বিলিম্বি গাছ ও ফলের ফটোগ্রাফি@hasnahena
[Photo taken by Vivo 19]
বিলিম্বি ধরা গাছ দেখলে আমি সবসময় একটু থমকে দাঁড়াই। ফল ধরা গাছ দেখতে যেমন ভালো লাগে, ঠিক ফলটি খেতেও আমার অনেক ইচ্ছে করে। কিন্তু অন্য কারো গাছ হওয়াতে আমি নিজের এই ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখি। বাজারে সাধারণত বিলিম্বি আমি খুব একটা দেখি নি। এমনকি নিউমার্কেটেও আমার চোখে পড়েনি।শুধুমাত্র হঠাৎ হঠাৎ পুরনো কোনো বাড়ির সামনে এই ফল গাছটি আমার চোখে পড়ে।
তবে ক্যান্টনমেন্টে আসার পর প্রায় বিভিন্ন জায়গাতেই আমি বিলিম্বি গাছটি দেখতে পাই।কারণ ক্যান্টনমেন্ট অনেক যত্ম করে সমস্ত অপ্রচলিত ফল ও ফুল গাছগুলোকে সংরক্ষণ করে।আমার ছেলের স্কুলের গেটের একদম কোনার দিকে এই গাছটি আছে। সাধারণত ওদিকে আমি খুব একটা যাই না। কিন্তু আজ যাওয়ার পথে যখন থোকায় থোকায় বিলিম্বি ধরা দেখলাম আমি নিজেকে আটকাতে পারলাম না। কোনায় চলে গেলাম ছবি তোলার জন্য। আজও আমার লবন-মরিচ দিয়ে টক টক বিলিম্বি খেতে খুব ইচ্ছে করছিল। কিন্তু ঠিক আগের মতোই নিজের লোভ সংবরণ করলাম।
[Photo taken by Vivo 19]
আসুন এবার বিলম্বি গাছ ও ফল সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেই।বিলম্বি বাংলাদেশের একটি অপরিচিত ফল। নিজস্ব উদ্যোগে কেউ লাগালে তবে এ ফলটি দেখা যায়। মূলত চট্টগ্রাম জেলার মানুষ শখ করে বাহারি গাছ হিসেবে এর বাগান করে। এই গাছ দুর্বল ধরনের এবং উচ্চতায় ২০ থেকে ২৫ ফুট হয়ে থাকে। সাধারণত বীজ থেকে বংশবিস্তার হয়। ফল দেখতে কিছুটা কাঁচা শসার মত। ফলটি কাঁচা অবস্থায় কচকচে উজ্জ্বল সবুজ থেকে হালকা সবুজ হয়ে থাকে। আর পরিপক্ক হলে সাদা হয়ে যায় এবং ঝরে পড়ে। খোসা অতি পাতলা, কোমল, মসৃণ ও চকচকে। মাংস হালকা সবুজ রসালো এবং অত্যন্ত টক। ছয় থেকে সাত টা চ্যাপ্টা গোলাকৃতি বাদামী রঙের বিচি থাকে যা খাওয়া যায় না।
[Photo taken by Vivo 19]
তিন থেকে চার ইঞ্চি দীর্ঘ হয় ফলটি । মূলত থোকায় থোকায় ধরে এবং এক থোকায় পাঁচ থেকে দশটি পর্যন্ত বিলিম্বি ধরতে পারে।সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে ফল ধরতে থাকে আর মে মাসের দিকে এ ফলটি পেকে যায়।অনেক সময় গাছ প্রতি ফলন দেড় থেকে ২ মন হতে পারে। বিলিম্বি চট্টগ্রাম অঞ্চলে ছোট মাছের ঝোলে রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়।এছাড়া চট্টগ্রামের খেত মজুরদেরকে সকালের খাবারের শেষ পর্বে অবশিষ্ট ভাতে মেখে খাওয়ার জন্য বিলম্বির শুরুয়া করে দেয়া হয় এবং ঝাল বিশিষ্ট এই সুরুয়াটি খেত মজুরেরা অত্যন্ত তৃপ্তি সহকারে উপভোগ করে থাকে।
[Photo taken by Vivo 19]
ফলটি বহুমূত্র রোগ প্রতিরোধী। রক্তক্ষরণ রোধ ও স্কার্ভি মুক্তকারী।ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ বিলিম্বি জ্বর জ্বর ভাব উপশম এবং দেহাভ্যন্তরের কোন প্রদাহ থাকলে তা দূর করতে খুবই উপকারী। এছাড়া আচার, চাটনি, মোরব্বা ও টক ডাল প্রস্তুতের জন্য এই ফল খুবই উপযোগী। কিশোরী মেয়েদের জন্য এটি তেঁতুল,জলপাই, কামরাঙ্গার,চালতার মতো মুখরোচক ফল।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। কারণ এই ফলটির নাম আমি আগে কখনো শুনি নি আর দেখা তো দূরের কথা। তবে দেখে এবং আপনার কাছ থেকে ফল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু কথা বলেছেন এবং এই ফলের উপকারিতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন সেজন্য জানাই আমি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Welcome 😊
আজকে আপনার পোস্টটিতে বিলিম্বি গাছ ও ফলের ফটোগ্রাফি
এর ম্ধ্য দিয়ে বিলিম্বি গাছ ও ফল সম্পর্কে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ।এই ফলকে আমি দেখেছি কিন্তু এখনো খাইনি । আর এই ফল সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই ।
আপনার পোস্টটি পড়ে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি । এই ফলটি সত্যি আমার কাছে অপরিচিত ।এই ফলটি চট্টগ্রাম অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায় কিন্তু আমাদের বরিশালে অঞ্চলে এখনো দেখিনি ।আপনি
বলেছেন সেপ্টেম্বর মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফল ধরে এবং মে মাসে এটি পাকতে থাকে ।
আপনি আরো বলেছেন এটি দিয়ে সুস্বাদু চাটনি রান্না করে হয় । কখন এই ফলটি না পাওয়াতে এই ফলটি দিয়ে আমি কখনো চাটনি রান্না করিনি।অবশ্যই আমি যদি কখনও পাই তবে এটি দিয়ে চাটনি রান্না করব ।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
@hasnahena (61)
বিলম্বি ফলের নাম আমি খুব বেশিদিন আগে শুনি নাই। তবে কখনো দেখা ও খাওয়া হয় নাই। তবে ইচ্ছে আছে খাওয়ার। কখনো সামনে পেলে খাাবো ইনশাআল্লাহ।
এই ফল সম্পর্কে এত বিস্তারিত লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।
অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন আসলে আমি এই ফলটি দেখি নাই কোনদিন একদম অন্যরকম লাগছে এবং সবশেষে জানতে পারলাম তেতুল জলপাই কামরাঙ্গা সালতা ফলের মত মুখরোচক একটি খাবার।
সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আসলে আমি এই বিলিম্বি ফলটা দেখেছি কিন্তু খেয়েছি খেতে অনেক টক।বিলিম্বি রান্না করা যায় যেমন ডাল দিয়ে রান্না করা হয় মাছের পাশে দেওয়া হয় আর খেতে অনেক স্বাদ লাগে। এবং আপনি এর কিছু উপকারিতা বলেছেন যেগুলো আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি টপিক আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
বিলিম্বি ফলের নাম কখনো শুনিনি আগে।এটাই প্রথম দেখছি।এটা কোন অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়?আপনার পোস্ট পড়ে এই উপকারী ফল সম্পর্কে জানতে পারলাম।কিন্তু এটাকে এখনও কোনোদিন সামনে থেকে দেখিনি এবং এই ফল কোথাও পাব কিনা জানিনা।তবে এখন বাজারে কেউ বিক্রি করতে এলে চিনতে পারব।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এই বিলম্ব ফল খেতে অনেক বেশি মজা। বিশেষ করে লবণ মরিচ মাখিয়ে এই ফল খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আমার বিয়ের পরেই আমার শ্বশুরমশাই একবার এই ফল নিয়ে এসেছিল। তখন আমি আমার ননদ মিলে সবাই অনেক মজা করে খেয়েছিলাম।
আজকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই বিলম্ব ফলের ফটোগ্রাফি, এবং তার বিষয়ে অনেক কিছু আলোচনা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
বিলিম্বি টক হলেও খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। তবে আমি এখানে বিলিম্বি কোথাও কিনতে পাই না। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আফসোস। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি খুবই চমৎকার একটি ফল ও গাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে।।। আমিও এই ফল গাছটি দেখতে পাই না।।। অনেক আগে কোথায় যেন দেখেছিলাম আমার মনে পড়ছে না।।।। আর হ্যাঁ এই ফল বাজারে পাওয়া যায় না।।।
আপনি আজকে খুব সুন্দর ভাবে এই ফল সম্পর্কে পোস্ট লিখেছেন।। খুবই ভালো লাগলো আজকের পোস্টটি করে এবং একটি ফল সম্পর্কে জানতে পারলাম।।।
বিলেম্বু বা বিলিম্বি বার মাসি একটি টক জাতীয় ফল। ভিটামিন সি ও অন্যান উপাদান ও অধিক পরিমাণে রয়েছে এই ফল টিতে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম না আগে এতো ব্যাপক ভাবে জানতান না। ধন্যবাদ আপনাকে।