নারীকে আকর্ষণীয় করে যে বৈশিষ্ট্য।
অনেক নারীই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে বেশ আফসোসই করে থাকেন। যদিও সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি নিয়ে আফসোস করা উচিত নয় মোটেও, তারপরও নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে আরেকটু আকর্ষণীয় না হওয়ার আক্ষেপ থাকে মনে।
অনেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় হওয়ার তাগিদে বোটক্স, ফিলার,লেজার ছাড়াও এত এমন এমন পদ্ধতির আশ্রয় নেন যা তাদের জীবনে কে হুমকির সম্মুখীন করে তুলতে পারে।কিন্তু নিজেদের ক্ষতি জেনেও নারীরা পিছুপা হন না এইসব পদ্ধতির পিছনে দৌড়াতে।এতে যেমন টাকার অপচয় হয় তেমনি নিজের স্বাস্থ্য ও ঝুঁকির মুখে পড়ে।কেউ কেউ তো আবার অতি সুন্দর হওয়ার আশায় নিজের চেহারাকে বিদঘুটে ও বানিয়ে ফেলেছেন। এমন উদাহরণও অহরহ আছে।
মেকআপের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে অনেকেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চান। কিন্তু শুধু সৌন্দর্য নয় নারীর আকর্ষণীয় হয়ে উঠার পেছনে রয়েছে তার আরও দারুণ কিছু বৈশিষ্ট্য-
১. একজন নারীকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে তার উচ্ছলতা এবং প্রাণবন্ততা। একজন নারী একটি আলোকিত মশালের মতো সবটা স্থান আলোকিত করে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। আর এমন নারী অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে থাকেন।
২. নারীর আসল সৌন্দর্য তার ভেতরের মানুষটি। তিনি যতোটা মেকিভাব গ্রহণ করেন ততোটাই জটিল হয়ে উঠেন। যা শুধু মানুষকে দূরেই ঠেলে দেয়। মেকিভাব ধরা নারী বাহ্যিক দিক দিয়ে আকর্ষণীয় হলেও বাস্তবিকে কেউই তাকে পছন্দ করে না।
৩. মেকআপ করে সবসময় আসল চেহারা লুকিয়ে রেখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় না। নারীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই সকলের কাছে বেশি আকর্ষণীয়। আর সব বয়সেরই একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে সেটা ধরে রাখলেই নারী আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
৪. স্বাবলম্বী নারী অনেক বেশি আকর্ষণীয় হন। আজকালকার যুগে একা চলতে পারেন না এমন ধরনের নারী পছন্দ নয় কারো। যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে পারেন সেই নারীই সকলের কাছে আকর্ষণীয়।
৫. একজন ব্যক্তিত্বহীন মানুষ কখনোই আকর্ষণীয় নন। একজন নারীর অসাধারণ ব্যক্তিত্বই সকলের কাছে নিজেকে করে তুলতে পারে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
৬. অনেকে ভাবেন নারীদের মাথায় একটু কম বুদ্ধি থাকাই ভালো। কিন্তু যুগের সাথে সাথে অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছে মানুষের মন। নারীর বুদ্ধিমত্তা অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে নারীকে।
৭. আত্মবিশ্বাসী মানুষ সকলের কাছেই বেশ পছন্দের। তেমনই এটি নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার অন্যতম প্রধান একটি হাতিয়ার। তাই আত্মবিশ্বাসী নারী অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেন সকলের চোখে।
৮. সর্বোপরি একজন মানবীয় গুণসম্পন্ন নারী সকলের নিকট প্রিয় হতে পারে। নারী প্রকৃতিগতভাবে মমতাময়ী।নারী যতটা নরম মনের অধিকারী, প্রয়োজনের সময় ততটাই শক্তিরও ভান্ডার।তাই নারীকে এমন হতে হবে যাতে তার মধ্যে সততা, নৈতিকতা ও বিশ্বস্ততার একটি পরম জায়গা অন্যেরা খুঁজে পাওয়া পায়। তাহলে সেই নারী হয়ে উঠবে সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ও আকর্ষণীয় নারী।
আসলেই সত্যি মানুষ সৌন্দর্য অনেক বেশি পছন্দ করে। আর তাই হয়তো অনেক নারী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সৌন্দর্য নিয়ে আফসোস করে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে যেভাবে বানিয়েছেন, সেই জন্য অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করা উচিত। কেননা আমার চাইতেও অনেক খারাপ চেহারার অধিকারী, এই পৃথিবীতে রয়েছে। তারাও তো মানুষ তাদেরকেও তো সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন। এই বিষয়টা মাথায় রেখে সন্তুষ্ট থাকা উচিত।
