RE: কদম নামক একটি ফুল By,@mdrabbe .
কদম ফুলের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি এর বর্ণনা করেছেন তা পড়ে খুব ভালো লাগল। বর্ষাকালে ফোটে এমন একটি ফুলের নাম কদম। এর ইংরেজি নাম burflower tree, যা নীপ নামেও পরিচিত। এ ছাড়া বৃত্তপুষ্প, মেঘাগমপ্রিয়, কর্ণপূরক, ভৃঙ্গবল্লভ, মঞ্জুকেশিনী, পুলকি, সর্ষপ, প্রাবৃষ্য, ললনাপ্রিয়, সুরভি ও সিন্ধুপুষ্পও কদমের নাম। রূপসী তরুর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কদম। কদমের কাণ্ড সরল, উন্নত, ধূসর থেকে প্রায় কালো।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলে কদম ফুল দেখতে পাওয়া যায়। কদম গাছ সাধারণত ৩০-৪০ ফুট লম্বা হয়। প্রস্থ ঊর্ধ্বে ৫ থেকে ৭ ফুট হয়। ফুল গোলাকৃতি লম্বা, ফুলের রং হলুদ-সাদায় মেশানো। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসেই এ ফুল ফোটে। ঐতিহ্যবাহী কদম বৃক্ষ এখনও গ্রামবাংলার আনাচে-কানাচে, পথের পাশে, নদীর ধারে কিংবা কোনো কোনো উদ্যানে দেখা যায়। আমাদের ঐতিহ্য ও সাহিত্যে কদম গাছ ও ফুল ২ হাজার বছরের পুরনো। বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ প্রথম কদম গাছে উঠে বাঁশি বাজান এবং প্রেমিকা শ্রী রাধিকাকে আকৃষ্ট করেন। কদম ফুলের সৌন্দর্য আছে কিন্তু গন্ধ নেই। এর পাতা ‘মাথাল’ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া তক্তা তৈরি ও জ্বালানি হিসেবেও কদম গাছের ব্যবহার করে থাকে। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন