Better Life With Steem || The Diary game || 12January 2024||
[Edit by Picsart]
Hello everyone,
কেমন আছেন আপনারা সবাই। শৈত্যপ্রবাহের এই দিনগুলোতে আশা করছি আপনারা সবাই উষ্ণ আছেন। যে যেখানেই থাকুন না কেন প্রার্থনা করি সবাই সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন। গতকাল শুক্রবার একটি ছুটির দিন কেটে গেল। ছুটির দিনগুলো আসে আর যায় দিনের পরিক্রমায়।আর জীবন থেকে নিয়ে যায় একটি দিন। যে দিনটি আর কখনো ফেরত আসবে না।
সকলে আমরা চেষ্টা করি প্রতিটি দিনে ভালো থাকার জন্য। প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডগুলো কিছুটা সবারই একই রকম থাকে। যা কিছু ভিন্নতা তাই নিয়েই সাজে আমাদের এই আয়োজন। আজকে আমিও এসেছি ডেইলি ডায়েরি গেম নিয়ে। তাহলে শুরু করা যাক।
আগের দিন রাতে একটু দেরিতে ঘুমানো হয়েছিল। ফলে শুক্রবারে একটু দেরিতে ঘুম ভাঙলো। ঘুম থেকে উঠতে উঠতে সাড়ে আটটা বেজে গেল। উঠে হাত মুখ ধুয়ে ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপতে লাগলাম। ছেলের শুক্রবারে কথা থাকে যে, হোটেলের পরোটা স্যুপ দিয়েই শুক্রবারে নাস্তা করবে। তাই অল্প কয়েকটা রুটি বানালাম আর ওদের দুই ভাই-বোনের জন্য পরোটা-স্যুপ কিনে আনলাম। নাস্তা সেরে কিছুক্ষণ আবার কম্বলের নিচে বসে রইলাম। তবে অবশ্যই চা নিয়ে।
শীতে আমার চা পান করা বেড়ে গেছে। ইদানিং কফি ও পান করছি। চা-কফির অভ্যাসটা আসলে কমানো দরকার। কিন্তু শীতে কেন যেন পারিনা।এরপরে ১১ টা বাজলে ভাবলাম একটু হেঁটে আসি। কিছু মসলা ও টুকিটাকি জিনিস কেনার আছে। তাই রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। আজকে গন্তব্য ছিল মতিঝিল এজিবি কলোনি বাজার। ওখানে এমনিতে শুক্রবারে হলিডে মার্কেট বসে। আর বাজারেও সব জিনিস তাজা পাওয়া যায়। আমার বাসা থেকে হেঁটে ২০-২৫ মিনিটের মতো লাগে। আর শুক্রবারের রাস্তাঘাট খালি থাকে। তাই হেঁটেই রওনা দিলাম।
যাওয়ার পথে আরামবাগের মোড়ে পুরো রাস্তা জুড়েই নার্সারি।সেখান থেকে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তবে অবাক হলাম যে এই শীতে গোলাপ ফুল গাছের সংখ্যা খুব কম। শুধু একটি দোকানে আমি নানা রঙের গোলাপ ফুল গাছ দেখেছি। বাকি সব জায়গাতেই অন্যান্য ফুলের বেশি। যাই হোক অতঃপর ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখলাম। দেখার পরে আমি আদা-রসুন ও গরম মসলা কিনলাম। এছাড়া মুরালি,মোয়া,বাদাম ভাজা কিনলাম।
এরপর সবজি দোকানে গেলাম। ভাবলাম যেহেতু এসেছি অল্প কিছু সবজি নিয়ে যাই। তবে সবজির দাম শুনে আমি যথেষ্ট বিরক্ত হলাম। কারণ কিছুদিন আগেও যে সবজি ৫০ টাকা ছিল আজকে সেই সবজি ৮০ টাকা। এমনকি টমেটো এক সপ্তাহ আগে ৪০/৪৫ টাকা দিয়ে কিনেছি সেটাও ৮০ টাকা চাইছে। আমি কচি ডাটা, সিম ও গাজর কিনে বাসার দিকে রওনা দিলাম। পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুইটা বেজে গেল। তাড়াতাড়ি এসে আগে গোসল করে নামাজ সেরে নিলাম তারপরে টেবিলে খাবার দিলাম।
খাবার শেষ করে বারান্দা থেকে কাপড় তুলে ভাঁজ করে নিলাম। এরপর কি কি রান্না হবে তার জন্য ফ্রিজ থেকে মাছ, মুরগি বের করে ভিজিয়ে রাখলাম। মসলাগুলো নিজ নিজ কৌটায় রেখে দিলাম। আসরের আযান দিয়ে দিল। আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর রান্নার খালা তাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিলাম।এদিকে এত ঠান্ডা লাগছে যে বাহিরে কোন কাজে যাওয়ার মত সাহস করছি না।
কারন আমার ঠান্ডার সমস্যা আছে। কোন কারনে যদি সর্দি-কাশি একবার লাগে তো কাশি সহজে সারতে চায় না। তাই আমি ঠান্ডা বাতাসকে খুব ভয় পাই। ভাবছিলাম যে লেখা শেষ করে পোস্ট করে নিব। কিন্তু শরীরটা কেন যেন অতটা ভালো লাগছে না। হঠাৎ ঠান্ডা বাতাসে মাথা ধরে গেছে। ব্যাথাটা তীব্র নয় তবে এক ধরনের চাপ ব্যথা অনুভব করছি। তাই আজকের মত বিশ্রাম নিচ্ছি। লেখা শেষ করে রাখছি। আগামীকাল পোস্ট করব। সবাইকে আজকের মত বিদায় দিচ্ছি।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