নারী সবার কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার জন্য, যে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে। সেই পদ্ধতি গুলোর চাইতেও আপনি বেশ কিছু পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে একজন নারী যখন স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে। তখন সে সবার কাছেই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। আমি দেখেছি বর্তমান সমাজে নারীর মূল্য ঠিক তখনই থাকে। যখন তার বাবা ভাই অনেক সম্পদশালী অনেক টাকার মালিক হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি যখন নারী নিজে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে, তখনও সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়।
নারী খুব নরম মনের মানুষ। সবাইকে খুব ভালবাসে পরিবারকে আঁকড়ে ধরে জীবনের বাকিটা অংশ কাটিয়ে দিতে চায়। যারা বিবাহিত নারী। কিন্তু পরিবারের কাছ থেকে আঘাত পাওয়ার পর যদি একটা নারী কঠিন হয়ে যায়। তখন সে নিজেকে সহজে ক্ষমা করে না, এবং পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষকে অন্য চোখে দেখে। নারীদের নিয়ে এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।
নারীর আসল সৌন্দর্য তার ভিতরের মানুষটি সুন্দর একটা কথা বলেছেন। আসলে বর্তমানে মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। মানুষ বাহিক্য রূপ দেখেই তার ব্যাক্তিত্ব বিচার করে। কিন্তু মানুষের আসল সৌন্দর্য তার মনুষ্যত্ব এর মধ্যে। অনেক শীক্ষানীয় একটা পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার আজকের পোস্ট টি আমার কাছে সত্যি অসাধারণ লাগছে বিশেষ করে বিষয়বস্তু টা । আমাদের সৃষ্টিকর্তার যেমন বানিয়েছেন তেমনি খুশি থাকা উচিত।আর আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন যে মেকআপ দিয়ে তারা সৌন্দর্য বাড়ায় কিন্তু এতে লাভ কি হয় সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সৌন্দর্য থেকে মেকআপ এর সৌন্দর্য কখনও ভালো হতে পারে না।আর কালো বা ফর্সা কোন টাই চিরস্থায়ী না আমাদের সবাইকে একদিন মাটির ভিতরে যেতে হবে আর তাই এই সব নিয়ে চিন্তা না করে সব সময় শুকরিয়া করা উচিত। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সৌন্দর্য নিয়ে কখনও আফসোস করতে নেই এটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না ৷ আর মেকাপ লাগালে হয়তো ক্ষনিকের জন্য সুন্দর দেখাবে কিন্তু কয়েক ঘন্টা পরেই তার স্বাভাবিক চেহেরা চলে আসবে ৷ আর আমি মনে করি মেয়েদের ন্যাচারাল সুন্দর এ তাদের কে সুন্দর দেখা যায় ৷ আমি নিজেই ন্যাচারাল সৌন্দর্য কে পছন্দ করে থাকি ৷ চেহারায় সব কিছু হতে পারে না ৷
যাই হোক অনেক সুন্দর লিখেছেন বেশ ভালোই লাগলো পড়ে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
অসাধারণ ভাবে আপনি আজ নারীদের নিয়ে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমরা প্রায় সব বাঙালিই নারীর সৌন্দর্য দেখি তার শারীরিক রূপ গঠনে!যেটা মোটেই কাম্য নয়।নারীর আসল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনি অনেকগুলো যুক্তিযুক্ত পয়েন্ট নির্বাচন করেছেন।আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
বিভিন্ন ধরনের সার্জারী কিংবা মেকাপ করে হয়তো সাময়িক সুন্দর হওয়া যায় ঠিকই কিন্তু এটা মানুষকে খুব বেশি সময়ের জন্য আকৃষ্ট করে না।তার যদি ব্যক্তিত্ত কিংবা গুনাবলী না থাকে তাহলে বাহ্যিক সৌন্দর্য যতোই থাক না কেন এটা কিছু সময় পরই তার আকর্ষণ হারায়।
সেই সাথে মানবীয় গুনাবলী থাকাটা এটা নারী পুরুষ সবার জন্যই প্রযোজ্য।
এত সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
লেখাটা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে, আপনি ঠিকই কেমন আছেন সার্জারি বা মেকআপ করে কখনো নারী আসল চেহারা লুকানো সম্ভব নয়, আর যদিও এমনটা করে থাকে তবে সেটা ক্ষনিকের জন্য।
আমাদের দেশে বেশী এখন স্বাবলম্বী নারী পছন্দ করে তবে আমার মনে হয় একজন নারী স্বাবলম্বী হয় তাকে একটা পর্যায়ে দাঁড় করানোর জন্য, সমাজে মর্যাদা পাওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।