Better Life With Steem || The Diary Game || 3rd February 2024.
প্রতিটা দিন আমাদের কে কিছু না কিছু একটা শিখিয়ে যায়। আর সেই শিক্ষাকে আমল করেই আমাদেরকে আগামীর জন্য প্রস্তুত হতে হয়।তবে জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষাকে সব সময় পজিটিভ ভাবে গ্রহণ করতে পারার জন্য ও অনেকটা মনের জোর প্রয়োজন।
যাইহোক অনেকটা ভাবুক কথা বললাম।আজকের দিনটা আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালোই কেটেছে সব মিলিয়ে এবং সেই গল্প আপনাদের সাথে উপস্থাপন করতে এলাম।
 |
|---|
সকাল |
|---|
শনিবার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠার তাড়া থাকলেও মেয়ের স্কুল বন্ধ থাকার কারণে একটু স্বস্তির মধ্যে সকালের কাজ গুলো শেষ করা যায়।
যথারীতি সকাল সাড়ে ৬ টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেই, এবং নাস্তা বানাতে রান্নাঘরে চলে যাই।
 |
|---|
গতকালের রান্না করা মুরগির মাংস ছিল তাই সকালে শুধু পরোটা এবং চা বানিয়ে ছিলাম তাই একটু চাপ কম ছিল।নাস্তা করে হাসবেন্ড অফিসে চলে গেলে আমার তেমন কোনো আর কাজ থাকে না,মেয়ের স্কুল না থাকলে তাই একটু শুয়ে থাকি।
এরপরে সাড়ে আটটার সময় উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নেই দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে।
 |
|---|
আজকে বাসায় রং মিস্ত্রি আসার কথা ছিল তাই রুমের সব ফার্নিচার গুলো বের করে ঢেকে রেখেছিলাম আমি আর আম্মু মিলে কিন্তু কোনো কারণে তারা আসতে পারে নি, আগামী কালকে আসবে।বাসায় কিছু মেহমান আসবে কিছুদিন পরে তাই ড্রইং এবং ডাইনিং রুম রং করাবো।
দুপুর |
|---|
আজকে কাজের আন্টি আসতে অনেকটা দেরি করেছেন তাই ওনার আসার আগেই কিছু কাপড় ভিজিয়ে রেখেছিলাম।
এরপরে কিছু বিষয়ে ডিসকর্ডে এডমিন দিদির সাথে কথা বলি।এই স্টিমিট প্লাটফর্মে এডমিন দিদি আমাদের মাথার ওপরে অনেক বড় একটা অভিভাবক, তিনি শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের যে কোনো সমস্যায় আমাদের পাশে থাকেন,তাই নিজেকে সত্যিই অনেক ভাগ্যবান মনে হয় এমন একটা ব্যক্তিকে অভিভাবক হিসেবে পেয়ে।
 |
|---|
দিদির সাথে কথা শেষে দুপুরের রান্না করে নেই। আজকে দুপুরে শিম ভাজি আর পালং শাক দিয়ে টেংরা মাছ রান্না করেছিলাম। রান্না শেষে আমি গোসল করে আসি,আর দুই মেয়েরই হালকা ঠান্ডা থাকায় ওদের আজকে গোসল করাই নি,একদিন বাদে বাদে গোসল করাই ওদের।দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটা পোস্ট করি।
 |
|---|
- ঘুম থেকে উঠে পাশে না পাওয়ায় ছোট মেয়ে রাগ করে মুখ ঢেকে শুয়ে আছে,কারণ সে আমার সাথে কোনে কথা বলবে না।🤣🤣
বিকাল |
|---|
 |
|---|
গতকালকে মাজা ব্যাথার কারণে ডাক্তার দেখিয়ে ছিলাম, তিনি এম আর আই করতে দিয়েছিলেন,কিন্তু গতকালকে এম আর আই রুম থেকে ভয়ে টেস্ট না করেই চলে এসেছিলাম, তাই আজকে আবারও যেতে হয়েছিল। আর একটা আপুর সাথে বিকালে টেস্ট করতে গিয়েছিলাম।
 |
|---|
প্রথমে অনেকটা ভয় করছিল, কিন্তু মেশিনের ভেতরে যাওয়া একটু পরে আস্তে আস্তে ভয়টা একটু কমে।প্রায় আধা ঘন্টা সয়ম লেগেছিল টেস্ট করতে।
সন্ধ্যা |
|---|
এম আর আই করে বাসায় ফিরতে প্রায় রাত হয়ে যায়।আর আমার অনেকটা ক্ষুধা লেগেছিল তাই আসার সময় কেক কিনে নিয়ে আসি।ঠান্ডা মধ্যে এসি রুমে থেকে অনেকটা মাথা ব্যাথা করছিল তাই বাসায় এসে চা বানিয়ে খেয়ে নেই।
 |
|---|
এরপরে কিছু সময় একটু শ্বাশুড়ি মায়ের সাথে কথা বলি।এরই মাঝে আমাদের সাপ্তাহিক হ্যাং আউটের সময় হয়ে আসে তাই ৯টার আগেই রাতেই খাবার খেয়ে ঔষধ খেয়ে নেই।
 |
|---|
হ্যাং আউট চলা কালীন নেওয়া স্ক্রিনশট।
আজকের হ্যাং আউটে চোর ধরতে ব্যার্থ হয়ে বেসুরো গলায় একটা গান করতে হয়েছিল। তবে খুবই মজা হয়েছিল কিন্তু এডমিন দিদির অনুপস্থিতর কারণে একটু খালি খালি লাগছিল।
হ্যাং আউট শেষে মেয়েদের ঘুম পারিয়ে দেই। এরপর আমি কিছু সময় ফেসবুকে কিছু সময় কাটাই এরপরে পোস্ট লিখতে শুরু করি।
আপু আপনার দিনলিপিটি পড়ে দারুণ লাগলো। প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আপনি কর্মব্যস্ততায় দিনটি অতিবাহিত করেছেন। তবে আজকে ছুটির দিন ছিলো বিধায় সারাদিন বাসায় ছিলেন এবং রান্না বান্না করেছেন আর কমিউনিটিতে সময় দিয়েছেন। সব মিলিয়ে দারুণ একটি দিন পার করেছেন। ভালো থাকবেন আপু।
সবথেকে ভালো লাগলো বাচ্চার দুষ্টামি টা। বাচ্চারা এমনই হয়। আর তাদের দুষ্টামি দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বাচ্চারাও দুষ্টামি খুব ভালোভাবেই বোঝে আপনি আপনার ছোট মেয়েকে রেখে ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন এজন্য আপনার মেয়ে আপনার সাথে একটু খুনসুটি করলো।
আপনাকে ডক্টর এম আর আই করাতে দিয়েছে, এজন্য প্রথমে আপনি একটু ভয় পেয়েছিলেন।। কিন্তু পরবর্তীতে ভয়টা বেশ কেটে গিয়েছে প্রার্থনা করছি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
শনিবার মেয়ের স্কুল বন্ধ থাকার কারণে তার জন্য তেমন একটা সকালে কাজের চাপ পড়েনি। আপনার হাসবেন্ডের জন্য নাস্তা করে আবার শুয়ে পড়লেন ।
আপনি আপনার ছোট মেয়েকে রেখে ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন এজন্য আপনার মেয়ে আপনার সাথে একটু খুনসুটি করলো।আর বাচ্চারা এরকম দুষ্টুমি করতে খুব ভালোবাসে।
মাজা ব্যথার জন্য ডাক্তারের কাছে এম আর আই করতে গেলেন প্রথমে ভয় পেয়েছিলেন তারপরে ভয়টা কেটে গেল। মাজা ব্যাথা খুব ভয়ানক একটি ব্যাপার। দোয়া করি আপনি তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে যান।
অসুস্থতা আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে পাওয়া একটা নেয়ামত। দোয়া করি আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আমি ও মেশিনের ভিতরে যাওয়া অনেক ভয়ংকর মনে করতাম। এখন ভয়টা কেটে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এই দিয়ে দুইবার করলাম তবুও মনের ভিতর ভয় কাটেনি।আসলে আমি একটু ভীতু টাইপ।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য।
আজমির স্কুল বন্ধ তাই সকালের কাজ ভালোভাবে করতে পেরেছেন।। আর হ্যাঁ বাসায় রংমিস্ত্রি রাখলে অনেক বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়।। কারণ ঘরের ফার্নিচার গুলো সব সরাইতে হয়।। আজ বিকালে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। আসলে এই পরীক্ষাটা এভাবেই করানো হয় আপনি প্রথম অবস্থায় ভয় পেলেও আস্তে আস্তে ভয়টা কেটে গেছে শুনে ভালো লাগলো।।
ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।।
আপনার এই বয়সে অনেক রকম ওসুখ দেখে কষ্ট লাগে। এবার নিয়ে কতবার আপনি এম আর আই করালেন?
আল্লাহ আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে দিক, আমিন।