তালের শাঁসের চাবান শরবত।
![]() |
---|
[Edit by Collage Maker]
বৈশাখ মাস শুরু হতেই কচি তালের শাঁস বাজারে পাওয়া যায়। খেতেও হালকা মিষ্টি ও অত্যন্ত রসালো হয়। বছরে একবার এই কচি তালের শাঁসের স্বাদ না নিলে যেন অপূর্ণতা থেকে যায়।
![]() |
---|
রাস্তাঘাটে চলাফেরার পথে প্রায় চোখে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে এই শ্বাস। কিন্তু কিনতে গেলে দেখা যায় লাইন ধরতে হয়।কয়েকদিন ধরে আমিও কেনার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু সিরিয়াল আর অর্ডারের ভিড়ে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। আজকে দুপুরে তালের শাঁস ওয়ালা নিজেই বললো যে এখন তিনি ফ্রি আছেন। শাঁস কেটে আপনার বাসায় পৌঁছে দিচ্ছি।
![]() |
---|
অতঃপর গার্ড এর মাধ্যমে বাসায় পাঠিয়ে দিলো।আমি প্রথমে বাইরে থেকে তালের শাঁস গুলোকে ফ্রিজে রেখে দিলাম ঠান্ডা হওয়ার জন্য। তালের শাঁস এমনিতেই খেতে সুস্বাদু। তবে আজ ভাবলাম শরবত বানিয়ে দেখা যাক।খুব সহজ উপায়ে তালের শাঁসের শরবত তৈরির একটি পদ্ধতি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
তালের শাঁস | ৮টি |
পানি | দেড় লিটার |
চিনি | ৩ টেবিল চামচ |
লেবুর রস | এক টুকরো |
বরফ কুচি | প্রয়োজন মত |
![]() |
---|
প্রথমে তালের শাঁস গুলোকে চামচ দিয়ে সুন্দর করে এর বহিরাবরণ সরিয়ে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে নিই। তবে ভেঙে যেনো না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ এর ভেতরে রস রয়েছে।
প্রথমে চামচ দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নেই।এরপর একটি ঘুটনি দিয়ে ধীরে ধীরে শাঁস গুলোকে চটকে নিই।
ব্লেন্ডারে দেয়া যাবে না তাহলে এটি ভর্তা হয়ে যাবে।আবার হাত দিয়ে করলে বড় বড় থেকে যাবে।
![]() |
---|
যাদের কাছে ঘুটনি নেই তারা একটি ছুরি বা খুন্তি দিয়ে ছোট ছোট করে টুকরো করে নিতে পারেন।
এরপর টুকরো করা শেষ হলে চিনি, লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে গ্লাসে ঢেলে নিন। উপরে কিছু বরফ কুঁচি ছড়িয়ে দিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল দিল ঠান্ডা স্বাদের তালের চাবান শরবত।
আসলে এ পানীয়টি যেমন শরবত আকারে খাওয়া যায় তেমনি আবার খাওয়ার সময় একটু চাবাতে হয়। তাই এর নাম চাবান শরবত।
![]() |
---|
সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি তালের শ্বাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি।এর শতকরা ৮০ভাগই পানি।
এছাড়া এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার।
![]() |
---|
গরমের কারণে শরীর থেকে যে পানি বের হয়ে যায় তার ঘাটতি পূরণে তালের শাঁস বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়া শরীরের নাইট্রেটের যোগান দিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে তালের শাঁসের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে।
![]() |
---|
কিডনি রোগী বিশেষ করে যাদের পটাশিয়াম বেড়ে যাওয়ার সমস্যা আছে তাদের এ তালের শাঁস খেতে বারণ করা হয়। আসলে কিডনি রোগীদেরকে যেকোনো ধরনের ফলের বীজ খেতে বারণ করা হয়।
এছাড়াও অধিক পরিমাণে তালের শাঁস খেলে বমি ও পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই পরিমিত খান সুস্থ থাকুন।
![]() |
---|
Device | Name |
---|---|
Android | vivo v19 |
Camera | triple camera 48mp+8mp |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Shot by | @hasnahena |
সর্বপ্রথম কথা হল তালের শাঁস বরাবরই আমার অনেক পছন্দ। আপনি ঠিকই বলেছেন, বৈশাখ মাস আসলেই রাস্তাঘাটে ভ্যান গাড়িতে তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা যায়। আসলেই তালের শাঁস খেতে খুব সুস্বাদু। সত্যিই আপনি যেভাবে তালের শাঁস দিয়ে শরবত বানিয়েছেন। খেতে মনে হয় দারুন হয়েছে।
আপনার মত করে আমিও একদিন এভাবে শরবত বানিয়ে খাবো।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তাল শাঁস আমার খুব প্রিয় ফল। নরম কচি তালের শাঁস খেতে সত্যিই খুব সুস্বাদু লাগে। তবে আমি কোনদিন শরবত করে খাইনি। আপনার শরবত বানানো দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমিও চেষ্টা করব বাড়িতে বানিয়ে খাবার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শরবত করে খেতেও তালের শাঁস বেশ ভালই লাগে। তবে এই শরবত কড়া মিষ্টি ভালো লাগে না। হালকা মিষ্টি টাই ভালো লাগে। বাড়িতে কখনো তৈরি করে দেখবেন নিশ্চয়ই ভালো লাগবে আপনার।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
