আসুন অটিজম সম্পর্কে,জানি সচেতন হই।
![]() |
---|
পর্ব :২
পর্ব এক এ অটিজম কি ও এ অটিজম আক্রান্ত শিশুকে চেনার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আজকে অটিজম আক্রান্তদের অক্ষমতাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
বিকাশের ধারা অনুযায়ী সিম্বলিক বা কাল্পনিক খেলার অক্ষমতা |
---|
১.খেলা বা খেলনার প্রতি কোন আকর্ষণ থাকে না। আনমনে একা একই খেলা করে। খালি বোতল, বোতাম, সুতো, তার, প্যাকেট নিয়ে অর্থহীন। দীর্ঘসময় ব্যয় করে। কোন জিনিস দিয়ে দীর্ঘক্ষণ একটা কিছু তৈরী করে। এরপর তা নষ্ট করে, আবার তৈরী করে। একাই হাসে।
২. যে কোন খেলনার কোন নির্দিষ্ট অংশ যেমন গাড়ির চাকা নিয়ে অধিক ব্যস্ত থাকে। কোন খেলনার সামগ্রিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না।
৩. নিজে উদ্যোগী হয়ে অন্য শিশুদের সাথে খেলতে যায় না। এমনকি অন্য শিশু আগ্রহী হলেও সে সাড়া দেয় না।
৪. কল্পনাপ্রসূত কোন কাজ বা খেলা সে পছন্দ করে না। যেমন একটি পুতুলকে শিশুর মতো আদর করা বা একটি কাঠের টুকরোকে গাড়ি মনে করে চালানো বা খেলনা পাতিলে রান্না করা ইত্যাদি করতে পারে না।
![]() |
---|
নেগেটিভ স্টেরিও টাইপ আচরণ |
---|
১. বারবার যেমন একই কাজ করে, তেমনি অন্যদেরও বারবার একই কাজ করতে জোরাজুরি করে।
২. পরিবেশের কোন পরিবর্তন সে মেনে নিতে চায় না। একই খাবার, একই জামা, একই পরিবেশ না হলে বিরক্ত হয় বা রেগে যায়।
৩. মুখে অদ্ভুত শব্দ করে বা একই অঙ্গভঙ্গি বারবার করে। অন্যমনস্ক হয়ে নিজের হাত বা আঙুল নিয়ে নিবিষ্টমনে নাড়াচাড়া করে। চোখের সামনে এনে দেখে, আবার নাড়ায়।
আরো কিছু আচরণগত সমস্যা |
---|
• অটিস্টিক শিশুকে অনেকসময় শান্ত ও ভদ্র শিশু বলে মনে করা হয় কারণ তারা কোন কিছু খাওয়ার জন্য, প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য স্বাভাবিক শিশুর মতো বায়না করে না। সে অন্যের হাত ধরে এনে কাঙ্ক্ষিত বস্তুর দিকে দেখিয়ে দেয়। নিজ হাতের আঙুল দিয়ে কিছু দেখায় না।
•মা-বাবার আদর সে প্রত্যাখান করে, স্নেহ এড়িয়ে যায়। তাকে কোলে নিতে চাইলে সে আগ্রহী হয় না। কেউ তাকে স্পর্শ করলে সে খুব বিরক্তবোধ করে।
•বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশু তার মা-বাবাকে চিনে না। নিজস্ব ব্যক্তিসত্ত্বা বলতে তার কিছু থাকে না। এরা কারো সাথেই সম্ভাব তৈরী করতে পারে না। স্বাভাবিকভাবে তিনমাস বয়সেই শিশু তার মাকে চিনতে পারে। কিন্তু অটিস্টিক শিশু তা করতে পারে না।
![]() |
---|
•এই শিশুরা এতো বেশি সংবেদনহীন থাকে যে অনেকে তাদের বধির বা শ্রবণপ্রতিবন্ধী বলে ভুল করে। শিশুর পঞ্চইন্দ্রিয় সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা সত্ত্বেও তারা ইন্দ্রিয়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারে না।
•জড়বস্তু বা মানুষের মাঝে তারা কোন পার্থক্য বোঝে না। পৃথিবীর কোন কিছুতেই তার কোন আকর্ষণ নেই। তারা মানুষ থেকে প্রাণহীন যে কোন কিছুর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে যেমন- চাবির গোছা, বাক্স, তার, ঝড়ি, সুইচ, কাপড় বা যন্ত্রপাতি। প্রাণহীন বস্তুর প্রতি আকর্ষণ থাকে এবং তার সাথে সম্পর্ক তৈরীতে ব্যস্ত থাকে। অথচ মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরীতে বিন্দুমাত্র উৎসাহিত হয় না।
•ঘরের সাধারণ খাবার সে খেতে চায় না। কিন্তু রিচ ফুড, জাঙ্ক ফুড, কেক, পেস্ট্রি, চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদির প্রতি আকর্ষণ থাকে।
•ধৈর্য ও মনোযোগ অনেক কম। তাই এদের কিছু শেখানো খুব কঠিন। এরা সহজে কিছু শিখতে পারে না। এদের মনোযোগ আকর্ষণ করাটাই অনেক কঠিন। অনেক সময় নিয়ে, ধৈর্য ধরে শেখাতে গেলেও খুব উপকার হয় না। ফলে মা-বাবা হতাশ হয়ে যায়। ব্যক্তিগত কোন কাজ এরা নিজেরা করতে পারে না।
![]() |
---|
এসব ছাড়াও আরও অনেক উপসর্গ হতে পারে। তবে সব শিশুর মধ্যে সব লক্ষণ দেখা যায় না। সাধারণত জন্মের তিন বছরের মধ্যেই এসব লক্ষণ প্রকাশ পায়। এ ধরনের যে কোন লক্ষণ দেখা গেলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা আবশ্যক।
অটিজম সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। তবে আমাদের বাড়ির সেই চাচাতো ভাইয়ের এই ঘটনার পর থেকে। এই বিষয়টা সম্পর্কে অনেকটাই অবগত। তবে আমাদেরকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। এই সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অটিজম আসলে কী ? এই বিষয়ে কোন ধারনাই ছিলো না আমার ৷ আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে অটিজম সম্পর্কে অনেক কিছু ধারনা নেওয়া হলো ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