Better Life With Steem || The Diary Game || 27th December.

in Incredible India9 months ago
আসসালামু আলাইকুম

রাত এখন ১২টা ৫০। ভেবেছিলাম আজকে আর কোনো পোস্ট লিখতে পারবো না। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরে এখন সময় বের করতে পেরেছি।তাই আপনাদের মাঝে আজকের ডায়েরি গেম লিখতে বসে পরলাম।
আজকের দিনটা ভালো কাটতে কাটতে যে এমন দূর্ঘটনার হবে ভাবতে পারি নি। তাহলে চলুন শুরু করি।

1000006772.jpg

সকাল ৮টার সময় ঘুম থেকে উঠি।এবং দেখি যে আম্মু কিছু কাপড় ধুয়ে দিয়েছে। আর এদিকে বড় মেয়ে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করছে। ওকে দাত ব্রাশ করিয়ে ফ্রেশ করিয়ে দেই। আর সকালের নাস্তা জন্য আয়োজন করি। আজকে শর্ট কার্ট নাস্তার জন্য পাউরুটি এবং ডিম ভাজি করে নেই।এবং মেয়েদের জন্যও একই নাস্তা করি আজকে।
সকালের নাস্তা করে আমি ঔষধ সেবন করি কিছু।এরপরে কিছু সময় একটু ঘরের কাজ করি।

1000006743.jpg

এবং এটা সেটা করতে করতেই দুপুরের রান্নার বেলা হয়ে যায়। আজকে দুপুরে ফুল কপি, আলু বেগুন দিয়ে কুমড়া বড়ি দিয়ে সবজি এবং পাবদা মাছপর ঝোল।যাইহোক পাবদা মাছ আমার অনেক পছন্দের।

1000006748.jpg
1000006747.jpg

দুপুরের রান্না শেষে আমি গোসল করে নেই এবং মেয়েদের ও গোসল করিয়ে দেই। গোসল করার পরে ছোট মেয়ে ঘুমিয়ে যায়।তাই বড় মেয়েকে দুপুরের খাইয়ে দেই এবং সাথে করি আমিও একটু খেয়ে নেই।
দুপুরের খাবার খেয়ে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজারে যাই।এবং বাজার থেকে এসে খুবই খারাপ লাগছিল তাই কিছু সময় একটু শুয়ে ঘুমিয়ে নেই।

1000006751.jpg

বিকালে আজকে আমাদের বাসার নিচে নির্বাচন এর প্রচার সভা শুরু হয়েছিল তাই অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায় এবং সন্ধ্যা হতে হতে ভীড় আরও বাড়তে থাকে,কারণ রাতের খাবার আয়োজন করা হয়েছিল। মানুষের ভীড় বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত শব্দ আসতে শুরু করে বাসায় যার জন্য খুবই বিরক্ত লাগছিল।

1000006763.jpg

যাই হোক এরপরে দুই পিছ কেক খেয়ে নেই এবং কফি বানিয়ে নেই। আর মেয়েদের ও সন্ধ্যার নাস্তা করিয়ে দেই।এরপরে আমি কিছু সময় আমার মামীর সাথে কথা বলি ফোনে।

1000006761.jpg

এর বেশ অনেকক্ষণ পর থেকেই হঠাৎ করে ছোট মেয়ে বমি শুরু করে।
প্রথমে ভেবেছিলাম এমনি হয়তো বেশি দুষ্টুমি করার জন্য এমন হবে কিন্তু যখন একটু পর পর বমি করতেই লাগলো এবং খুবই কান্না শুরু করলো তখন ফার্মেসী থেকে ঔষধ এনে খাইয়ে দেই।কিন্তু তাতেও কোনো ফল পেলাম না।কারণ ঔষধ ও বমি করে উঠিয়ে দিচ্ছিলো।অনেক রাত ও হয়ে গিয়েছে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এরপরে এক ডাক্তারের কাছে ফোন দিয়ে আবারও ঔষধ এনে খাইয়ে দেই।এবং এরপরে সে একটু ঘুমিয়ে পরে আলহামদুলিল্লাহ। আর তখন আমি পোস্ট লিখতে শুরু করি। এতটা ক্লান্ত লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না দুই চোখে ঘুমের পাহাড়। আর এরই মধ্যে পোস্ট লিখতে লিখতে মেয়ে আবার বমি করেছে। আর তাকে থাকি ঘুম পারিয়ে দেই। এখন পোস্ট করা শেষ হলে আল্লাহ যদি রহম করে তাহলে একটু ঘুমিয়ে পড়বো কারণ শরীরটা এখন অনেক খারাপ লাগছে।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
Sort:  
 9 months ago 

সন্তান যদি অসুস্থ থাকে তখন মায়ের মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়, আশা করি আপনার মেয়ে আল্লাহ তাআলার অসীম রহমতে খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে এবং হয়তোবা এখন অনেক ভালো আছে। আপনার ক্লান্ত শরীর নিয়ে এবং মাথায় চিন্তা নিয়ে পোস্টে সাজিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

