Better Life With Steem || The Diary Game || 5th February 2024.
প্রতিদিনের মতোই আজকেও সারাটা দিন সংসারের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।মাঝে মাঝে এই একঘেয়েমি ভালো লাগে না,কিন্তু তারপরও নিজের সংসারকে সুন্দর করে আগলে রাখার দ্বায়িত্ব আমাদেরই নিতে হয়।
![]() |
---|
[Edited by Picsart]
সকাল |
---|
ছোট মেয়েটা ইদানীং রাতে খুবই বিরক্ত করে যার জন্য সকালবেলা সহজে ঘুম ভাঙতে চায় না,কারণ সাধারণত আমার ঘুম শুরু হয় ভোর চারটা পাঁচ টা থেকে। আর মাত্র দুই ঘন্টা ঘুমিয়ে উঠার কারণে সারাদিন খুবই খারাপ লাগে।তাই আজকে ইচ্ছে করেই সকালে ঘুম থেকে উঠি নি,কারণ আমি জানি আমি না উঠলেও মেয়ের বাবা আমাকে ডাকবে না,আর আম্মু এমনিতেই নাস্তা বানিয়ে রাখবে।
![]() |
---|
সকাল আটটায় স্কুলের এক ভাবির কলে ঘুম ভাঙে,ভাবি তার মেয়ের জন্য একটা পরোটা নিয়ে যেতে বললেন। এদিকে আমিও তারাতাড়ি করে উঠে মেয়েকে রেডি করে স্কুলে নিয়ে যাই আর ওর বান্ধবী কে ও টিফিন দিয়ে আসি।
বাসায় এসে আগে ঘর গুলো গুছিয়ে নেই কারণ রং মিস্ত্রি আসার সময় হয়ে গিয়েছিল। আর আম্মু আফিজা কে নিয়ে খাবার খাইয়ে দিচ্ছিলেন। ঘরের কাজ গুলো শেষ হলে আমিও নাস্তা করে নেই। এরপরে মেয়েকে ঔষধ খাইয়ে আমিও সকালের ঔষধ খেয়ে নেই।
![]() |
---|
এদিকে বড় মেয়ের স্কুল ছুটির সময় হয়ে যায় আর ওকে স্কুল থেকে আনার সময় দেখি হরেকমালের একটা ভ্যান বাসার নিচে। তাই সেখান থেকে কিছু জিনিস কিনে নেই, সব কিছুই ১০ টাকা করে।
দুপুর |
---|
যেহেতু আজকে শুরু দেওয়াল পুডিং করে গিয়েছে তাই ধুলা কম ছিল,আর ভেরতের রুমে কাজ করতে করতে আমি আর আম্মু মিলে দুপুরের জন্য রান্না করে নেই।
![]() |
---|
![]() |
---|
রান্না শেষে আমি আবারও ঘর গুলো একটি ঝেড়ে ঝুড়ে নেই, কিন্তু লাভ হয় না একটু পরে সেই আমারও ধুলা ময়লা হয়ে যায়।এরপরে আমি গোসল করে নেই,এবং রোদে বসে চুল শুকিয়ে নেই। এরপরে মেয়েদের আম্মুর সাথে খাবার খেতে দিয়ে আমি দুপুরের খাবার খেতে বসে পরি,কারণ আমার অনেক ক্ষুধা লেগেছিল।
ভেবেছিলাম খাওয়ার পরে একটু ঘুমাবো,কিন্তু মেয়ের জন্য আর হলো না।
বিকাল |
---|
বিকালবেলা ছোট খালা আমার খালাতো ভাইকে পড়াতে নিয়ে আসে আমাদের বাসায়।আর তখন খালা, আমাদের শুক্রবার তাদের বাসায় দাওয়াত দিলেন খালাতো ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে।
![]() |
---|
বাসায় রং কেমিক্যাল এর গন্ধে মাথা ব্যাথা করছিল তাই কফি বানিয়ে খাই। এরপরে রং মিস্ত্রি চলে গেলে ঘর গুলো আবারও একটু ঝেড়ে মুছে নেই। আর তিন দিন এই ঝামেলা পোহাতে হবে ভেবেই কষ্ট হচ্ছে।
সন্ধ্যা |
---|
সন্ধ্যার পরে মেয়েদের নাস্তা করিয়ে দেই। এরপরে বড় মেয়েকে ওর হোমওয়ার্ক করতে বসিয়ে দেই।আর আমি রাতের জন্য ভাত রান্না করতে দেই।
![]() |
---|
![]() |
---|
এরপরে মেয়েকে ওর স্কুলের পড়া গুলো পড়তে বসাই।প্রায় দেড় ঘন্টা পড়ার পরে মেয়ে আমার সেই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে, সাথে ক্ষুধা ও পেয়েছে তাই ওকে তাড়াতাড়ি করে ভাত খাইয়ে দেই। এরপরে ওর স্কুল ব্যাগ গুছিয়ে রেখে আমিও রাতের খাবার খেয়ে নেই।
আজ বেশ অনেকদিন পরে কলেজের কিছু বান্ধবীর সাথে অনেক সময় ফেসবুকে কথা হয় যার জন্য আজ পোস্ট লিখতে বসতেও বেশ অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছে।
ছোট বাচ্চারা অনেক সময় যখন অসুস্থ থাকে। তখন রাতের বেলা অনেক বেশি জ্বালাতন করে। আপনার মেয়ের শরীরটা হয়তোবা তেমন একটা ভালো নেই। তাই রাতে সে ঘুমাতে দেয় না আপনাকে, আর রাতে অনেক দেরি করে ঘুমালে সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়। ধন্যবাদ আপনার ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হরেকমালের দোকানে গেলে খালি টাকা খরচ করার জন্য হাত খুশখুশ করে আমার। একটা কিনতে গিয়ে ৫-৬ টা আইটেম কিনে ফেলি।
রাতে ঘুম না হলে সকাল বেলা উঠতে স্বাভাবিক অনেক কষ্ট হয় । না ঘুমানোর সেই রাতে ক্লান্তি সারাদিন থাকে ।শরীরের অলসতা ভাব থেকে যায় ।
আপনার আম্মু আপনাদের জন্য সকাল বেলা নাস্তা তৈরি করেছেন ।আসলে মায়ের বাসাতে থাকলেই অনেক সুবিধা পাওয়া যায় ।মা যেভাবে সন্তানের কথা বোঝেন তা অন্য কেউ বোঝেনা।
আর বাসার রং করা যে সে কি বিরম্বনা , যারা বাসার রং করায় তারা সেই কষ্ট বুঝতে পারে ।তাই তো রান্না করতে আপনাদের সময় সমস্যা হয়ে থাকে ।
যতদিন পর্যন্ত রং করা শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত আপনাদের এই সমস্যাটা সহ্য করতেই হবে ।আপনার এই ব্যস্ততম একটি সুন্দর দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আমরা মাঝে মাঝে অনেক কিছুই ইচ্ছা করে করি না।। যেমন আজকে আপনি ইচ্ছা করে ঘুম থেকে ওঠেন নি ।আসলে মাঝে মাঝে একটু বেশি খারাপ লাগে তখন কোন কিছু করতেও ভালো লাগে না।।
যাইহোক অবশেষে ঘুম থেকে উঠেছেন এবং মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন।। আর মাথাব্যথার জন্য কপি বেশ উপকার।। আর আপনার মেয়ে পড়তে বসেছে দিকে বেশ ভালোই লাগছে ভালোই লাগছে।।