Better Life with Steem||The Diary Game|| 22 march 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: এগার তম রোজার দিনটি যেভাবে অতিবাহিত করলাম।
সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা। আমরা সবাই জানি রমজান মাস হলো রহমতের মাস, রমজান মাস হলো মাগফিরাতের মাস এবং রমজান মাস হলো নাজাতের মাস। তাই রমজান মাসে যে যত বেশি ইবাদত করতে পারবে সে তত সওয়াব পাবে।আর রহমতের ১০ টা রোজা হয়ে গেল,শুরু হলো মাগফিরাত। তাই আমাদের সকলের উচিত রোজা রাখার পাশাপাশি আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করা।
যাইহোক রমজানের এগার তম দিনটা কেমন কাটলো এখন তা বর্ণনা করব। প্রতি দিনের মতো আজকেও আগে থেকে মা আমাকে ঘড়ির এলার্ম দিয়ে রাখতে বলল, তাই আজকেও আমি ঘড়ির এলার্ম দিয়ে রাখলাম।
যাইহোক যখন ঘড়ির এলার্ম বাজলো, তখন আমি ঘুম হতে জেগে উঠে, মাকে ডেকে দিলাম।আর মাকে যখন ডেকে দিলাম, তখন ঘড়িতে ৩টা ৫ মিনিট বেজেছিল। কারন মা আমাকে আজকে বলেছিল যে ৩টা ০৫ বাজলেই আমাকে ডাক দিবে। তাই আমি ৩ টা ৫ মিনিটে মাকে ডেকে দেই। তখন মা ঘুম থেকে জেগে উঠে রান্না করা শুরু করে দিল।
মা রান্না শেষ করে আগের মত আমাকে ও বাবাকে ডেকে দিল, তখন আমরা সরাসরি বিছানা থেকে উঠে দাত ব্রাশ করে সেহরি সম্পন্ন করলাম।আর আজকের সেহরি হিসেবে ছিল গরম গরম ভাতের সাথে গরুর মাংস। আলহামদুলিল্লাহ আজকের সেহরিও খুব ভালো ছিল।
যাইহোক সেহরি সম্পন্ন করে কিছু সময় পর যখন মসজিদে ফজরের আযান দিল। তখন আমি ও বাবা অযু করে মসজিদ গিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করলাম।ফজরের নামাজ আদায় করে রুমে এসে সরাসরি ঘুমে পড়ি।
আর ঘুম থেকে জেগে উঠি সকাল ১০ টার পরে। কারণ আজকে যেহেতু শুক্রবার ছিল। এজন্য স্কুল বন্ধ ছিল। তাই ঘুম থেকে জেগে উঠি দশটার পরে, দশটার পরে ঘুম থেকে জেগে উঠে ফ্রেশ হয়ে, যখন রুমে আসলাম।
তখন আমাদের স্কুলের সাইফুল মাস্টার আমাকে ফোন দিয়েছিল। কারণ মাস্টার সাহেব আগে হতে আমাকে বলে দিয়েছিল যে, শুক্রবার সে ইফতার পার্টি দিবে। সেই হিসাবে সকল কিছু গুছিয়ে রাখতে হবে। এজন্য আমাকে ফোন করেছিল।
যাইহোক আমাকে ফোন করলে আমি তার ফোন পেয়ে সরাসরি তার বাড়িতে যাই। বাড়িতে গিয়ে দেখতে পেলাম সে ৮ কেজি গরুর মাংস পাতিলে রেখে চুলাতে জ্বাল দিচ্ছে।এ সময় আমি সেখানে গিয়ে কিছু ছবি তুলে রাখি।
যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক ছবি তোলার পর আমি ২০ মিনিট যাবত সেখানে বসে রইলাম। ২০ মিনিটের মধ্যে সেই পাতিলে মাংসগুলো রান্না হয়ে গেলে, সে মাংসগুলো চুলা হতে নামিয়ে ছিল। নামানো অবস্থায় আমি কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম।
যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যাইহোক ছবিগুলো তুলে আমিও সাইফুল মাস্টার আমাদের মাস্টার বাজারে চলে গিয়েছিলাম। কারণ সেখান হতে দুইটা বড় বড় হাড়ি পাতিল নিয়ে আসি। কারণ ২০ কেজি চাউলের বাজেট হয়েছিল এই ইফতারি পার্টির জন্য।
এজন্য বড় বড় দুটি পাতিল নিয়ে আসি মাস্টার বাজার থেকে, দুইটা পাতিলে ১০ কেজি করে চাউল দিয়ে গরুর মাংসের বিরিয়ারি রান্না করেছিল।যাইহোক আমি এবং সাইফুল মাস্টার সাহেব জোহরের নামাজের আগেই সেই পাতিল দুইটা নিয়ে এসেছিলাম।
পাতিল দুইটা নিয়ে এসে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিয়েছিলাম। নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিয়ে মসজিদে দেখি আযান দিয়েছিল।তাই আমি গোসল করে নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলাম। আর আজকে যেহেতু শুক্রবার তাই সাড়ে বারোটার দিকে যোহরের আযান দিয়েছিল।
তাই আজান দিলে আমি অজু করে সরাসরি মসজিদে গিয়েছিলাম। মসজিদে গিয়ে কিছু সময়ের বক্তব্য শুনেছিলাম। ইমাম সাহেবের বয়ান শুনে চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ি। সুন্নত নামাজ পড়া শেষ হলে ইমাম সাহেব খুতবা পড়া শুরু করে,
