Better Life with Steem||The Diary Game|| 27 April 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো:আজকের দিনটি ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছি।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে পূর্বের মতো ফ্রেশ হয়েছিলাম। ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় আমার রুমে বসে থাকি। বসে থাকার এক পর্যায়ে আমার আপু আমাকে ডাক দিল।আপু ডাক দিয়ে বলল যে আসো সকালের খাবার খেয়ে যাও।
তখন আমি আপুর ডাক শুনে রান্না ঘরে গিয়ে আপুকে বললাম ঠিক আছে তাহলে খাবার দাও। তখন আপু আমার কথা মতো খাবার দিল। তখন আমি সকালের খাবার সম্পূর্ণ করি। আর আজকের সকালের খাবার হিসেবে ছিল গরম গরম ভাত এবং ভাতের সাথে ছিল মুরগির মাংসের তরকারি।
যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ আজকের সকালের খাবারটা অনেক ভালো ছিল। যাইহোক সকালের খাবার সম্পন্ন করে কিছু সময় আমার রুমের এসে ফ্যান চালু করে দিয়ে প্রায় এক ঘন্টার মত বিশ্রাম নিয়েছিলাম। বিশ্রাম নিয়ে আপু আমাকে বলল যে আপুর নাকি গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হয়েছে।
তাই আমাকে ওষুধের দোকান হতে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আনতে বলল, তখন আমি দেরি না করে সরাসরি চলে যাই বেলাল ভাইয়ের ফার্মেসিতে। বেলাল ভাইয়ের ফার্মেসি থেকে পাঁচটা গ্যাস্টিকের ট্যাবলেট নিছিলাম। যখন বেলাল ভাইয়ের ফার্মেসিতে গিয়েছিলাম। তখন বেলাল ভাই একটা প্যাকেটের বক্সের ভিতর থেকে পাঁচটি ট্যাবলেট দিয়েছিল।
যখন প্যাকেটের বক্সটি টেবিলের উপরে রাখল। তখন আমি সেই গ্যাস্টিকের প্যাকেটের বক্সের একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দেখানো হলো। যাইহোক গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট গুলো নিয়ে বাড়িতে চলে আসি এবং বাড়িতে চলে আসার সময় আমাদের বাড়ির পিছনের দোকান হতে দুইটা স্যালাইন নিয়ে আসি।
এই দুইটা স্যালাইন দাম নিয়েছিল মাত্র ১০ টাকা।যাইহোক ইদানিং প্রচণ্ড গরম এই গরমে দেখা যায় মানুষ হতে শুরু করে সকলেরই সমস্যা। যাইহোক প্রচন্ড গরমে আজকে অনেক পিপাসা লেগেছে। তাই আমি দাদার দোকান হতে দুইটা স্যালাইন নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।
যাইহোক বাড়িতে এসে গ্যাস্টিকের ট্যাবলেট গুলো ও স্যালাইন দুইটা আপুর কাছে দিয়েছিলাম।যাইহোক এগুলো দিয়ে একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যাইহোক বাড়িতে গিয়েই আমি দুইটা স্যালাইন গ্লাসের ভিতরে মিশিয়ে সেই স্যালাইন গুলো আমি এবং আমার আপু খেয়েছিলাম।
যাইহোক স্যালাইনের পানি পান করে কিছুক্ষণ পর আবার বাবা যেহেতু বাজার হতে তরমুজ এনেছিল। কিছুক্ষণ পরে সেই তরমুজটা সুন্দর করে কেটে থালার ভিতরে করে আমার রুমে দিয়ে গেল। তখন আমি সেই তরমুজের টুকরাগুলো খেয়ে ছিলাম।
যাইহোক তরমুজের টুকরাগুলো খেয়ে ঘড়ির দিকে লক্ষ্য করলাম। ঘড়িতে দেখি দুপুর সাড়ে বারোটা বাজে। তাই দেরি না করে সরাসরি গোসল রুমে গিয়ে গোসল সম্পন্ন করি।গোসল সম্পূর্ণ করে ৩০ মিনিট পরে আপুকে বললাম আপু আমাকে দুপুরের খাবার দাও।
যখন আপু আমাকে দুপুরের খাবার দিল। তখন আমি দুপুরের খাবার সম্পন্ন করি। যাইহোক দুপুরের খাবার সম্পন্ন করে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত রুমে ছিলাম। আর বিকাল সাড়ে চারটার পরে বাহিরে গিয়েছিলাম। বাহিরে গিয়ে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাজারে গিয়েছিলাম।
বাজারে গিয়ে এক কেজি আপেল এবং এক কেজি কমলা নিই। কারণ যেহেতু আমার আপু আগামীকাল ঢাকা চলে যাবে। এজন্য আপুর জন্য এক কেজি আপেল এবং এক কেজি কমলা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি। যাইহোক বাড়িতে যখন আসি তখন ঘড়িতে দেখতে পায় সন্ধ্যা সাতটা বাজে।
যাইহোক সন্ধ্যা সাতটার সময় বাড়িতে এসে আপুর হাতে আপেল ও কমলার দেয়। তখন আপু বলে যে এগুলো আবার আনতে হবে কেন? তখন আমি বললাম কি যে বলো, যাইহোক এইসব বলে আপুর হাতে ফলগুলো দেয়। এরপর টিউবওয়েল পাড়ে গিয়ে আমি ফ্রেশ হয়েছিলাম।
ফ্রেশ হয়ে এসে রান্না করে দেখতে পেলাম মা বাদাম ভাচ্ছে।তখন আমি মার বাদাম ভাজা দেখে রান্না ঘরে গিয়েছিলাম। রান্নাঘরে গিয়ে কিছু সময় বসেছিলাম। বসে থাকার ১০ মিনিট পর বাদাম ভাজা সম্পূর্ণ হলে সেই বাদাম ভাজা গুলো একটা বাটির ভিতর রেখে দিয়েছিল।
তখন আমি সেই বাটির ভিতর রাখা বাদামগুলো রুমে নিয়ে এসে বাদাম ভাজাগুলো খাচ্ছিলাম। যাইহোক বাদাম ভাজাগুলো খাওয়ার সময় একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক বাদাম ভাজাগুলো সকলে মিলে খেয়েছিলাম। বাদাম ভাজা খেয়ে প্রায় আধা ঘন্টা আমরা সকলে বসে থেকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলি।
কথা বলা শেষ করে সকলে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য রেডি হই এবং সকলে মিলে রাতের খাবার সম্পন্ন করেছিলাম। যাইহোক রাতের খাবার সম্পন্ন করে কিছু সময় পরিবারের সাথে আরো সময় দিয়ে রাতের নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আর এটাই ছিল আমার গতকালকের সারাদিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
গরমের সময় স্যালাইন খাওয়াটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা শরীরে জলের ঘাটতি পূরন করতে অনেক সাহায্য করে। আমি নিজেও বাজার থেকে এক ডজন স্যালাইন কিনে এনেছি খাওয়ার জন্য। আজ আপনি বাজার থেকে ফলও কিনেছেন।
ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
গরমে স্যালাইন খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনি তো দেখি স্যালাইন খাওয়ার পাশাপাশি তরমুজ খেয়েছেন।
এই গরমে তরমুজ খেলে শরীর অনেকটা ঠান্ডা থাকে।
সারাদিনের ব্যস্তময় কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।ভালো থাকবেন