আসলে এই দুইদিন এত পরিমানে ঠান্ডা যেটা বলে বোঝাতে পারবো না। আর গ্রামাঞ্চলে ঠান্ডার পরিমাণ এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, এত বেশি বাতাস ঘর থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। কিন্তু তারপরেও নিত্যদিনের কাজগুলো আমরা প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছি, কেননা আমরা একজন নারী।
আরামবাগের নার্সারিতে প্রচুর পরিমাণে ফুল গাছ রয়েছে। যেটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম এবং আপনি পোস্টে উল্লেখ করেছেন। আসলে শীতের সকালে এই ফুলগুলো দেখলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। আপনার দিনটা বেশ ভালোভাবেই কেটে গিয়েছে কিছুটা ব্যস্ততার মাঝে। একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন যেহেতু আপনার ঠান্ডার মধ্যে সমস্যা আছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সূর্যমুখী আর ডালিয়া ফুল তো বেশ ভালোভাবে ফুটেছে। আমি সারা বছরই চা একটু বেশি পরিমাণে খাই। আর শীতের দিনে সাথে কফি তো আছেই। আমার চা খাওয়ার পরিমাণটা সত্যিই এবার একটু কমাতে হবে। ফুলের ফটোগ্রাফিগুলো সত্যি খুব সুন্দর হয়েছে।
সবজির দাম শীতের কারনেই বোধকরি বেড়ে গেছে। আমি গতকাল সবজি কিনতে যেয়েও একই অবস্থা দেখে এসেছি।
নার্সারীর পাশ দিয়ে যখনই যাই মনে হয় সব গাছ কিনে আনি কিন্তু জায়গার অভাবের কারণে ইচ্ছেটা আর পূরন করা সম্ভব হয় না।আপনার করা ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
শুক্রবারদিন আমিও মাথা ব্যাথায় ভুগেছি আপনারই মতো।
ভালো থাকবেন সবসময় ।
আপনার সারাদিনের কার্যলিপি পরে খুব ভালো লাগলো। আপনার সম্পন্ন পোস্ট পরে এবং পোস্টের ছবিগুলো দেখে আমি অনেকটা বিস্মিত হয়ে গেছি এত সুন্দর ফুল। আসলে আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন এই শীতের দিনে কারো ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। ঘুম থেকে উঠে আপনি আপনাদের ছেলের জন্য নাস্তা হিসেবে পরোটাও সুপ কিনে নিয়ে এসেছেন।
আমি ফুল অনেক বেশি ভালোবাসি। আপনার ফুলের ফটোগ্রাফিগুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে।। আশা করি আরও বেশি বেশি ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন আমাদের মাঝে।
আসলে ২-৩ দিন ধরে এতটা পরিমাণ পরছে যে তা বলে বোঝানো যাবে না। আর গ্রাম অঞ্চলে ঠান্ডা পরিমাণ টা খুব বেশি এতটা বাতাস যে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য নিত্যদিনের কাজ গুলো করতেই হয়। আরামবাগের নার্সারি ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আর এমন ফুল বেশিরভাগ শীতের বেলায় ফোটে ফুলগুলো দেখলে মন একদম ঝরে যায়। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। থ্যাঙ্ক ইউ আপনার একটা দিনে কার্যক্রম গুলো উপস্থাপনা করার জন্য।
শীতে মন না চাইলেও চা কফি খাওয়া হয়ে যায়। চা খেলে গরম লাগবে এই ধারণা থেকেই হয়তো এমন হয়।
এই শীতে নারসারি গুলো নানা রঙ এর ফুলে সজ্জিত থাকে, দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
সব্জির দাম নিয়ে কি আর বলবো। কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। সামনে যে কি আছে!!
বাহ, আজ তো আপনি খুব সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন এবং বাজার করতে গিয়ে চোখের সামনে নার্সারি দেখে, খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফ করলেন আর কি সুন্দর সুন্দর ফুল সত্যি দেখে তো বেশ ভালো লাগছে,,
এরপরে নিজের প্রয়োজনীয় কিছু সবজি কিনে নিলেন বাজার থেকে , এবং অনেক ধরনের শুকনো খাবার কিনলেন, আপনার দিনটা শুভ হোক এই প্রার্থনা করছি,,
ছুটির দিনগুলো মনে হয় একটু তাড়াতাড়ি অতিবাহিত হয়ে যায়।। রাতে ঘুমাতে দেরি হয়েছে বিদায় সকালে উত্তর দেরী হয়েছে।। আর আপনার ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আর আজকে বেশ কিছু বাজারে করেছেন।। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা দিন পার করেছেন।।