লইট্টা মাছের মচমচে ভাজার রন্ধন প্রণালী।
লইট্টা মাছ ঢাকা শহরে একদম তাজা পাওয়া সম্ভব নয় কারণ এটি সাগরের মাছ ।তাই যতবারই পেয়েছি বেশিরভাগ সময় ফ্রোজেন অথবা বরফ ছাড়ানো। এ মাছের শুটকি টাই বেশি খাওয়া হয়েছে।এই মাছ দামে বেশ সস্তা। কিন্তু সস্তা হলেও এটি খুব একটা পাওয়া যায় না।
লইট্টা মাছের কয়েকভাবে রান্না করা যায়। আদি চট্টগ্রামবাসী বা কক্সবাজার বাসিরাই আমি দেখেছি এর বিভিন্ন রান্না জানেন। লইট্টা মাছের ফ্রাই আমি প্রথমবার কক্সবাজার গিয়েছিলাম তখন ঝাউবন হোটেলে খেয়েছিলাম। মুখে দিলে একদম মাখনের মত মিলিয়ে যায় এই মাছের ফ্রাই। গরম গরম এটা স্নাক্স হিসেবে খাওয়া যায়। আর বাচ্চারাও এটি খুব পছন্দ করে। তো চলুন দেখি কিভাবে আজকে আমি বানালাম লইট্টা মাছের মচমচে ফ্রাই। প্রথমে দেখি নিই উপকরণগুলো।
উপকরণ |
---|
মসলা | পরিমাণ |
---|---|
লইট্টা মাছ | আট /দশটি |
কর্নফ্লাওয়ার | তিন চা চামচ |
বেসন | তিন চা চামচ |
সয়া সস | দুই চা চামচ |
মরিচ গুড়া | এক চা চামচ |
আদা-রসুন বাটা | এক চা চামচ |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল ভাজার জন্য | পরিমাণ মতো |
প্রণালী |
---|
প্রথমে মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে তিন থেকে চার টুকরা করে কেটে নিই।
এরপর এতে একে একে কর্নফ্লাওয়ার,বেসন, আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়া একসাথে ভালো করে মিলিয়ে দুই ঘন্টা মেরিনেশনের জন্য রেখে দেই।
তবে লবন দেয়ার সময় একটু বুঝে দিতে হবে কারণ সয়াসসে লবণ থাকে।
২ ঘণ্টা মেরিনেট করার পরে তেল গরম করে একটা একটা করে ছেড়ে দিয়ে মচমচে করে ভেজে নেই। হয়ে গেল লইট্টা মাছ ফ্রাই।
ভাতের সাথে ভালো লাগে আবার এমনিতেও টমেটো সস দিয়ে এই ফ্রাই খাওয়া যায়।
লইট্টা মাছের পুষ্টিগুণ |
---|
লইট্টা মাছের প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন আছে।এছাড়া লইট্টা মাছের মধ্যে থাকা আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়া অনিদ্রা কমানো ,শক্ত দাঁত গঠন, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও ঠোঁটের সুস্বাস্থ্য এবং ব্রেনের সক্ষমতা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে লইট্টা মাছ খুবই দরকারি।যাদের থাইরয়েড জনিত সমস্যা আছে তারা অন্যান্য মাছের পাশাপাশি নিয়মিত এই মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
লইট্টা শুঁটকির পুষ্টিগুণ |
---|
তাজা মাছের থেকে লইট্টা শুটকি আরো বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। কারণ তাজা মাছ যখন প্রচণ্ড রোদের তাপে শুকানো হয় তখন তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। যা আমাদের শরীরে হাড়ের অস্টিওপিরোসিস সমস্যা দূর করে। এছাড়া শরীরে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদির অভাব পূরণ করে। এর আয়রন শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে।
সবশেষে বলতে চাই লইট্টা মাছ তাজা হোক বা শুটকি হোক দুভাবে আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে। তাই সুযোগ পেলেই আমরা যেনো লইট্টা মাছ খাবারের তালিকায় রাখতে ভুলে না যাই।
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
লইট্টা মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ মাঝে মধ্যে রান্না করি তবে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি আপনার রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লেগেছে আমি অবশ্যই বাসাতে চেষ্টা করব ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করার জন্য।
লইট্টা মাছের ফ্রাই আমার শুধু কক্সবাজার গেলেই খাওয়া হয়েছে। এছাড়া শুটকি খেয়েছি। ঢাকাতে দেখেছি কিন্তু কখনো কেনা হয় নাই। আপনি এর ফ্রাই করার পদ্ধতি বিস্তারিত লিখেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পরবর্তী সময়ে যদি কখনো কেনা হয় তাহলে আপানার রেসেপি ফলো করে রান্না করা যাবে।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপনার জন্য ও অনেক শুভকামনা রইল।ভালো থাকবেন।