মাংসে রোগের বংশ বাড়ে।
অনেকেই আছে মাংস ছাড়া একেবারেই খেতে পারে না। বিশেষ করে শিশুরা। কিন্তু এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপদজনক।আবার অনেকেরই সপ্তাহে দু-তিন দিন মাংস না খেলে হয় না। এটাও এতটা স্বাস্থ্যকর নয়।
• অধিক মাংসাহার বেশিরভাগ ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
• অতিরিক্ত মাংসাহার কখনও কখনও ডায়াবেটিস ডেকে আনে। তাছাড়া ডায়াবেটিক রোগী বেশী মাংস খাওয়া শুরু করলে রোগের তীব্রতাও বেড়ে যায়।
• অত্যধিক মাংসাহার রক্ত-ঘনত্ব বাড়িয়ে দিয়ে রক্ত চলাচল বিঘ্নিত করে। তাছাড়া এর ফলে শরীরে এত অম্লের সৃষ্টি হয় যে তার প্রভাব কিছুটা সামলাতে হলে খেতে হয় প্রচুর ফল ও সব্জি।
• মাংসাহার অন্ত্রের হজম সহায়ক নয় বলে মাংসাহারীদের ক্ষেত্রে কোষ্ঠবদ্ধতা অনিবার্য হয়ে পড়ে। এবং এই কৌষ্ঠবদ্ধতার জন্য যে টক্সিন শরীরে জমে সেটা কিডনিকেও বিব্রত করে।
• দীর্ঘকাল অত্যধিক মাংসাহারের ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্নায়বিক বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।
• নিরামিষ আহারীদের তুলনায় দেখা গেছে মাংসাহারীদের মধ্যে নিউয়াসথেনিয়া এবং হিস্ট্রিরিয়া রোগের সংখ্যা বেশি। তাছাড়া নানারকম স্নায়বিক বিকারে মাংস বর্জন করিয়ে দেখা গেছে রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
• যাঁরা লিভারের রোগে ভুগছেন মাংসাহারে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হয় কিন্তু মাংস ছেড়ে দিলে অবস্থা অনেক আয়ত্তে আসে।
মাংস খেতে হবে কি? খেলে কতটা? মাংসের বিকল্প কি খাব? |
---|
মাছ, মাংস, দুধ প্রভৃতি প্রাণিজ প্রোটিন পুরোপুরি পরিহার করলে ৫.১০ বছরের ভিতর আপনার শরীরে ভিটামিন বি-১২-এর অভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু নামমাত্র প্রাণিজ প্রোটিন খেলেই প্রয়োজনের চেয়ে ভিটামিন বি-১২-এ অনেক বেশি যোগান শরীর পাবে। কেননা যদিও এই ভিটামিন শুধুমাত্র প্রাণিজ প্রোটিনেই পাওয়া যায় তবু শরীরে এর প্রয়োজনীয়তা খুবই সামান্য-প্রত্যহ ১ গ্রামের ১০ লক্ষ ভাগের একভাগ।
মূলত প্রত্যহ ৩ গ্রাম মাছ/মাংস খাওয়াই যথেষ্ট। এই অল্প পরিমাণ প্রাণিজ প্রোটিনেও ব্যক্তির কর্মকুশলতা ও শক্তির কোনো অভাব হয় না।
কিন্তু অভাব না হলে কি হবে? সব উন্নত দেশেই অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়াটা এখন একটা স্বভাবে দাঁড়িয়ে গেছে।আর অতি ভোজন তো আছেই।
আমাদের দেশে চিকিৎসকরা গবেষণার ভিত্তিতে মাছ-মাংস সুপারিশ করেছেন জনপ্রতি প্রত্যহ ৩০ গ্রাম। সত্যি কথা বলতে সাধারণত ৩০ গ্রাম মাছ-মাংসের ক্রমবর্ধমান অগ্নিমূল্য তাই আমাদের কাছে অভিশাপের বেশে আশীর্বাদ।
প্রসঙ্গত, পশুমাংসের চেয়ে মুরগি প্রভৃতি পাখীর মাংস খাওয়া অনেক নিরাপদ। কেননা তাতে ফ্যাট কম, কোলেসটেরল কম। অবশ্য পাখীর মাংসের চেয়ে আরো বেশি নিরাপদ হল ছোট মাছ খাওয়া।
আমার ছোটবেলায় আমার পরিবারে দেখেছি বন্ধের দিন ছাড়া মাংস খুব একটা খাওয়া হতো না।
কিন্তু এখন মাংস ছাড়া চলতেই চায় না। বিশেষ করে শিশুকিশোরদের।গ্রাম শহর সব জায়গায় একই অবস্থা। আমার নিজের বাড়িতে মাংস কম রান্নার চেষ্টা চালাচ্ছি কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না খুব একটা। দেখা যায় যে অর্ডার দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছে।
এখম আবার নতুন করে কিটো ডায়েট শুরু হয়েছে, যেটা মূলত মাংস আর ফ্যাট নির্ভর।
কিছু কিছু ডাক্তাররা এর বিরোধিতা করেন আবার কেউ কেউ পক্ষে কথা বলেন।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছি না, আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। বর্তমানে আমরা মাছ মাংস না হলে খেতেই পারি না।
শরীর সুস্থ রাখতে পরিমান মতো মাছ মাংস খাওয়া প্রয়োজন কিন্তু তার মাত্রা বেশি হলে সেটি আবার খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে আমাদের উপর। ধন্যবাদ আপনাকে।
মাংসে রোগের বংশ বাড়ে আগেও শুনেছি আর আজকে আপনার পোস্ট পড়ে আরো ভালো ভাবে জানতে পারলাম অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার ফলে কি কি হতে পারে ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ৷ 🥰
আমার ছেলের এত মাংস ছাড়া ভাত খেতে চায় না তাদের এটা লাগবেই। না হলে ভাত খাবে না। কিন্তু আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে যতটুকু বুঝলাম। অতিরিক্ত মাংস খাওয়াও আমাদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। অবশ্যই যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খেতে হবে। ধন্যবাদ অজানা তথ্য নিয়ে এত সুন্দর একটা টপিক উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অধিক পরিমাণে মাংস খেলে যা হয় এই নিয়ে আপনি বিস্তারিত তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সত্যি কথা বলতে কোন কিছুই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত ভালো না। যাই করি না কেন আর যাই খাই না কেন সেটা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়ে গেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সেটা ক্ষতিকর।
ছোট বড় সবারই মাংস খেতে ভালো লাগে। বড়রা হাই প্রেসারে ভূগলেও দেখবেন মাংস দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না। গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।