 9 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।এখনো তার শরীরটা তপমন ভালো নেই।

 9 months ago 

জ্বী আপু শীতের এই সময়টায় আমাদের এবং ছোটবাচ্চাদের বিভিন্ন রোগবালাই হয়ে থাকে, বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের। এ সময়টায় আমাদের ছোট বাচ্চাদের বাড়তি নজরে রাখা উচিত। আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি।

আপনি সম্পূর্ণ দিনটি ভালই কাটিয়েছেন। কিন্তু বিকেলের দিকে নির্বাচনী প্রচারণার কারণে আপনার বিরক্ত লাগছিলো। কিন্তু কিছু করার নেই আপু। নির্বাচনের সময় এমনটা হবেই।

যাইহোক ভালো থাকবেন আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 9 months ago 

সব সময় নজরে নজরেই রাখি ভাইয়া তার পরেও যে কি থেকে কি হয়ে যায়,বোঝা মুশকিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য।

পাবদা মাছ আমারও বড় পছন্দের। পাবদা মাছের ঝোল, ঝাল বা পাবদা মাছ ভাজা এর সবগুলোই খেতে আমার খুব ভালো লাগে। বাড়ির সামনে রাজনৈতিক সভা হলে আমার খুব খারাপ লাগে। জোরে জোরে মাইক বাজতে থাকে আর চিৎকারের জ্বালায় ঘরে থাকা মুশকিল হয়ে যায়। আপনার ছোট মেয়ের হয়তো কোন কিছু খেয়ে ঠিক মত হজম হয়নি, তাই ও বমি করেছিল। এমনিতেই শীতকালে সকলের মধ্যে হজমের সমস্যা কমবেশি দেখা যায়। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনার ছোট মেয়ে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।

 9 months ago 

ছোট মেয়ের ডাইরিয়া হয়েছিল ভাইয়া, তাই বার বার বমি করছিল।
এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ এ আছে।

শুনে খুব ভালো লাগলো যে আপনার ছোট মেয়ে এখন অনেকটা ভালো আছে। ওকে সব সময় বিশুদ্ধ জল বা জল ফুটিয়ে কিছুদিন খাওয়ালে ভালো হয়। আর বাড়িতে ফিল্টার থাকলে তো কোনো কথাই নেই।

 9 months ago 

শুধু আপনাদের ওখানে নয়। বর্তমান সময়ে আমাদের এখানেও নির্বাচনী একটা মিটিং মিছিল চলতে থাকে। যেটা এত বেশি শব্দ হয় মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। কালকে আমাদের এখানে প্রচুর পরিমাণ মানুষ বের হয়েছিল। এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বলতে মনে হয় রাত বারোটা। যাই হোক আপনার মেয়ের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, সৃষ্টিকর্তা যেন আপনার মেয়েকে সুস্থ করে দেয়।সন্তান অসুস্থ থাকলে মায়ের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। রান্নাবান্না বেশ ভালোই করেছেন, পাবদা মাছের ঝোল দেখে বেশ ভালই লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 9 months ago 

একদম ই তাই আপু,,মাইকের শব্দের কারণে কান মাথা হ্যাং হয়ে যায়। তখন আস্তে কোনে শব্দ যেন কানে শুনতে পাওয়া,যায় না। 😑

Loading...
 9 months ago 
  • হুম, শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই যেন কিভাবে দুপুর হয়ে যায় বোঝাই যায় না। শীতের সময় ফুলকপি খেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি।

  • সামনেই নির্বাচন, তাই দেশের সর্বত্রই এরকম জনসমাবেশ দৃশ্যমান। ভালো ছিল আপনার সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 9 months ago 

আমাদের এপার্টমেন্ট এর অফিসেই নির্বাচনী হওয়াতে আরো খারাপ অবস্থা আামাদের। তাতে আমারা দোতালায় থাকি তাই,কানের এবং মাথার অবস্থা খুবই খারাপ।

 9 months ago 

সকাল থেকে বেশ আনন্দেই দিন পার করেছিলেন। আর আপনাদের বাসার নিচে নির্বাচনের সভা ছিল তাই অনেক শব্দ আসছিল রুমে। আর সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগলো আপনার মেয়ের হঠাৎ করে এত বেশি বমি হওয়া শুনে। আর ওষুধ খাওয়ানোর পরও সেটি ঠিক হচ্ছিল না। পরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণা আসে শুনে ভালো লাগলো।। আর নিয়মিত না ঘুমালে চোখের মধ্যে ঘুমের পাহাড় এমনি জমা হয়।।