খুতবা পড়া শেষ হলে ইমাম সাহেবের সাথে দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করেছিলাম। যাইহোক ফরজ নামাজ আদায় করে বাদাল জুমার চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করেছিলাম। সুন্নত নামাজ আদায় করে বাড়িতে এসেছিলাম।
বাড়িতে এসে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম। বিশ্রাম নেওয়ার এক পর্যায়ে আবার সাইফুল মাস্টার আমাকে ফোন করেছিল। কারণ যখন বিকাল তিনটা বেজেছিল। তখন রান্নার কার্যক্রম চালু করে দিয়েছিল। তাই আমিও গিয়ে সেখানে হেল্প করেছিলাম।
যাইহোক এভাবে যখন আযান দিল। তখন মসজিদে গিয়ে আসরের নামাজ আদায় করলাম। আসরের নামাজ আদায় করে আবার সাইফুল মাস্টারের বাড়িতে গিয়েছিলাম।মাস্টারের বাড়িতে যাওয়ার সময় আমাদের প্রতিবেশী সজিবদের বাড়িতে একটা সূর্যমুখী গাছ দেখতে পেলাম।
সূর্যমুখী গাছে দেখতে পেলাম কয়েকটা ফুল ফুটেছে। তাই আমি দেরি না করে মোবাইলটাতে বের করে একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক ছবিটা তুলে আমি মাস্টারের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে গিয়ে দেখতে পেলাম রান্না প্রায় শেষের দিকে।
তখন আমি মসজিদে গিয়ে দুইটা বালতির ভিতরে দুই কেজি চিনি নিয়ে এবং হাফ কেজি ফ্রুটস এর প্যাকেট নিয়ে মিশিয়ে দিয়ে, শরবত তৈরি করেছিলাম।শরবত তৈরি করার পর রুমে এসে কিছু সময় বিশ্রাম নেয় এবং বিশ্রাম নেওয়ার এক পর্যায়ে ইফতারের প্রায় ১৫ মিনিট বাকি রয়েছে।
এই সময় মসজিদের ভিতরে বিরিয়ানি দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক সাথে সালাদ এবং শরবত দেওয়া হল এবং এগুলো দেওয়া শেষ হলে কিছুক্ষণ পরে মসজিদে আজান দিল। তখন আজান দিলে সকলে মিলে ইফতার করেছিলাম।
যাইহোক ইফতার সম্পূর্ণ করে নামাজ পড়ে সরাসরি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে চলে৷ এসে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে,বিশ্রাম নিয়ে আবার যখন মসজিদে আজান দিল। তখন ওযু করে মসজিদে গিয়ে ২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়েছিলাম।
২০ রাকাত তারাবি নামাজ পড়ে বাড়িতে এসেছিলাম। বাড়িতে এসে সরাসরি রাতের খাবার সম্পন্ন করি। রাতের খাবার সম্পন্ন করে, কিছু সময় অনলাইনে সময় দিয়ে রাতের নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে পড়ি।এটাই ছিল আমার গতকালকের সকল কার্যক্রম।আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন । ভালো থাকবেন সবাই ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Many many thank you for your support
ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সেহেরি খাওয়া সম্পন্ন করেছিলেন, রোজার মাসে এটা আপনাদের রুটিন হয়ে গিয়েছে। আপনার সূর্যমুখি ফুলের ফটোগ্রাফিটা অসাধারণ হয়েছে। আজ মসজিদে সবাই মিলে ইফতার করেছিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য। ভালো থাকবেন।।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
ধন্যবাদ ভাই ,আপনার ছুটি দিনে এত সুন্দর কার্যলিপি আমাদের মাঝে তুলে দেওয়ার জন্য। ভাই আরেকটা বিষয় অসাধারণ ছিল, ছুটির দিনে, সবাই মিলে মসজিদে ইফতার করেছেন।🌹🌹
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন
এত সুন্দর করে ডায়েরী গেম উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সূর্যমুখী ফুলের ছবি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। আসলে আমার কাছে মনে হয় সূর্যমুখী ফুলটাই এমন। এর ছবি তুললে সব সময় আমার কাছে সুন্দর লাগে। ছুটির দিনে সবাই মিলে ইফতার করেছেন। আমরাও আগে এমনটা করতাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন