অটিজম সম্পর্কে জানি, সচেতন হই।
পর্ব: ১ |
---|
অটিজম মূলত স্নায়ুর বিকাশ জনিত এক ধরনের রোগ। এ রোগে শিশু বারবার একই আচরণের পুনরাবৃত্তি করতে থাকে এবং আচরণগত সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়। অভিভাবকরা সাধারণত শিশুর জন্মের দুবছরের মাঝে এই অস্বাভাবিকতা ধরতে পারেন। এর উপসর্গসমূহ প্রায়ই খুব ধীরে প্রকাশ পায়।
অনেক সময় শিশুর পূর্ণ বিকাশ হয়ে যাওয়ার পর এ সমস্যা দেখা যেতে পারে। গবেষকদের মতে এটি প্রধানত বংশগত। তবে পরিবেশগত এ রোগের কারণ হিসেবে বিবেচিত। জন্মগত ত্রুটির কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। যদিও এ রোগের কোন নিশ্চিত প্রতিকার নেই তবু তাড়াতাড়ি এ রোগ নির্ণয় করে দ্রুত স্পিচ ও বিহেভিয়েরাল থেরাপি দেয়া সম্ভব হলে তা শিশুর বিকাশে অনেক উপকার করে। মেয়েশিশুর থেকে ছেলেশিশুরা প্রায় ৪/৫ গুণ বেশি এতে আক্রান্ত হয়। ২০১৩ সালের হিসেবে বিশ্বে প্রায় ২১.৭ মিলিয়ন শিশু অটিজমে আক্রান্ত যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
অটিজমের লক্ষণ |
---|
অটিস্টিক শিশু দেখতে একদম স্বাভাবিক শিশুর মতো। এদের মধ্যে কোন স্পষ্ট শারীরিক ত্রুটি দেখা যায় না। এ কারণে শুরুতে এ রোগ নির্ণয় করা বেশ কঠিন। শিশু যখন স্কুলে যায় তখন এটা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যখন অন্যান্য সমবয়সীদের সাথে মিশতে পারে না, তাদের মতো আচরণ করে না তখন তার মানসিক অনগ্রসরতা ধরা পড়ে।
অটিজমের প্রধান উপসর্গই হল মানসিক বিকাশের বিলম্ব বা অস্বাভাবিকতা। জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যে সাধারণত নিম্নের লক্ষণসমূহ দেখা যায়:
১.সামাজিকতা বা অন্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে অক্ষমতা
২. কারো দিকে চোখে চোখে তাকায় না। অর্থাৎ আই কনটাক্ট করে না।
৩.কেউ তাকালে চোখ ফিরিয়ে নেয়।
৪. নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় না। কারো কাছে আসে না। আশেপাশের লোকজনের প্রতি আগ্রহ দেখায় না। ঘরে কেউ আছে কি নেই, কে আসলো, কে কী করছে সেদিকে কোন আগ্রহ থাকে না। একাকী স্থানে সম্পূর্ণ আত্মনিমগ্ন অবস্থায় থাকে।
৫. অর্থপূর্ণ সামাজিক হাসি হাসতে পারে না। অর্থহীনভাবে হাসে। সঠিকভাবে আবেগ প্রকাশ করতে পারে না।
৬. কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না। কেবল নিজের পছন্দের জিনিসে, অর্থহীন বিষয়ে মনোযোগ থাকে।
৭. সমবয়সী বা ছোটবড় কারো সাথেই মিশতে পারে না। নিজস্ব একটা জগতে সবসময় একাই থাকে। কোন ধরনের সামাজিক আদান-প্রদান ও সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না।
৮. কোনরূপ অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে না। অন্যের সাথে আনন্দ- অনুভূতি উপভোগ করতে পারে না।
বয়সানুসারে ভাষাগত অক্ষমতা: |
---|
১. কোন কথা বলতে বা বুঝতে পারে না।
২. অনেকে কথা বলতে পারলেও কোন প্রশ্নের উত্তর দেয় না। অনেকে যন্ত্রের মতো কথা বলে।
৩. অনেকে অপরজনের কথার পুনরাবৃত্তি করে। একই কথা বারবার বলে। অর্থহীন কথা বা শব্দ বারবার বলতে থাকে।
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অতীব জরুরী একটা বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আমরা অনেকেই আছি অটিজম সম্পর্কে অবগত নই। অথচ এই রোগের ভয়াবহতা থেকে অনেক শিশুই সুরক্ষিত নয়। তাই আমাদের অটিজন সম্পর্কে যথেষ্ঠ জ্ঞান থাকা দরকার। তানাহলে শিশুদের সঠিক চিকিৎসা আমরা সুনিশ্চিত করতে অক্ষম হবো।
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
অটিজম নিয়ে আজ আপনি খুব সচেতনমূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেছে। অনেক কিছু জানতে পারলাম আজ অটিজম সম্পর্কে, যেগুলো আগে জানা ছিলো না। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে, আজকে আপনি আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। আসলে আমাদের বাড়িতেই অটিজম আক্রান্ত একটা শিশু রয়েছে। যে কিনা বয়সের সাথে সাথে তার এই সমস্যা ধরা পড়েছে। ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আগে অটিজম নিয়ে তেমন জানা ছিল না। তবে শেষ ৩-৪ বছর এই অটিজম নিয়ে অনেক লেখা পড়ার কল্যানে ও নিজে চোখে কিছু অটিজম শিশুদের দেখার পর অনেক কিছু জানতে পারি। আজকে আপনার লেখার টাইটেল দেখেই আমার পড়ার আগ্রহ জন্ম নিলো।
অনেক তথ্যবহুল একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আওনাকে।
আজকাল তো দু চার ঘর পার হলে অটিজম আক্রান্ত শিশুর দেখা মেলে। এটি সংখ্যায় অনেক বেশি হয়ে গেছে। সে তুলনায় সচেতনতা খুবই কম। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।