আপনি কি জীবন উপভোগ করেছেন?
pexels
যদি আপনার সামাজিক চাহিদার সন্তুষ্টি বিধান হয়, তাহলে আপনি বাস্তবিক সুখে জীবনযাপন করছেন। যদি আপনি সুখে জীবনযাপন করে থাকেন, তাহলে আপনি সর্বদাই প্রফুল্ল থাকেন এবং সম্ভবত আপনি অপরের মনস্তুষ্টি করেন। এবং হতে পারে আপনাকে তাদের মধ্যে পেয়ে লোকেরা বাস্তবিকই আনন্দ লাভ করে।
আপনার জীবন বিষণ্ণ এবং ভাগ্য প্রতিকূল হলে আপনি নিশ্চয়ই বলতে পারেন না আপনি জীবন উপভোগ করেছেন। তখন বুঝতে হবে আপনার চাহিদাগুলো সুষ্ঠু ও সন্তোষ বিধান হয়নি এবং আপনার সঙ্গও ভালো নয়, কারণ আপনি নিজেই তো খোশমেজাজে নেই।
pexels
মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা লাভে ত্রুটি দেখা দিলে আমাদের মন ভেঙে যায়। পিতামাতাই হোক, বন্ধু-বান্ধবই হোক, নিয়োগকর্তা অথবা শিক্ষকই হোক আপনার জীবনের দোষ-ত্রুটি ধরলে তার ফল একই দাঁড়ায়। আপনার ধারণাগুলো বা আচরণে তাঁদের কাছ থেকে প্রশংসা না পেলে আপনার রক্ত হিমশীতল হয়ে পড়ে। অতঃপর আপনি অসুখী হন।
তেমনি যখন আপনি অপরের কাছ থেকে আপনাকে আলাদা মনে করেন অথবা সকলের থেকে আপনার ভাগ্যকে ভিন্ন মনে করেন, তখন আপনার মন ভেঙে যায়। বিভিন্নতা তেমন গুরুত্বপূর্ণ অথবা অর্থপূর্ণ নাও হতে পারে। ফলে কোনো কিছু না থাকলেও এটি অপ্রীতিকর হয়ে পড়ে। হয়তো আপনি খুব পুরু কাচের চশমা ব্যবহার করেন, অথবা হয়তো আপনার চেহারায় কোনো দাগ থাকতে পারে যা সহজে মুছে নেওয়া যায় না। অথবা কোনো আঘাতের ফলে আপনি অচল হয়ে যেতে পারেন। আপনার বন্ধুদের জীবনে এরূপ বিচ্যুতি নেই। আপনার বিচ্যুতি যে প্রকারেই হোক না কেন, আপনাকে পীড়া দেয়।
এমনও হতে পারে যে আপনার বন্ধুদের অনেকেরই খাবার পরিবেশন করার জন্য কাজের লোক রয়েছে। আপনার পরিবারে কিন্তু রান্নাঘরের তদারকি পরিবারের লোকদেরই করতে হয়। এমনও হতে পারে, তাদের বিলাস-ব্যাসনের উপযুক্ত গাড়ি রয়েছে অথবা তারা তাদের নিজেদের গাড়িতে করে চলাফেরা করে। আপনি আপনার কামরা কে ছোট কিন্তু পর্যাপ্ত মনে করেন এবং আপনার কোনো দাবি ও নেই। এসব সুখ আপনার জীবনের ধরনের কোনো অংশ নয়, তবু আপনি কিন্তু এতে বিমনা ও অসুখী। স্বাভাবিকভাবে আনন্দ প্রয়োজনীয় চাহিদার সন্তুষ্টি বিধানের প্রমাণ। সে জন্যই এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের একটি অর্থপূর্ণ লক্ষণ।
pexels
এখন আমাদের আচরণ বদলাচ্ছে, উচ্চারণ ভঙ্গিও পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের দাদী নানীদের সময় প্রচলিত কথা বা গ্ৰাম্য ভাষার কথা বলে আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের কাছে আমরা উপভাষার পাত্র ছাড়া আর কি হতে পারি।পূর্বে প্রচলিত সিগারের ব্যান্ড কুড়িয়ে ছাইদানি তৈরি করলে অথবা তা দিয়ে ল্যাম্পের ছায়া তৈরি করলে আমরা এখন নিশ্চয়ই হাসির পাত্র হয়ে দাঁড়াবো।
হয়তোবা এমনও হতে পারে ভাবের দিকে একই অর্থবাচক পরবর্তী উচ্চারণের সঙ্গে আপনি পাঠের ফলে পরিচিত হওয়ার কালে এটি জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাহবা হিসেবে। এখন আর কেউ ‘সিগারের' ব্যান্ড সংগ্রহ করে না। আমরা চিত্রতারকার সই সংগ্রহ করি অথবা তামার কয়েন সংগ্রহ করি অথবা যে শহরে আমরা বাস করি, সে শহরের মানুষের মধ্যে যা প্রচলিত তাই সংগ্রহ করি। আমরা প্রচলিত ধরনের থাকতে চাই। অপরে যা করতে চায়, আমরা তাই করি। এতে আমরা সুখী হই ও সন্তোষ লাভ করি।
pexels
তবে আপনার জেনে রাখা দরকার যে আপনার প্রয়োজন ও বাসনা সবসময়ই এক নয়। আপনার অযৌক্তিক দাবিও থাকতে পারে। আপনিও চাঁদ লাভের জন্য কাঁদতে পারেন। এতে আপনি আনন্দ পাবেন না। তাই মাটির পৃথিবীতে নেমে আসুন।
যদি প্রাত্যহিক জীবনের পরিস্থিতিতে ও অভিজ্ঞতায় আপনি সফলভাবে সামঞ্জস্য বিধান করতে পারেন তাহলে সমন্বয় সাধনের মধ্যে যে ক্রিয়া রয়েছে তাতে আপনি আনন্দ উপভোগ করবেন। যদি আপনার সামঞ্জস্য বিধান সন্তোষজনক না হয় তাহলে আপনার কাজের মাধ্যমে আপনি জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন না।
@hasnahena অনেক সুন্দর আপনার লিখন দক্ষতা অসাধারন। জীবন কে নিজের মত করে
উপভোগ করতে হবে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমার একে ভাবে যান্রিকহয়ে না যাই। সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে। ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে সত্য যে এটাই আমরা যদি নিজেদেরকে প্রশ্ন করি তাহলে উত্তরটা পেয়ে যাব আমরা কি এ জীবন আসলে উপভোগ করছি, সময় বদলেছে তাই মানুষের চিন্তাধারা ও বদলেছে। এখান থেকে দশ বছর পেছনে মানুষ যেভাবে জীবনটা উপভোগ করতো আর এখন সেটা করলে মানুষ উপহাস করবে তাছাড়া কিছুই নাই। আধুনিক সভ্যতার মানুষরাএখন যেভাবে জীবনটা উপভোগ করছে । যদি আমার দাদী নারীরা দেখতো তাহলে বলতো এরা তো জীবনের মানে বোঝেনা। আসলেই কি আমরা জীবনকে উপভোগ করতে পারছি হ্যাঁ এক একজন এক এক রকম করেই সাজিয়েছে তাদের জীবন উপভোগ করার যোগ্যতা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শিক্ষানীয় মূলক একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
সবাই বলে জীবনটাকে উপভোগ করুন! কারণ আমাদের জীবনটা স্বল্প সময়ের জন্য! কিন্তু সঠিকভাবে আমরা যদি চিন্তা করি আমরা আদৌ কি জীবনটাকে উপভোগ করতে পারি! নানা ধরনের চিন্তা আমাদের মাথায় থাকে! আমরা চিন্তা করি আমরা অনেক কিছু করব,,, কিন্তু সবকিছু করা হয়ে ওঠে না।
আপনি ঠিকই বলেছেন,,, চাঁদ লাভের কথা কল্পনা করা ছাড়া আর কিছুই নয়! কারণ আমরা এই পৃথিবীতে আছি,,, আকাশে নয়! তাই পৃথিবীতে যা কিছু আছে সেটাকে সফলভাবে নিজের মতো করে নিয়ে চলতে হবে! তাহলেই হয়তোবা জীবনটাকে কিছুটা হলেও,,,, উপভোগ করতে পারবো।
অসংখ্য ধন্যবাদ,,,, এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ এত সুন্দর করে সাজিয়ে কমেন্ট করার জন্য।
মানুষ এই পৃথিবীতে আজীবন বাঁচে না। যেকোনো সময় তার মৃত্যু হতে পারে। তাই আমাদের উচিত জীবনের কিছু সময় নিজের জীবনটা উপভোগ করা। যখন আমরা ফ্রী থাকি তখন আমরা সময়টাকে নিজের মতো করে উপভোগ করতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবন এমন কি জিনিস সুখ সবার কপালে জুটে না ৷ আর এটাও ঠিক সারাজীবন বসে থেকে খেলে সুখ কিভাবে আসবে ৷ জীবনে সুখ আনতে হলে অবশ্যই আমাদের যে কোন একটা কর্ম ব্যবস্থা থাকতেই হবে ৷ তারপর ও আমাদের জীবনের উপভোগ তেমন নেই খুবই সাধারন ৷ আর সাধারনত ভাবে জীবনজাপন করাই উত্তম আমি মনে করি ৷ যেটা আছে এটা নিয়ে অনেক ভালো থাকা যাবে এর বেশি আশা করতে গেলে অনেক ক্ষতি ও হতে পারে৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।