তালের শাঁস আমার খুব প্রিয় তবে এটা দিয়েও যে এমন একটা জিনিস বানানো যায় সেটা জানতাম না। আজকে আপনি খুব সুন্দরভাবে তালের শাঁসের শরবত বানিয়েছেন যেটা দেখে নিজে বানানোর ইচ্ছে হচ্ছে।
আর তাছাড়া পোস্টটিতে আপনি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন সেটা দেখে যে কেউ শরবত বানাতে পারবে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
তালের শ্বাস চাইলে আপনি ডিপ ফ্রিজে ফ্রোজেন করে রাখতে পারেন।এতে আপনি সারা বছরে যে কোন সময় এর স্বাদ পেতে পারবেন।
ভালো লাগলো জেনে যে আমার পোষ্টটি আপনার পছন্দ হয়েছে।
তালের শাঁস খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে সত্যি কথা বলতে আপু আমি এই প্রথমবার শুনছি এই শরবতের কথা তালের শাঁসের চাবান শরবত আমি আগে কখনোই এই নাম শুনি নাই খাওয়া তো দূরে থাক।
আপনি বেশ ভালো হবে শরবত বানানোর পদ্ধতি আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন ইনশাল্লাহ দেশে গিয়ে ট্রাই করে দেখব আপনাকে অনুসরণ করে কেমন লাগে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নতুন একটি শরবতের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আমাদের দেশে একটি জুস পাওয়া যায়। নাম ড্রিংকো।এটা এই চাবান জাতীয় ড্রিংকস। পুরোটাই ফ্লেভার ও কৃত্রিম গন্ধে পরিপূর্ণ। তাই এ ধরনের জুস এভয়েড করে ঘরে তৈরি খাবারই বেশি খাওয়ার চেষ্টা করি।
যদি এরকম ভাবে ফল ও ফলের রস দিয়ে শরবত করে খেতে পারেন তাহলে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ভালো থাকবেন।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে তালের শাঁসের শরবত তৈরি করার রেসিপি শেয়ার করেছেন।। আর হ্যাঁ তালের শাঁস কিনতে যেয়ে একটু ভোগান্তির মধ্যেই পড়েছিলেন।। আর খুবই চমৎকারভাবে আমাদেরকে দেখিয়েছেন কিভাবে তালের শরবত তৈরি করতে হয়।।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।
Your post has been successfully curated by our team via @steemdoctor1 at 35%.
Thank you for your committed efforts, we urge you to do more and keep posting high-quality content for a chance to earn valuable upvotes from our team of curators and why not be selected for an additional upvote later this week in our top selection.
Thank you for your feedback 😊.
তাঁলের শাস চোখে পরে কিন্তু কেনা হয় না।কারন আমাদের বাসায় তালের শাঁস কেউই তেমন একটা পছন্দ করে না।
তবে আজকে আপনার এই চাবান শরবতের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে, এভাবে বানালে খেতে ভালোই লাগবে আর বাসার বাকি সবাইও পছন্দ করবে। দেখতেও চমৎকার লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন চমৎকার একটা পুষ্টিকর শরবতের রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। বাসায় অবশ্যই বানিয়ে খেয়ে দেখবো একবার।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময়।
এটা দেখতে অনেকটা চিবান পানীয় ড্রীংকোর মতো দেখাচ্ছে।দেখতে খুবি লোভনীয় দেখাচ্ছে।আপনি খুব সুন্দরভাবে শরবতটি বানানোর পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
গ্রীষ্মকাল বা মধুমাস এই সময়টাতে আমরা নানা ধরনের ফল দেখতে পাই। আম কাঁঠাল লিচু তালের শাঁস এগুলো আমরা খুব সহজেই পেয়ে যায় গ্রাম অঞ্চলের মধ্যে। শহরেও প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। আজকে আপনি আমাদের সাথে চমৎকার ভাবে তালের শাঁস দিয়ে, কিভাবে শরবত তৈরি করা যায় সেই পদ্ধতি শেয়ার করেছেন।
ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি তালের শাঁস আমরা এমনিতেই খেয়ে থাকি। কিন্তু আজকে আপনার পোস্ট ওপেন করার পর সত্যি কথা বলতে অনেকটা অবাক হয়েছিলাম। এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। কিভাবে খুব সহজে তালের শাঁস দিয়ে শরবত তৈরি করব। অসংখ্য ধন্যবাদ উপরোক্ত বিষয় আমাদেরকে অবগত করার জন্য। ভালো থাকবেন।