Better Life with Steem||The Diary Game||01 February 2024||
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: আলহামদুলিল্লাহ একটি সুন্দর দিন অতিবাহিত করলাম।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে, দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়। এবং ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে, মাকে বলি মা আমাকে সকালের নাস্তা দিয়ে যাও।যখন সকালে নাস্তা দিয়ে গেল।তখন সকালের নাস্তা সম্পন্ন করেছিলাম।
আজ সকালের নাস্তা হিসেবে ছিল গরম গরম ভাতের সাথে পাঙ্গাস মাছের তরকারি। যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ সকালে খাবারটা ভালোই ছিল। যাইহোক সকালের খাবার খেয়ে। আজকে যেহেতু বৃহস্পতিবার ছিল। তাই যেহেতু শুক্রবারে আমাদের প্রাইমারি পরীক্ষা রয়েছে। তাই আগেই হেড স্যারের হতেই আমি ছুটি নিয়েছিলাম।
তাই আজকে স্কুলে যাওয়া হয়নি। কারণ আজকে আমি সিরাজগঞ্জ শহরে গিয়ে ভাতিজার ওখানে থাকবো। এবং ভাতিজার ওখানে থেকে যেহেতু শুক্রবার সকাল দশটা হতে প্রাইমারি পরীক্ষা। তাই আমি সকালের নাস্তা সম্পন্ন করে। দুই ঘন্টা যাবত বাড়িতে থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের উদ্দেশ্যে বের হলাম। এবং সিরাজগঞ্জ শহরের উদ্দেশ্যে বের হয়ে ১০বা ২০ মিনিটের মত নৌকা ঘাটে বসে ছিলাম।
বসা অবস্থায় একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম। যাইহোক নৌকা ঘাটে গিয়ে প্রায়ই ১০-২০ মিনিটের মত বসে ছিলাম। কারণ ৩৫ জন যাত্রী হতে হবে। তারপর নৌকা ছেড়ে দেবে। তাই আমি দশ বা ২০ মিনিট এর মত নৌকা ঘাটে গিয়ে বসে ছিলাম। যাইহোক নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রী আসলে, নৌকার মাঝি নৌকা ছেড়ে দেয়। এবং নৌকা ছেড়ে দিলে আমি নৌকার ভিতর বসে ছিলাম। ইদানিং নৌকার ভিতর খুবই বিরক্ত লাগে।
কারণ নৌকার ভিতর প্রায় এক ঘন্টা বিশ মিনিট মতো বসে থাকতে হয়। কারণ বর্তমান নদীর পানি না থাকার কারণে দেখা যায়। নৌকা দিয়ে যেতে এক ঘন্টার উপরে লেগে যায়। তাই যেহেতু আমাদের শহরে যেতে হলে নৌকা পার হতেই হবে। তাই বিরক্ত লাগলেও কিছুই করার নেই।যাইহোক এক ঘন্টা ২০ মিনিট লাগলো নৌকা পার হতে। নৌকা পার হয়ে আমার ভাতিজা যে শহরে থাকে। সেখানে যেতে হবে গাড়ি দিয়ে।
তাই নৌকা হতে নেমেই আমি সিএনজি দ্বারা ভাতিজার ওখানে গিয়েছিলাম।আর ভাতিজার ওখানে যেতে প্রায় 40 মিনিট সময় লেগেছিল। যাই হোক ৪০ মিনিট পরে ভাতিজার কাছে পৌঁছলাম। এবং ভাতিজার ওখানে পৌঁছলাম বিকাল ৩ টার পর।এবং বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করলাম।
যাই হোক খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে বিকেল বেলা, আমি এবং ভাতিজা ঘুরাঘুরি করার জন্য বাহিরে গিয়েছিলাম। এবং বাইরে গিয়ে বিভিন্ন দৃশ্য দেখেছিলাম,এবং এ সময় আমি কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাই হোক ভাতিজা যেখানে থাকে এই এলাকাটা প্রায় আমাদের গ্রামের মতোই।ভাতিজা যেখানে থাকে এই এলাকাটা পল্লী এলাকার মত।
তাই আমরা বিকেলবেলা কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। এবং ঘোরাঘুরি অবস্থায় একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম। আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো দেখতে পারবেন রাস্তা দিয়ে কিছু লোক যাচ্ছে এ সময় আমি ছবিটা তুলে রেখেছিলাম। এবং ছবিতে আপনার লক্ষ্য দেখতে পাবেন রাস্তার পাশে একটা ঘর হচ্ছে। আর এ ঘরটা হল প্রাইমারি স্কুলের ঘর।
অর্থাৎ এই ঘরটা মেরামত করা হচ্ছে। তাই এ ঘরটা দেখে আমি একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যাই হোক বিকেল বেলা প্রায় ১ ঘন্টা টার মত ঘোরাঘুরি করেছিলাম। এবং একঘন্টা ঘোরাঘুরি করে, সন্ধ্যার পরে আমি এবং ভাতিজা বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে গিয়ে দুজনে মিলে দুধ চা খেয়েছিলাম। যাই হোক দুধ চা ব্যাপক টেস্ট হয়েছিল।
অর্থাৎ আমাদের এলাকায় অনেক দুধ চা খেয়েছি। কিন্তু এই শহরের চায়ের মত না। অর্থাৎ ভাতিজা আর আমি দুজনে মিলে দুইটা চা খেয়েছিলাম, বিশ টাকা দিয়ে। যাই হোক দুজনে দুধ চা খেয়ে অনেক গল্প করিলাম। এবং ভাতিজাকে বললাম ভাতিজা তোমাদের এখানে যে চা খেলাম। তা তো অনেক টেস্ট লাগলো।
তখন ভাতিজা বলল আসলে এখানের চা টা অনেক টেস্ট হয়। তাই আমাদের কলেজের সকল স্টুডেন্ট সন্ধ্যাবেলায় এই দোকান হতে চা খেয়ে যায় রেগুলার । যাইহোক বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বলে, আমিও ভাতিজা রুমে চলে আসি। এবং রুমে চলে এসে। যেহেতু শুক্রবার সকাল দশটায় পরীক্ষা রয়েছে। তাই তাড়াতাড়ি রাতের খাবার সম্পূর্ণ করে। রাত ১টা পর্যন্ত পড়েছিলাম। যাইহোক এটাই ছিল আমার গতকালকের সারাদিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি, আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন । ভালো থাকবেন সবাই ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়েছিলেন। সারাদিন প্রায় ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের ওখানে আপনারা নৌকা দিয়ে চলাচল করেন। আমাদের এখানে আমরা সিএনজি দিয়ে চলাচল করি। সিএনজির মধ্যে ৫ জন লোক না হলে সিএনজি ছাড়বে না। আপনাদের ওখানেও দেখলাম ৩৫ জন যাত্রী না হরি নৌকা ছাড়বে না। বিষয়গুলো একটু ভাবা উচিত। কেননা মাঝে মাঝে দেখা যায় কিছু মানুষের তাড়া থাকতে পারে।
সন্ধ্যার পর এক কাপ চা অবশ্যই খেতে হবে
শীতের সময় বিশেষ করে। গরমকালে খেলেও চলে আবার না খেলেও চলে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।