢাকাতে থাকতে আমি বাইরে না বাজার করার অভিজ্ঞতা কম থাকায় করে সুপার শপ গুলোতেই বাজার করতাম । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ
আপনার বিগত পোস্টে পড়েছিলাম যে আপনার বালতি কেনার প্রয়োজন কিন্তু কিনতে গিয়েও ভালো পছন্দ হয়নি বিধায় কিনতে পারেন নি। যাক, আজ তাহলে পছন্দ করে দুটো বালতি কিনেই নিলেন।
তার পাশাপাশি আজ অনেক বাজার করেছেন এবং চমৎকারভাবে তার মূল্য তালিকা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেকেই করলা ভাজি খেতে পছন্দ করে না তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে করলা ভাজি খুব পছন্দ করি।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পেঁপের দাম শুনে আমিও বেশ অবাক হলাম, এই সময় সবজির দাম একটু বেশি থাকে ঠিকই, তাই বলে এতো? এই ধরনের মার্কেটে বাজার করার একটাই সুবিধা, এক জায়গার মধ্যেই সব প্রয়োজনের জিনিস পাওয়া যায়। আপনার কেনা বালতি দুটি দেখতে সত্যিই সুন্দর হয়েছে।
মাছ খেতে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না, আর দাম সম্পর্কেও তেমন কোনো আইডিয়া নেই, তাই সেই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করাটা বোধহয় ঠিক হবে না। তবে ডিমের দাম অনেকটাই কম।
ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে দুপুর বেলায় ঘুমানোর থেকে নিজেকে আটকানো আসলেই অনেক কষ্টকর।তখন বোধহয় কড়া করে চা খাওয়াটা একটা ভালো অপশন, অন্তত যারা আপনার মতন চা খেতে পছন্দ করে তাদের জন্য।
অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ মার্কেটে গিয়ে বেশ কিছুটা সময় কাটানোতে আপনার দিনটা একটু অন্যরকম, অথচ বেশ ভালো কেটেছে বলেই মনে হলো। ধন্যবাদ আপনাকে নিজের সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বাচ্চারাতো এত ভোরে সাধারণত উঠে না কিন্তু ওর শরীর খুব একটা ভালো না থাকার কারনেই হয়তো উঠে গিয়েছিল
তবে ভোর বেলা আমার নিজের ঘুম ভেঙে গেলে একটা সুবিধা পেয়েছি আর সেটা হলো দিনটা বড়ো হয়ে যায় আর দিনের অনেক কাজই আস্তে আস্তে করলেও দ্রুত শেষ করে ফেলা সম্ভব।
অবশ্য বাচ্চাদের স্কুল ডিউটি থাকলে সেটা করা সম্ভব না কোন মতেই। ওইটা টাইমলিই করতে হবে।। বালতি কেনার কথা আপনার আগের কোন লেখাতেও দেখেছিলাম।কিনতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
সাথে আরো অনেক ধরনের বাজারও করেছেন।
এত ভোরে ঘুম ভাঙলে ক্লান্তি লাগাটাই স্বাভাবিক তাই কড়া করে চা খেয়ে ভালো করেছেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বাচ্চাদের ঘুম ভেঙে গেলে মা আর ঘুমাতে পারে না। আপনার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হল। মাকে সংসার এবং সন্তানের সকল কিছু এক হাতে সামলাতে হয় ।
সন্তানদের খাবার-দাবার ,স্কুল-কলেজ তার সাথে সাথে সংসারের রান্নাবান্না থেকে সব কিছুই দেখতে হয় । ওদের নিয়ে সারাক্ষন ব্যস্ততার মাঝেও নিজের কিছুটা খেয়াল রাখতে হয়। মা অসুস্থ হয়ে গেলে সংসার, সন্তান সবকিছু সামলানো অনেক কঠিন হয়ে যায় ।
আপনি আজকের দিনলিপিতে যা যা করেছেন তা সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।সিএসডি থেকে বাজার করা অনেক সহজ। একই মার্কেটে আপনি সংসারের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুই পেয়ে থাকেন। কম সময় পছন্দ অনুযায়ী সবকিছু ক্রয় করা যায়।
বাজার থেকে যেগুলো ক্রয় করেছেন এবং সেইটার মূল্যের তালিকাটা অসাধারণ ছিল। এই তালিকার মাধ্যমে আপনার এলাকার দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি আমি দেখলাম আমাদের এখানকার থেকে আপনার ওইখানকার বাজারের জিনিসের দ্রব্যমূল্যে একটু বেশি।
আমি মাছ ধরা দেখতে যেমন পছন্দ করি ঠিক তেমনি নিজে মাছ ধরতেও পছন্দ করি। যেহেতু আমাদের বাড়ির গ্রামে এবং নিজেদেরই মাছের পুকুর রয়েছে, তাই মাঝেমধ্যে প্রয়োজনেও মাছ ধরতে হয়।
আসলে সন্তানরা অসুস্থ থাকলে বা ভালো না থাকলে কোন মা ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। আপনার ছেলের শরীর ভালো না এইজন্য খুব ভোরে ঘুম ভেঙে গেছে।
এরপরে সকালে বাসার কাজকর্ম সেরে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছেন। পরে ক্যান্টিনে বসে সকালে চা খেয়ে অনেক কেনাকাটা করেছেন।
আপনার বালতি দুটো দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে।
তেলাপিয়া মাছ একদম মচমচে ভাজি করেছেন। আহ! কথাটি শুনি কেন জানি একটা শান্তি লাগলো।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।