প্রতিবছরের মতো এবারও চরগিরিশ বিশাল উরস মাহফিলের আয়োজন।
প্রতিবছরের মতো এবারও চরগিরিশ বিশাল উরস মাহফিলের আয়োজন।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পরম করুনাময় মহান রাব্বুল আলামিনের নামে শুরু করিলাম। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। বন্ধুরা আশা করি আপনারা আল্লাহ তাআলার অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহতালার অশেষ রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের কাছে একটা টপিক শেয়ার করব। টপিকটার নাম হলো প্রতিবছরের মতো এবারও চরগিরিশ বিশাল উরস মাহফিলের আয়োজন।
বন্ধুরা ছবিতে দেখতে পারছেন অনেকগুলো লোক জন। কারণ প্রতিবছর চরগিরিশ উচ্চ বিদ্যালয় বিশাল উরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে প্রতি বছরই অনেক লোকজন এই মাহফিলে আসে। আমি এই মাহফিলে দুই বছর আগে গিয়েছিলাম।
কিন্তু এবার চরগিরিশ উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছি। তাই আমাদের সকল শিক্ষককে এই মাহফিলের দাওয়াত করেছিল। তাই আমরা সকল শিক্ষকরা মাহফিলে উপস্থিত হয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি হতে এই উরস মাহফিল যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট।
তাই আমি এবং সাইফুল মাস্টার মাগরিবের নামাজ পড়ে এই উরস মাহফিলের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। আমি এবং সাইফুল মাস্টার দুইজনে হেঁটে হেঁটে এবং অনেক গল্প করে দুইজনে উরস মাহফিলে গিয়েছিলাম । 15 মিনিট পর আমরা উরস মাহফিলে গিয়ে পৌঁছলাম এবং উরস মাহফিলে পৌছে সাইফুল মাস্টার সামিয়ানার ভিতরে বসতে চাইলো।
কিন্তু আমি বললাম চলেন দেখি একটু ঘোরাঘুরি করা যাক। তখন আমরা গিরিশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘোরাঘুরি করলাম এবং ঘুরাঘুরি করে দেখলাম যে মাঠের পাশে ভান্ডার খানার ব্যবস্থা করেছে অর্থাৎ যেখানে রান্না করা হচ্ছে। তাই আমরা সেখানে গিয়ে ঘুরাঘুরি করে দেখলাম এবং এ সময় আমি কিছু ছবি তুলে রাখলাম যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। আমরা দুজনে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে সাইফুল মাস্টার হুজুরের কথা শোনার জন্য সামিয়ানার ভিতরে বসে গেল এবং সে সময় আমার কিছু ছাত্রের সাথে দেখা হল। তখন ছাত্ররা আমাকে ডাক দিল তখন আমি সাইফুল মাস্টারকে বললাম আপনি বসে হুজুরের কথা শুনেন।
আমি একটু ছাত্রদের সাথে দেখা করে আসি। তখন আমি ছাত্রদের সাথে দেখা করলাম এবং তখন ছাত্ররা আমাকে বলল স্যার কখন আসলেন তখন আমি ছাত্রদের বললাম যে কিছুক্ষণ আগে এসেছি। তখন ছাত্ররা বলল স্যার চলেন কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করা যাক। তখন বললাম চলো ।তখন ছাত্ররা আমাকে একটা দোকানের সামনে নিয়ে গেল।
ছাত্ররা বলল স্যার কি খাবেন তখন বললাম তোমরা যা খাও তোমরা বলো আমার পক্ষে থেকে টাকা দিব কিন্ত তখন বলল না স্যার আমাদের পক্ষ থেকে আপনাকে খাওয়াবো। তখন ছাত্ররা ৪০ টাকার ঝালমুড়ির অর্ডার দিল তখন আমরা চার পাঁচ জন মিলে সে ঝালমুড়ি খাইলাম। খাওয়া শেষে বিলটা আমি দিতে চাইলাম কিন্তু ছাত্ররা বিল দিতে দিল না।
এক ছাত্র বিল দিয়ে দিল তখন আমি খাওয়া শেষে বললাম ঠিক আছে তোমরা এখন ঝাল মুড়ি খাওয়ালে। এখন আমার পক্ষ থেকে তোমরা কি খাবে এখন বলো তখন খেতে চাইলো না কিন্তু আমি বললাম অবশ্যই তোমাদের আমার পক্ষ থেকে কিছু খাইতে হবে। তখন আমি ছাত্রদের জন্য ছোলা খাওয়ার অর্ডার করলাম তখন সিদ্ধ ছোলা জন প্রতি 10 টাকা করে ছোলার অর্ডার দিলাম।
