Better Life With Steem || The Diary game || 13 April 2024||
হ্যালো বন্ধুরা,
১৩ইএপ্রিল
শনিবার।
গত দিনের পোস্টে বলেছিলাম আমার ননদ শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। শনিবার দিবাগত রাতে কেউই আমরা ঘুমাতে পারিনি। রবিবার সকাল নাগাদ পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেল।মূলত পারিবারিক বিভিন্ন সম্যসা ও অন্যান্য কারণে তার নার্ভাস ব্রেকডাউন এর মত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে কিছু সময়ের জন্য সে নিজের ছেলেকেও চিনতে পারছিল না।এবং কিছু অপ্রত্যাশিত আচরণ করে ফেলেছ। তাই আমরা বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কি করবো এটা বুঝতে পারছিলাম না। অতঃপর সিদ্ধান্ত নিলাম যে ওখানে যাই।নইলে কোন ডিসিশন নেয়া যাচ্ছে না।যেহেতু বাচ্চাদেরকে নেব না তাই ওদের জন্য কিছু খাবার-দাবার রেডি করে নিলাম। পরে সব কিছু গুছিয়ে গোসল করে নিলাম। রওনা দিতে দিতে বারোটা বেজে গেল। ঈদের ছুটির কারণে রাস্তাঘাট বেশ ফাঁকাই। একটার দিকে আমরা পৌঁছে গেলাম।
আমার বড় ভাসুর ননদকে তার বাসায় নিয়ে এসেছে। তাকে কড়া ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাই সে তখন ঘুমাচ্ছিল।তার স্বামী, মেয়ে, জামাইরা সবাই উপস্থিত আছে। তাদের সাথে বেশ কিছু কথা হচ্ছিল।দুপুরের পরে ঘুম থেকে উঠলে ওকে গোসল করিয়ে খাওয়ানো হলো। সে কোন কারনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছিল ফলশ্রুতিতে আমরা তাকে বিভিন্ন কথা বলে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম।
এদিকে আমার বড় ননাস যিনি হার্ট অ্যাটাক এ আক্রান্ত হয়েছিল তার শরীরের অবস্থা ভালো নয়।তাকেও আজকে ডাক্তার দেখানোর কথা। অতঃপর বড় ননাসের ছেলেকে বললাম যে তোমার ছোট খালার জন্য একই হসপিটালে একজন নিউরো ডাক্তারের সিরিয়াল নেওয়ার জন্য।রাত এগারোটার সিরিয়াল পেলাম।
এদিকে আমার বড় জা ও তার বোন দুজনে বাবার বাড়ি যাবে।তারও প্রস্তুতি চলছিল।যেহেতু ডাক্তারের সিরিয়াল দুটি একটু রাত করে তাই আমরা জলদি বের হতে পারছিলাম না। মাগরিবের পরে সাতটার দিকে রওনা দিলাম। উদ্দেশ্য হলো ইবনে সিনা হসপিটাল ধানমন্ডি। সাড়ে আটটার মধ্যে হসপিটালে পৌঁছে গেলাম।অতঃপর আমরা সবাই ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য বসলাম।প্রথমে বড় ননাসকে ডাক্তার দেখানো হলো।
কারণ ওনার সিরিয়াল আগে ছিল। উনাকে ডাক্তার দেখিয়ে নিচে তিন তলায় চলে গেলাম। কারণ ননদের ডাক্তার তিন তলায়। যদিও ওর সিরিয়াল অনেক পেছনে ছিল কিন্তু রোগী না থাকার কারণে আমরা আগেই সুযোগ পেয়ে গেলাম। অতঃপর ওকে ডাক্তার দেখানো হলো ভেবেছিলাম ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফিরে যাব। কিন্তু ডাক্তার হসপিটালে ভর্তি লিখে দিলেন। এবার তো আর একটা পেরেশানিতে পড়ে গেলাম। ওর ভর্তি দিলো ইবনে সিনা শংকর ব্রাঞ্চে। অতঃপর ননাসদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ননদকে নিয়ে ইবনে সিনা শংকর ব্রাঞ্চে চলে গেলাম।
সেখানে ওর ভর্তির প্রসেসিং সহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে লাগলাম। সাথে ছিল ভাগ্নে আর ননদের মেয়ের জামাই আমি আর আমার হাজব্যান্ড।সবকিছু গুছিয়ে ওকে কেবিনে তুলতে তুলতে রাতের প্রায় সাড়ে এগারোটা বেজে গেল। এদিকে বাচ্চাদেরকে একা বাসায় রেখে গেছি। দুশ্চিন্তা ও হচ্ছিল।যদিও ছেলে সন্ধ্যার পরে ঘুমিয়ে গেছে তাই ছেলেকে নিয়ে এতটা টেনশন ছিল না। অতঃপর ওদেরকে সেটেল করে দিয়ে আমাদের বাসায় আসতে আসতে রাত প্রায় বারোটা।
![]() |
|---|
এদিকে শরীরটাও খুব একটা ভালো লাগছে না বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে অল্প ডাল-ভাত খেয়ে নিলাম। এদিকে আজকে এত কিছু হবে বুঝতে পারিনি। সাভার থেকে দশ কেজি দুধ এনেছিলাম। আর সেটা যদি এখন জ্বাল দিয়ে না রাখি তাহলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এতো রাতে দুধ জ্বাল দিতে বসলাম। সব কিছু গুছিয়ে শুতে যাব দেখি একটা বাজে।আজ আর পোস্ট লিখতে ও পারলাম না। আজকের মত সবার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।










মোটামুটি ভালই পেরেছেন এর মধ্যে কাটলো আপনার আজকের দিনটি। তবে ১০ কেজি দুধ যে নষ্ট হয়নি সেই জন্য আলহামদুলিল্লাহ।
সাভারের গরুর দুধগুলো কিন্তু অন্যরকম স্বাদ ।
ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলেন ইবনে সিনা ছাত্রদের প্রস্তুতি ছিল না তারপরও নানধ্যে ভর্তি করে দিল। স্বাভাবিকভাবেই একটু পেরেশানিতে পড়তে হলো আপনাকে। দোয়া করি আপনার ননদ যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
অসুস্থতা ও আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে পাওয়া একটা নেয়ামত। যাইহোক আপনারা অনেকটা ব্যস্ততার মাঝে ডাক্তার দেখানো সম্পূর্ণ করেছেন, জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে দুধ এমন একটা জিনিস জাল দিয়ে না রাখলে, বা ফ্রিজে না রাখলে। একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন। ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে আসলে কোন কাজেই মন বসে না আর সেই সাথে দৌড়াদৌড়াতেও পরতে হয়। আর এই ঈদের ছুটিতে অনেক সময় ঠিকঠাক ভাবে ডাক্তারও পাওয়া যায় না।
তাটপরও ইবনেসিনার শংকর ব্রাঞ্চে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হচ্ছে জেনে ভালো লাগ্লো। ওদের চিকিৎসাও মোটামুটি ভালোই।
সাভার থেকে আনা দুধ যে নস্ট হয় নাই এটা জেনে ভালো লাগলো।ওই এলাকার দুধ বেশ ভালো। আমিও প্রায়ই সাভার এর পাশেই ধামরাই সেখান থেকে দুধ আনি।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার ননদ খুব অসুস্থ জেনে খারাপ লাগছে। আর বাড়ির কেউ অসুস্থ থাকলে সবারই চোখের ঘুম হারাম হয়ে যায়। আপনাদের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।