আপনার মেয়ের সুস্থ কামনা করছি আর সেইসাথে আপনার জন্য দোয়া রইল।।

 9 months ago 

বাচ্চাদের শরীর খারাপ হলে খুবই খারাপ লাগে।। সব সময়,খপয়াল রাখার পরেও তাদের সুসথতা নিশ্চিত করা খুবই কঠিন।

 9 months ago 

জ্বী আপু বাচ্চা অসুস্থ থাকলে মায়ের মনের মধ্যে সবসময় খারাপ লাগা কাজ করে।। যত সময় না বাচ্চা সুস্থ হয়।।

 9 months ago 

আপনার ছোট মেয়েটি অসুস্থ। এদিকে আপনার নিজেরও শরীর ভালো নেই। তারপরও আপনাকে স্বাভাবিক দিনের সব কাজই করতে হচ্ছে। নির্বাচনের কারণে সবখানেই এখন এরকম বাজে অবস্থা। আমাদের এখানেও সারাদিন মিছিল মিটিং আর হৈচৈ চলতে থাকে। তারপর আপু বলবো নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিন। বাচ্চাদের দিকেও খেয়াল রাখুন। সাভারে এমনিতেই প্রচন্ড ঠান্ডা। সব মিলিয়ে আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম। ভালো লাগলো পড়ে।

 9 months ago 

জি আপু চেষ্টা করি যতটা সম্ভব নিজের যত্ন নেওয়ার কিন্তু সংসারের চাপে তেমন একটা হয়ে ওঠে না,তার উপর যদি ছোট বাচ্চা থাকে তাহলে তো,কিভাবে জি করবো বুঝতেই পারি না।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

 9 months ago 

ছোট বাচ্চা থাকলে সত্যিই মায়েরা তাদের যত্ন নিতে হিমশিম খেয়ে যায়। আপনার ক্ষেত্রে ও এমনটি হচ্ছে। তারপরও নিজেকে ভালো রাখার জন্য হলেও নিজেকে সময় দিতে হবে। বাচ্চারা তো আর সব সময় ছোট থাকবে না বড় হয়ে যাবে এক সময়। কিন্তু আপনি যদি কোন রোগ স্থায়ীভাবে বাসা বাঁধিয়ে ফেলেন তাহলে তা আপনার জন্যই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও চেষ্টা করবেন ভালো থাকতে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

 9 months ago 

মেয়েদের জন্য সকালে নাস্তা বানান ডিম ভাজি ও পাউরুটি। সকালে নাস্তা করার পর কিছু ঘরে ঢুকে কাজ করেন। তারপরে দুপুরে রান্নার সময় হয়ে গেল আবার রান্না বসিয়ে দিলেন। তারপর মা মেয়ে সকলে গোসল করে দুপুরে খাবার খেয়ে নিবেন। বাজারে গেলেন বাসায় কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে। আপনার ছোট মেয়ে হঠাৎ করে বমি করে দিল প্রথমে ভাবছিলেন এমনিতেই তারপর দেখলেন না যে বারবার বমি করছে। ওষুধ এনে একবার খাইয়ে দিলেন কোন কাজ হয়নি তারপর অন্য একটা ডাক্তারের কাছে ফোন দিলেন তারপর ওষুধ খাওয়ালেন কিছুটা কেউ কমলো। তারপর আপনি রাতে পোস্ট লিখতে বসলেন এর মাঝে একবার মেয়ে আবার বমি করে দিল। আসলে এসব কাজগুলো সামলানো হলো ধৈর্যের কাজ অনেক ধৈর্য করতে হয়। আপনার মেয়ের জন্য দোয়া রইল আল্লাহতালা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়।

থ্যাংক ইউ দিদি আপনার একটু ব্যস্তময় দিনগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।

 9 months ago 

সে কোনো ঔষধ ই পেটে রাখতে পারছিল না,তাই কোনো ভাবেই বমি বন্ধ হচ্ছিল না।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

 9 months ago 

এখন নির্বাচনের কারনে চারদিকে শোরগোল লেগেই থাকে। আর শীতের সময় ঘুম থেকে উঠতে একটু বেগ পেতে হয় কারণ কম্বল এর উষ্ণতা ছেড়ে আসা অনেক কষ্টের হয়ে যায়। আপনার মেয়ে বমির জন্যও আপনার চিন্তা হয়েছিল পরে ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খাইয়েছেন এবং সে সুস্থ হয়েছে যা পরে সস্তি এনে দিয়েছে। সারাদিন ব্যস্তার মধ্যে কাটিয়েছেন আর রাতে আপনার মেয়ের অসুস্থতার ভয়ে কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সারাদিন এর কাজকর্ম গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

জি ভাইয়া সকালে উঠতেই ইচ্ছা করে না এই শীতে,,কিন্তু সংসারের কাজের জন্য উঠতে তো হবেই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 61726.97
ETH 2392.47
USDT 1.00
SBD 2.60