তখন মোট ৯জন ছাত্র উপস্থিত ছিল তখন ৯ জনের জন্য ছোলার অর্ডার করলাম তখন দোকানদার আমাদের অর্ডার মতো সবাইকে ছোলা দিল তখন আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম এবং দোকানদারকে ৯০ টাকা বিল দিলাম। দোকানদারকে বিল দিয়ে সবাই মিলে সামিয়ানার ভিতরে বসে হুজুরের ওয়াজ শুনলাম।। 30/40 মিনিট ওয়াজ শোনার পর ঈসার আযান দিলো
তখন আমরা সবাই এশার নামাজ পড়লাম এবং এশার নামাজ পড়ে হুজুরের সাথে মোনাজাত করে আবার এক থেকে দেড় ঘন্টা ওয়াজ শুনলাম হুজুরের। আমরা সবাই অনেকক্ষণ হুজুরের ওয়াজ শুনে প্রায় দশটার মত বাজলো। তখন হুজুর ওয়াজ শেষ করে সকলের খাওয়া দাওয়া জন্য মাইকে বলে দিল যে সকলে যার যার মত বসে যান। সকলের জন্য খাওয়া-দাওয়া ব্যবস্থা রয়েছে তখন আমরা সবাই যার যার মত বসে তবারক খাওয়ার জন্য রেডি হলাম।
তখন সবাইকে তবারক দেওয়ার জন্য ভলেন্টিয়াররা রেডি হল। তখন ভলেন্টিয়াররা তবারক দেওয়া শুরু করে দিল সেখানে প্রায় 40 মিনিটের মত লাগলো তারপর আমরা সকলে মিলে তবারক খাইলাম এবং অবশেষে প্রায় এক দেড় ঘন্টা হুজুরের ওয়াজ শুনে আমি এবং সাইফুল মাস্টার বাড়িতে চলে আসলাম। তাই গতকালকের দিন টা স্মৃতি হয়ে থাকবে।
আলহামদুলিল্লাহ গতকালকের দিনটা ভালই কেটেছে। বন্ধুরা আজকে আর লিখছি না আজকের মত এখানেই শেষ করছি।বন্ধুরা আমি যে কথাগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।
আজকের মত এই পর্যন্তই সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আমার গল্পটা শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে করে আমি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন টপিক নিয়ে আসতে পারি।
বন্ধুরা আমি যে ছবিগুলো তুলেছি এগুলো আমার নিজস্ব মোবাইল দিয়ে তুলেছি।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
আসলে কালকে আমরা যখন হ্যাংআউটে উপস্থিত ছিলাম তখন কিন্তু আপনি বলেছেন যে আপনি উরছে আছেন। আজকে আপনার পোস্ট ওপেন করার পর আমি বুঝতে পারলাম যে আপনি উরছে অনেক বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
আমাদের এদিকে ও অনেক বড় করে ওরস হয় এবং সবাই মিলে অনেক মজা করে ওয়াজ মাহফিল হয় যেমনটা আপনার পোস্টে আমি পড়েছিলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন আপু
আপনার পোস্ট পড়ে আমার ছোট বেলার কথাগুলো মনে পড়ে গেল। আমার নানা বাড়ি ওরস হইতো, আমরা সবাই নানা বাড়ি যেয় ওরস শুনতাম। কতই না আনন্দ হতো। আপনাকে ধন্যবাদ , এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সবার মাঝে করার জন্য।
ওকে ছোট ভাই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবে
এলাকায় এরকম ওরস মাহফিল হলে ভালোই মজা হয়। বন্ধু বান্ধব একসাথে হয়ে রাত জেগে ঈমান আমালের কথা শোনতে ভালোই লাগে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য করার জন্য৷ ভালো থাকবেন ভাই
উরস শরিফে ভালোই সময় কাটালেন। সেই উরসের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। খুবই ভালো লাগলো।
ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উরস হয়েছে। ভালো থাকবেন
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনিও ভালো থাকবেন ভাই