Better life with Steem || The Diary game ||11July 2024||
![]() |
---|
[Edit by Collage Maker]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। অনেকদিন ধরে বিভিন্ন কারণে পোস্ট লেখা হচ্ছিল না।এখনো আমার বেশ ব্যস্ততায় সময় কাটছে।তবুও এর মাঝে কিছুটা সময় বের করে নিলাম পোস্ট লেখার জন্য। গতকাল সারাদিন কিভাবে কাটিয়েছি তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
গতদিন সকালেই স্কুলের জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলাম।আমার মেয়ের পরীক্ষা চলছে।ছেলের সাড়ে আটটা থেকে ক্লাস শুরু হয়।মেয়ের ৯ টা থেকে পরীক্ষা।যেহেতু একই জায়গায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাই সবাই একসাথেই বাসা থেকে রওনা দিলাম।রওনা দিয়েছি আটটার আগে ই। আগে মেয়ের কলেজে গেলাম।ওকে ১০০ টাকা দিয়ে বললাম ক্যান্টিন থেকে কয়েকটা সিঙ্গারা এনে দিতে।কয়েক দিন ধরে আমার ছেলে তেমন কিছুই খাচ্ছে না।ভাবলাম সিঙ্গারা দিলে যদি টিফিনে খায়।
![]() |
---|
অতঃপর ছেলেকে কেয়ার গিভারের কাছে দিয়ে দিলাম।পরে জানলাম আজকে ছেলের স্কুলে ফল উৎসব হবে।বাচ্চাদের সবাইকে কোন না কোন ফল নিয়ে আসতে হবে।আমাকে আগে বলেছিল তবে আজকের ফল উৎসবের কথা ভুলে গিয়েছিলাম।অতঃপর লোক ডেকে টাকা দিয়ে সিএসডি পাঠালাম দু তিন রকমের ফল কিনে আনার জন্য।এদিকে ছেলের স্কুলে উপবৃত্তির জন্য একটি ফরম দিয়েছে।ওটার কাজ নিয়েও বেশ কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করলাম।সব মিলিয়ে আজকে আর হাঁটতে যাওয়া হলো না।
নাস্তা খেতেও দেরি হয়ে গেল।নাস্তা শেষ করে কিছুক্ষণ বসে গল্প করছিলাম।বারোটার দিকে ফল উৎসব হওয়ার কথা।১১ টার দিকে বান্ধবীরা সিএসডি টেসের ক্যাফেটেরিয়াতে গেলাম কফি খাওয়ার জন্য।এখানকার কফি বেশ ভালই হয়।হেঁটে গিয়েছিলাম আবার কফি খেয়ে হেঁটেই চলে আসলাম।এসে হল রুমে ফল উৎসব দেখতে গেলাম।প্রচুর লোকজনের ভিড় এবং টেবিলগুলো এত সুন্দর করে ফল দিয়ে সাজানো হয়েছে যা বলার মত নয়। আমি কিছুক্ষণ আমার ছেলেকে খুঁজছিলাম পরে ফোন করে জানতে পারলাম যে ছেলে এখনও ক্লাসে আছে।এদিকে স্টেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল।
পরে আমি ফোন করে ছেলের টিচারকে বললাম ওকে হলে পাঠাতে।বেশ কিছুক্ষণ প্রোগ্রাম দেখার পরে আমি আবার ক্যান্টিনে চলে আসলাম।কারণ প্রিন্সিপাল স্যার আসবেন এবং ফল উৎসবের নানান কার্যক্রম করবেন।ফল উৎসবের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে বেশ দেরি হয়ে গেলো।ওদিকে বারোটা বাজে মেয়ের কলেজে পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়।ও বাইরে দাঁড়িয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল।এজন্য ছেলের প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার আগেই নিয়ে চলে আসলাম।পরে মেয়ের কলেজে গিয়ে ওকে তুলে বাসায় রওনা দিলাম।
বাসায় পৌঁছাতে প্রায় দুইটা বেজে গেল।বাসায় আসার পর আমি বাচ্চাদেরকে লিফটে দিয়ে টেইলারের দোকানে গেলাম।সেখান থেকে কাপড় তুলে তারপরে বাসায় ফিরলাম।এসেই সবার আগে টেবিলে খাবার দিলাম।এরপর গোসল করতে চলে গেলাম।এমন সময় শুনলাম দারাজ থেকে পার্সেল এসেছে।আমার মেয়ে টাকা দিয়ে পার্সেল গ্রহণ করলো।
মূলত আমার এক বান্ধবীর ছেলের জন্য একটি পানির বোতল অর্ডার দিয়েছিলাম।সেদিন আমার পানির বোতল দেখে ও খুব পছন্দ করেছিল।বলেছিল আন্টি আপনার বোতল আমাকে দিয়ে দেন।এটাতে পানির টেম্পারেচার দেখায়।পরে সে ভুলে গিয়েছিল।মনে মনে ভাবলাম যে ওরকম পানির বোতল ওকে কিনে দিই।এজন্যই অর্ডার দেওয়া।যদিও প্যাকেটটা খোলারও আমি সময় পেলাম না।
দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রায় চারটা। ততক্ষণে বেশ টায়ার্ড লাগছিল।কিছুক্ষণ পরে রান্নার খালা ও আসলো। তাকে কাজ বুঝিয়ে দিলাম।আজকে তেমন কিছু রান্না করার নেই। কারণ সন্ধ্যায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা।তাই রাতের খাবার হয়তো সেখানেই হয়ে যাবে।মাগরিবের নামাজ পড়ে অনুষ্ঠানের জন্য রেডি হয়ে গেলাম।সাড়ে আটটার দিকে অনুষ্ঠানে গেলাম।মূলত ছেলের বাড়ির ছাদে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান।সেখানে বেশ জোরে গান বাজাচ্ছে এবং বেশ গরমও ছিল।পরে অন্য পাশে খোলা জায়গায় বসলাম।ওখানে ঠান্ডা বাতাস ছিল।
বরকে হলুদ লাগালাম ও সালামী দিলাম।গায়ে হলুদের দিনের বর বা কনেকে সালামী দিতে হয় এটা হয়তো নতুন।আমার আগে জানা ছিল না। ওখানে কফির আয়োজন ছিল।কফিটা খেয়ে বেশ ভালোই লাগলো।এরপর রাতের খাবারের আয়োজনে ছিল তেহারি ও সালাদ।রাতের খাবার শেষ করে আরো কিছুক্ষণ বসলাম। কয়েকটি ছবি নিলাম তবে আমার ছেলের ছবি আমি তুলতে পারিনি।এখানে যে ছবিটি দিয়েছি ওটা আমার হাজবেন্ডের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে এনে স্ক্রিনশট দিয়ে নিয়েছি।
এরপর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে রাতে প্রায় বারোটা।এশার নামাজ পড়া হয়নি তাই আগে এশার নামাজ পড়ে নিলাম।এরপর ঘুমাতে চলে গেলাম।বেশ ব্যস্ততার সহিত দিনটি পার করলাম।আজকে বিয়ের অনুষ্ঠান।বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যেই এক পাশে বসে পোস্টটি করলাম।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি দিনের কর্মকাণ্ড আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার কফি খেতে ভালো লাগে। তাই আপনি সিএসডি টেসের ক্যাফেটেরিয়াতে কফি খেতে যান। আমার তেমন একটা হারতে ভালো লাগে না। কিন্তু আপনি কফি খেতে গিয়েছেন হাঁটতে হাঁটতে আবার কফি খেয়ে এসেও চেন হাঁটতে হাঁটতে।স্টেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে বেশ ভালো লাগলো টেবিলটা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে যেটা দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভাল লাগল, সন্তানের পরীক্ষার সময় মা অনেক ব্যস্ত থাকেন, ফল উৎসব এবং গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান দেখে ভাল লাগল। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে ফলের উৎসব এরকমভাবে হয় ।আমার জানা ছিল না ।সত্যি ফলগুলো সাজানো দেখে অসাধারণ লাগছে। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
এক জায়গায় দুইটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলে অনেক সহজ হয়ে যাই। আমার দুই ছেলের কয়েক বছরএকই স্কুলের দুই জায়গাতে ব্রাঞ্চ ছিল। এই কয়েকবছর জান বেরিয়ে গেছে আমার দৌড়াতে দৌড়াতে। ফল উৎসবটা মনে হচ্ছে খুব সুন্দর হয়েছে।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সালামী দিতে হয় আপনার মতোই প্রথমবার জানতে পারলাম আপনার লেখা পরে। সামনে হয়তো আরো নতুন নতুন জিনিসের সাথে পরিচিত হতে হবে।