পানি -অতি চমৎকার তরল পদার্থ।
এক গ্লাস পানি দিয়ে অনেক থালা বাসন আপনি কি করে ধোবেন? আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো ও এমন।যখন আপনি কম অথবা প্রয়োজন মাফিক পানি পান না করেন তখন দেহের বর্জ্য পদার্থ অনেক ঘনীভূত হয়ে নিষ্কাসিত হয়।এর ফলস্বরূপ আমাদের গায়ে গন্ধ, মুখে গন্ধ, এবং প্রস্রাবের খারাপ গন্ধ হয়।
অপর্যাপ্ত পানি পান করলে অনেক সমস্যার সূত্রপাত ঘটতে পারে।পানি একটি উত্তম প্রলেপদানকারী।পানির অভাবে গরম আবহাওয়ায় আপনি মেজাজ ঠিক রাখতে পারবেন না।এছাড়া কিডনি পাথর হবার ঝুঁকির মধ্যে পতিত হতে হবে।
অনেকেই জানেন না বয়স্ক লোকেরা যদি ওষুধ সেবন করে তবে তাদের পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিৎ।কারণ ওষুধ দেহ থেকে কিডনি-যোগে নিষ্কাসন করতে পানির প্রয়োজন।যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করা হয় তবে কিডনি সে সব ক্ষতিকর ওষুধ ধরে রেখে দেহে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।বিশেষ করে যারা হৃদরোগ এবং উচ্চরক্ত চাপের জন্য ওষুধ সেবন করেন তাদের প্রচুর পানি পান করা উচিৎ।
আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন, অধিকাংশ লোকই কি প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করে না? বাস্তবতা হলো যে অধিকাংশ মানুষই বর্তমানে পানির চাইতে কফি, কোমল পানীয়, দুধ এবং মদ বেশী পান করে থাকে।
একজন বললেন, "সব তরল পদার্থের মধ্যে পানি রয়েছে, নয় কি? সুতরাং যে কোন তরল পদার্থ পান করলেই তো চলে।"এটা ঠিক যে পানির যে কোন অবস্থাতেই দেহ ব্যবহার করতে সক্ষম।
কিন্তু কোন কোন পানীয় বিশেষ ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করে।যেমন ধরুন অনেক চিনিযুক্ত কোমল পানীয়ের মধ্যে ক্যালোরি থাকে যা খাদ্যের ন্যায় হজম করতে হয়।এই ক্যালোরি দেহে অবাঞ্ছিত চর্বি সৃষ্টি করে, রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং এর পূর্বে যে খাদ্য গ্ৰহণ করা হয়েছিল তার পরিপাক ক্রিয়া স্তিমিত করতে পারে।
কিন্তু বিশুদ্ধ পানি পক্ষান্তরে সরাসরি পাকস্থলীর মধ্যে প্রবেশ করে, পাকস্থলীতে কি আছে কি নেই তাতে এই বিশুদ্ধ পানির কিছু আসে যায় না।এতে কোন হজম কিংবা দেহের কোন ক্ষতি সাধিত হয় না।
খাদ্যে ঘ্রান, রং এবং অন্য সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী রাসায়নিক পদার্থ পেটের ভেতরের দেয়ালে জ্বালা পোড়ার সৃষ্টি করে ফলে কিডনি ও যকৃৎকে এগুলোর বিষাক্ততা নষ্ট করে দেহ থেকে নিষ্কাসন করতে বাড়তি পানির প্রয়োজন হয়।
সুতরাং বিশুদ্ধ পানি পান করে হজম সমস্যা, ক্যালোরি সমস্যা, অবাঞ্ছিত চর্বি,পেটে জ্বালা পোড়ার অনুভূতি, এবং অনাকাঙ্ক্ষিত রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতিতে দেহের সূক্ষ্ম যন্ত্র পাতির বিকলতা রোধ করা সম্ভব।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি আপনার পান করা উচিৎ যেন প্রস্রাবের ফ্যাকাসে রং ঠিক থাকে।প্রতিদিন মল, মূত্র, ঘাম, ত্বক এবং ফুসফুসের মাধ্যমে দেহ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি বিয়োগ ঘটে। খাদ্যে মাত্র দু'থেকে চার গ্লাস পানি থাকে।গ্ৰীষ্ম মন্ডলীয় এলাকায় বেশি পানি পান করার প্রয়োজন হতে পারে।
পানি হচ্ছে সেই নির্দিষ্ট তরল পদার্থ যা দেহের ভেতর জীবন সংরক্ষণকারী রাসায়নিক প্রক্রিয়া ঘটাতে সক্ষম।এটি জীবনের সর্বোত্তম আশীর্বাদ।এটি হচ্ছে সেই পানীয় যা সৃষ্টিকর্তা মানুষ ও প্রত্যেক প্রাণীর তৃষ্ণা নিবারণ করতে সৃষ্টি করেছেন।
.
অবশ্য আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিনিয়ত পানি পান করা প্রয়োজন আমাদের শরীরের যতটুকু পানির চাহিদা আছে সে চাহিদাটা পূরণ করে আমাদের পানির পান করা উচিত নাহলে আমাদের শরীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং পানি এতটাই তরল পদার্থ যেটা আর বলার নেই সেটা হয়তো সবাই জানে। আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝেও উপস্থাপনা করেছেন যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জলের আর এক নাম জীবন।জল ছাড়া তো আমাদের এক মূহুর্ত চলে না। তবে আমাদের শরীরে পরিমাণ মতো জল খাওয়া দরকার। পরিমানের বেশি হলে আবার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে গ্ৰীষ্মকালে একটু বেশি পরিমাণে জল খেতে হয়। নয়তো শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।জল সম্পর্কে এত ভালোভাবে আলোচনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জল প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটা এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এটার অপর নাম দেওয়া হয়েছে জীবন। অন্যান্য খাবার একটু কম খেলেও সমস্যা নেই কিন্তু জল খেতেই হবে।
জল সম্পর্কে আপনি বেশ কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন যেটা আমার ও জানা ছিল না। আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি আমার জন্য তথ্যবহুল ও বটে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।